ক্লাসে স্যার এক টানা লেকচার দিয়েই যাচ্ছেন কিন্তু দিবার ওইদিকে খেয়াল নেই। প্রচন্ড বিরক্ত লাগতেসে ওর। রাফির কথা মাথায় ঘুরতেসে। “ছেলেটা ভাব নিতেসে খুব, হাহ। আমার সাথে ভাব নিয়া লাভ নাই। আচ্ছা ৩ দিন ধরে কোন কথাই বললো না। এইটা খুবই অবাক করা বিষয়। আমি কী একবার কল দিবো? নাহ, দেয়া ঠিক হবে না মনে হয়......” একমনে এসব ভেবে যাচ্ছিল দিবা।
ওর চিন্তায় ছেঁদ পড়লো স্যারের কথায়। এই মেয়ে দাঁড়াও- হঠ্যাত স্যারের ডাক।
- বল একটু আগে কি বললাম।
- স্যার, পারবো না।
- তুমি কী ক্লাসে আছো? এতো অমনোযোগী কেন?
দিবা কিছু না বলে দাঁড়িয়ে থাকে। স্যার একটু পর বললেন, বসো।
দিবার এবার মেজাজ খারাপ হয় রাফির উপর, ওর জন্যই বকা খাইতে হল।
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
দুপুরে বাসায় বসে বসে মোবাইল টিপতেসিল এমন সময় হঠ্যাত রাফির কল। আশ্চর্য, কলটা দেখে মেজাজ খারাপ হওয়ার কথা, অথচ দিবার মুখে এক চিলতে হাসির রেখা ফুটে উঠলো।
নিজের উপরই এবার বিরক্ত হল সে। গলায় বিরক্তির একটা ভাব নিয়ে কল ধরলো।
-হ্যালো।
-কিরে কী খবর তোর?
-ভালো।
-ও, কী করতেসিলি?
-কিছুনা। কেন ফোন দিসস? দরকারি কিছু?
-নাহ, এমনেই দিসি।
-আমার কথাআ বলতে ইচ্ছা করতেসে না, রাখ ফোন।
-কেন? কি হই...... (টুট) হ্যালো, হ্যালো।
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
মোবাইলটা হাতে নিয়ে কিছুক্ষন ওটার দিকে তাকিয়ে থাকে রাফি। ভয়ানক মেজাজ খারাপ হয় নিজের উপর। “কেনো আমি কল দিলাম”- নিজেকেই প্রশ্ন করে সে।
চুপচাপ কিছুক্ষন বসে থাকে রাফি। কিছুক্ষন পর নিজেকেই নিজে বুঝায়, “মায়া আসলেই খারাপ জিনিশ।
মায়াবতী যদি জানে তার মাইয়ায় কেউ বিভর তখন সেই মায়া আরো মারাত্তক হয়ে যায়।”

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




