somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কোন পথে ঘটেছিল নাস্তিকতার প্রসার অথবা নাস্তিকতা প্রসারের ইতিহাস -১

১৩ ই জুন, ২০১২ রাত ৮:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজকের ব্লগ-ফেবুতে এ দেখা যায় যে নাস্তিকেরা নিজেদেরকে মুক্তমনা এবং বিজ্ঞান মনস্ক বলেন। তাদের মতে তাদের মত সহনশীল সেকুলার আর মধ্যম্পন্থী কোন মানুষ হতেই পারে না। আর তারা এটাই বঝাতে চেষ্টা করে যে নাস্তিকতা এর প্রচার ঘটেছিল এপিকিউরাস, জা পল সাত্রে, রুশো, ভলতেয়ার,এরপরে রাসেল এর মত কিছু গুণী দার্শনিক এর মাধ্যমে। আর এর পিছনে বা প্রকৃত নাস্তিকতা এর পিছনে কোন কালো অন্ধকার নেই বরং আছে জ্ঞান আর নীতির দৃপ্ত পদচারনা অর্থাৎ তারা এটাই বোঝাতে চান যে জ্ঞান আর বিদ্যার প্রসারের ফলেই নাস্তিকতা এর বিকাশ ঘটেছে। আর তারা এটাও বলতে চান যে আজকের ১০০ কোটির উপরে নাস্তিক আর অজ্ঞেয়বাদী দের বিকাশ ঘটেছিল এই পথেই। আচ্ছা তাহলে দেখা যাক প্রকৃতভাবে নাস্তিকতা এর প্রসার কেমন করে হয়েছিল।

আজ থেকে প্রায় ৪০০০ বছর পূর্বেহিন্দুধর্মে কিছু অজ্ঞেয়বাদী দর্শন এর খোঁজ পাওয়া গেলেও পরে তারা সেই বৈশিষ্ট্য ধরে রাখতে পারেনি এইজন্য তাদেরকে অজ্ঞেয়বাদী না বলে বস্তুবাদী বলাটাই শ্রেয় যদিওবা সেখানে প্রকৃতিবাদই বেশী পরিমানে আছে। সেই হিসেবে তারা নাস্তিকতা এর সরাসরি প্রচারক না এবং এই ভাবে দেখতে গেলে যেহেতু হিন্দু ধর্মকেও একটা নাস্তিকতাবাদি দর্শন মনে হতে পারে সেইজন্য আমরা সেই দর্শন সমূহ কে নিয়ে এখানে আলাপ এখন করব না। বৌদ্ধ দের দর্শন কে অনেকে নাস্তিকতা বাদী দর্শন বলেন কিন্তু এর ভিত্তি বর্তমানে পণ্ডিতদের কাছে গ্রহণযোগ্য না কেননা সেটা ধরে নিলে বৌদ্ধ ধর্মের খুব অল্প দর্শন কেই বুদ্ধের দর্শন বলা যায়। আর বর্তমানে বুদ্ধকে ঈশ্বর হিসেবে ধারণা করার জন্য এই নাস্তিকতা বাদ আর তার ধুয়া ততটা কার্যকরী নয়। তারপরেও যদি কেউ একে নাস্তিক দর্শন বলতেই চায় তবে আমি বলব যে দার্শনিক গৌতম এর নাস্তিকতা বাদী বা অজ্ঞেয়বাদী দর্শন কে না বরং দেবতা বা ঈশ্বর গৌতমের বা অবতার গৌতমের বানীই আমাদের সাধারণ মানুষেরা গ্রহণ করেছিল এই জন্য বৌদ্ধ ধর্মের বিকাশ নাস্তিকতা এর বিকাশ এই মতবাদ আর যাই হোক না কেন বিন্দুমাত্র সঠিক এখন আর বলা যায় না।

