বাংলাদেশের পীর ফকির মুরিদ এবং ধর্মীয় দল সব গেল কোথায়? আমাদের পাশের রাজ্যে সংখ্যালুঘু রোহিঙ্গা মুসলিম দের উপরে যে হত্যাযজ্ঞ চলছে, তার জন্য কোথায় তাদের জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো মিছিল মিটিং বিবৃতি? আজ ভারতে মুসলিম দের উপরে এমন হইলে তো তাদের বিভিন্ন বিবৃতে তাদের মুখ দিয়ে আগুনের ধোঁইয়া বের হত... নাকি মিয়ানমারের মুসলিম, মুসলিম না? নাকি আমাদের দেশের ধর্মীয় রাজনীতি শধুই ভারত বিদ্বেষী, অন্য কিছুই নয়? নাকি আমাদের কিছু ধর্মীয় দল এইসব পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা দের কে তাদের ক্যাডার হিসেবে রিক্রুট করার একটা মোক্ষম সুযোগ হিসেবে নিচ্ছে?
মিয়ানমার ইস্যুতে আমাদের চিন্তিত হওয়ার অনেক কারন আছে। রোহিঙ্গা বিভিন্ন ভাবে এখন বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছে উদবাস্তু হিসেবে যেটা একমুখি। অর্থাৎ একবার ঢুকলে আর বের হবে না, বা মিয়ানমার সরকার তাদের কে আর ফেরত নেবে না। এমনিতেই বাংলাদেশে অভ্যন্তরীন আমাদের অনেক সমস্যা। তার উপরে এই রোহিঙ্গা সমস্যা একটা বাড়তি বোঝা। ইসলামী বিশ্ব তাদের নিয়ে কি ভাবছে, এটাও এখনো অজানা। আল্টিমেটলি এখন শুধু বাংলাদেশ কে এই বোঝা টানতে হবে।
খবরে প্রকাশ, “রোহিঙ্গারা এখন গণতন্ত্রের কন্যা হিসেবে খ্যাত অং সান সু চি’র দিকে তাকিয়ে। তার কাছে রোহিঙ্গারা ‘ব্ল্যাঙ্ক চেক’ চেয়েছেন। কিন্তু সু চি ও তাঁর দলের সংসদ সদস্যরা রোহিঙ্গা ইস্যুতে নীরব রয়েছেন। গত মাসের শেষ দিকে ব্যাংকক থেকে বার্মিজ রোহিঙ্গা এসোসিয়েশন অব থাইল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট মং জ নু এনএলডি নেত্রী সু চি-কে লেখা এক জরুরি পত্রে লিখেছেন, প্রিয় নেত্রী, আপনি দয়া করে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ান। ব্যাংককে নির্বাসিত ওই নেতা তাকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, আপনার পিতা জেনারেল অং সান ১৯৪৬ সালে আরাকান সফর করেছিলেন। ওই সময় তিনি রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমাকে আপনারা (রোহিঙ্গা) সহযোগিতা দিন। আমি আপনাদের ব্ল্যাঙ্ক চেক দেবো।’ রোহিঙ্গা নেতারা তার কন্যার কাছে এখন সেই ‘ব্ল্যাঙ্ক চেক’ চাইছেন। কিন্তু ওয়াকিবহাল সূত্রগুলো বলছে, পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সেনা সরকার অন্তত রোহিঙ্গা প্রশ্নে কোন মনোভাব বদলের ইঙ্গিত দেয়নি।” তারমানে কি দাঁড়াল? যে গণতন্ত্রের কন্যা হিসেবে খ্যাত অং সান সু চি এবং সামরিক সরকার এই একটা ইস্যুতে একট্টা। অং সান সু চি’র এখন এই দাঙ্গা দমনের বিষয়ে সামরিক সরকারের উপর আস্থাশীল! তিনি এখন তার ইউরোপ সফর নিয়েই বেশি ব্যস্ত। মিয়ানমারে কোন চাকরী বিশেষ করে নিরাপত্তা বাহিনী এবং পুলিশে রোহিঙ্গা মুসলিম অফিসিয়ালি নিষিদ্ধ। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা মুসলিম দের তাদের নাগরিক হিসেবেই মনে করে না। তাহলে , এইটা কি ফিলিস্থিন সমস্যার মতই কিছু টা এক হয়ে গেল না?