ঘুম কাতুরে হওয়ার সত্যেও অনিকের রাতজেগে থাকাটা অনেকটা নিয়ম হয়ে গেছে এখন। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ভাবতে ভাবতে আকাশের চাঁদ কখন যে পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ে সেই খেয়াল ওর থাকে না।
ভদ্র ছেলেরা রাত জেগে থাকে না অকারনে, তারা সময় মত খায়, সময় মত ঘুমায়, পড়ালেখা করে এবং সময় মত ওয়াশ রুমেও যায়, গোসল করতে। অনিকের নিজেকে অভদ্র হিসেবে সঙ্গায়িত করতে খুব বেগ পেতে হয়। কিন্তু আবার সে রোবটের মত ঘড়ি ধরে কাজও করতে পারে না।
গত রাতে পূর্ণিমা ছিল। শেষ রাত এর দিকে চাঁদ যে একটা সাদাটে হলদেভাব আলো ছড়ায় সেই আলো অন্য সময় দেখতে পাওয়া যায় না। অনিক মোবাইল হাতে নিয়ে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে ছিল। কতক্ষন ছিল তার খেয়াল নেই। হবে কিভাবে, মোবাইলের একটু পর পর ভাইব্রেশান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল অনেক আগেই।
যখন চাঁদ ঘুমিয়ে পড়ার আয়োজন করছিল তখন হঠাত বাস্তবে ফিরে আসে সে। সাথে সাথেই কেন যেন আবার খুব ইচ্ছে করছিল পরাবাস্তবতায় হারিয়ে যেতে। সেখানে কোন জটিল হিসেব নিকেশ নেই। সুত্র গুলো সব নিজের মত সাজিয়ে নেয়া যায়।
সকালে উঠেই আবার পুরনো জীবন স্রোতে মিশতে হয় অনিককে।কেন যেন তার মনে হতে থাকে, “মন খারাপের একটা সীমা আছে। একটা পর্যায়ে গিয়ে অভ্যস্ততা চলে আসে। এটার মানে কিন্তু এই না আপনি খুব আনন্দে আছেন, বরং এর মানে হল ভাল থাকার অভিনয় করতে শিখে গেছেন।”

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