আচ্ছা তাহলে কোথায়
থেকে আসল আজকের ডাইরেক্ট বা প্রত্যক্ষ নাস্তিকতা ? কোথায় থেকে এত নাস্তিকের আবির্ভাব ঘটল পৃথিবীতে? তাহলে কি পশ্চিমা দার্শনিক দের লেখা থেকেই মানুষ অনুপ্রাণিত হয়ে নাস্তিক হয়েছে নাকি ধর্মের নির্দয়তা দেখে? এই দুইটা কথায় অনেকে বলে থাকেন তবে আমার এক্ষেত্রে কিছু কথা আছে। প্রথম কথা কেউ যদি দ্বিতীয় কারণে নাস্তিক হয়ে থাকে তাহলে তাকে আমার এই প্রশ্নটা করার ইচ্ছা আছে যে সে নাস্তিকতা এর মাঝে কি কোন নির্দয় দৃষ্টিভঙ্গি দেখতে পায়নি? সে কি জেনে নাস্তিক হয়েছে নাকি সে না জেনে নাস্তিক হয়েছে? ধর্মহীনতা কে অনেকে সত্য এর সন্ধান এর সমার্থক বলেছেন। আর নাস্তিকতা কে ব্যাক্তিগত বিশ্বাস বলেছেন তো আমার প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে নিজেদের কে নাস্তিকেরা ধর্মের চিকিৎসক কেন বলে কেন বলে সমাজের চিকিৎসক? তারা অনেকে সমাজে প্রচলিত কুপ্রথা আর চরম্পন্থা এর কথা বলেন। তারা এটাই বলেন যে তারা এই সব কুপ্রথা এর বিপক্ষে লড়ার জন্য নাস্তিক হয়েছেন(!) তাহলে তাদের কে বলেতে হবে যে সে হয় এটাই জানত না যে পৃথিবীতে চরম্পন্থা এর অস্তিত্ব আছে ,অথবা সে ধর্ম সমন্ধে অজ্ঞ। কেননা খ্রিস্টান ধর্ম এবং হিন্দু ধর্মে পিক এন্ড চয়েস করার বিপুল সুযোগ আছে কেউ এক মত না মানলেও সে আরেক মতে আস্থা রাখতে পারে। তাহলে তার কি প্রয়োজন নাস্তিকতা প্রচারের বা নাস্তিক হওয়ার?(আমি এখানে ইচ্ছাকৃত ভাবে ইসলামের আলোচনা করব না কেননা এতে এর নিরপেক্ষ ভাব নষ্ট হতে পারে বলে ধারণা আমার)
তাহলে এ থেকে এটা বলা যায় যে কোন মতবাদ যা ইচ্ছামত মান্য করা যায় অথবা সেটা কে পিক এন্ড চয়েস করাযায় সে ক্ষেত্রে সেটাকে শুধু শুধু ভ্রান্ত কেন মনে করা হয়? এটার দুইটা কারণ আমার মতে থাকতে পারে
১ নাস্তিকতা কে সকল ধর্ম আর মতবাদ থেকে স্রেয়তর মনে করা
২ নাস্তিকতা কে সত্যর সমকক্ষ মনে করা
তৃতীয় একটা দুর্বল কারণ থাকতে পারে সেটা হচ্ছে সমাজের অনাচারের প্রতিবাদ করা(!) তাহলে তো সকল মানবাধিকার কর্মীদের সর্বপ্রথম নাস্তিক হয়ে যাবার কথা এরপরে অ্যামনেস্টি এছাড়া জেনেভা এসমস্ত সংস্থা তে সবথেকে বেশী নাস্তিক দেখা যাওয়ার কথা। পৃথিবীতে সমাজ সেবা আর মানব উন্নয়ন এ নাস্তিক দের হারই হওয়ার কথা তুলনা মূলক ভাবে বেশী কিন্তু নাস্তিকদের অন্যতম বড় সাইট Rationalist international এর জরিপ মতে আস্তিকেরা প্রায় ৭০০% বেশী সমাজসেবা মূলক কাজকর্ম করেন নাস্তিক দের তুলনায় আর এটা তাদের মধ্যেকার অনুপাতের পার্থক্য ছাড়াই হিসেব করা হয়েছে তাহলে প্রশ্ন জাগে মনে নাস্তিকতা এর প্রসার ঘটল কিসের মাধ্যমে?
নাস্তিকতা এর ইতিহাসঃ


সর্বপ্রথম নাস্তিকতা এর পরিপূর্ণ স্বপক্ষে যে সব লিখিত দলিল গুলো পাওয়া যায় সেগুলো হচ্ছে Theophrastus redivivus এটা ফ্রান্স এ লিখিত এক অজ্ঞাত লেখকের কাজ ছিল যেটাকে কিনা সত্যিকার অর্থেই প্রথম নাস্তিকতা বাদী গ্রন্থ এর সংগ্রহ বলা যায়। কিন্তু এর ফলে কি নাস্তিকতা এর প্রচার ও প্রসার ঘটেছিল?

ঘটলেও কতখানি ঘটেছিল? হ্যাঁ এর ফলে কিছু নাস্তিক বুদ্ধিজীবী নিজেকে আত্নপ্রকাশ করেছিলেন কিন্তু তাদের সংখ্যা হাস্যকর ছিল প্রায় ৫০ জন এর কাছাকাছি অথচ এই বই গুলো যেগুলকে বলা হয় clandestine manuscripts সে বইসমুহ এর সংখ্যা ছিল প্রায় ২০০ এরও অধিক। আবার এটাও ধারণা করা হয় যে এদের অধিকাংশ নষ্ট হয়ে গেছে তাহলে পারে এদের সংখ্যা নিদেন পক্ষে এদের দ্বিগুণ হবার কথা অথচ কি আশ্চর্য এই চারশ বই পড়ে নাস্তিক হয়েছিলেন মাত্র ৫০ জন এর কাছাকাছি?

তাহলে দেখা যাচ্ছে যে এই ক্ল্যান্দেস্তাইন নথি সমূহ নাস্তিকতা প্রচারে তেমন ভূমিকা রাখতে পারেনি কিন্তু কেন রাখতে পারেনি? এটা আমার প্রশ্ন নাস্তিক ভাইদের জন্য। (এটা আমি আলাদা ভাবে আলোচনা করার জন্য রেখে দিলাম)

এরপরে উনাবিংশ শতকে আসল মহান ডারউইন বাদ বা বিবর্তন মতবাদ আজ একে ব্যাবহার করে আপনারা সব ধর্ম কে ধ্বংস করে দিতে চান অথচ এটা কিন্তু পূর্ববর্তী নাস্তিকদের মতবাদ অ্যাবিওজেনেসিস কে ভুল প্রমাণিত করে দিয়েছিল এটা স্বতঃজনন মতবাদ কে আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করেছিল এইজন্য কি এর আগের নাস্তিকেরা আস্তিকে পরিণত হয়েছিল নাকি এর পরের আস্তিকেরা নাস্তিকে ? সত্যি কথা তো এটাই যে বিবর্তন বাদকে বরং অনেক ধর্মবিদ নিজের ধর্ম প্রচার করার মাধ্যম মনে করেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন Aubrey Moore অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এর থিওলজিয়ান দের প্রধান এই প্রসঙ্গে খ্রিস্টান ধর্মবিদ দের কথা এটাই ছিল যে বাইবেল কোন একা মানুষের রচনা করা গ্রন্থ না এটা অনেকে রচনা করেছেন এজন্য এর কিছু অংশ ভুল হয়ে গেলেই সম্পূর্ণ অংশ ভুল হয়ে যাবে না। আর এই প্রসঙ্গে Brooke, John Hedley এদের লেখা বই "Contributions from the History of Science and Religion." দ্রষ্টব্য এই বইয়ে তারা যা বলে ছিলেন তার সামান্য অংশ নিচে তুলে দিলাম আমি
However, historians now broadly concur that any simple story of the supposed conflict between science and religion (and for that matter any simple story of their harmony) is problematic

এটা বলতে কি বোঝান হচ্ছে আপনাদের কাছে প্রশ্ন আর কেউ যদি মনে করে যে এরপরেও বিজ্ঞান এর কাঁধে চেপে নাস্তিকতা এর প্রসার ঘটেছে তাদের জন্য আমার নিচের অংশ টা আমি তুলেদিলাম।
উপরিউক্ত বইয়ের এক অংশে উল্লেখ করা হয়েছে যে
“ উনাবিংশ শতকে নাস্তিকতা বাদী বিজ্ঞানী রা যদি মনে করতেন যে বিজ্ঞান এর তত্ত্ব তার নাস্তিকতাকে সমর্থন করছে(অথবা নিদেন পক্ষে অসমর্থন করছে না)
তাহলে পারে একজন আস্তিক বিজ্ঞানিও বলতেন যে বিজ্ঞান তার বিশ্বাস কেও অনেক দিক থেকে সমর্থন করে(অথবা বিরোধীতা করে না) তবে এক্ষেত্রে নাস্তিক বিজ্ঞানীরা একটা ভুল করেন আর সেটা হচ্ছে এটা যে তারা বিজ্ঞানের তত্ত্ব সমুহের অতি সরলীকরণ করে ফেলেন যদি তারা এটা প্রমান করার চেষ্টা করেন যে বিজ্ঞান নাস্তিকতা কে সমর্থন করছে অথচ বিজ্ঞানের সাথে নাস্তিকতার সরাসরি এবং সরল সম্পর্ক একবারেই নেই”

তাহলে এটুকু আমরা বুঝতে পারলাম যে উনাবিংশ শতাব্দীতে আর যাই হোক না কেন নাস্তিকতা বিজ্ঞান এর মাধ্যমে প্রসার লাভ করেনি।
তাহলে নাস্তিকতা এর প্রসার ঘটল কেমন করে ?
এর জবাব পেতে হলে আমাদের কে দুইটা জিনিস কে দেখতে হবে এর মধ্যে প্রথম টা হচ্ছে।
এজ অফ এনলাইটমেনট এর পূর্বের ফরাসি বিপ্লব আর এরপরে ১৯১৭ সালে হওয়া বলশেভিক বিপ্লব,আর এর পূর্বের বামপন্থী মনভাব হ্যাঁ এই তিনটা বস্তুর মাধ্যমেই আজকের পৃথিবীতে প্রায় ৯০% নাস্তিকতা এর প্রসার ঘটেছে। যদিওবা আমরা ধারণা করি যে নাস্তিক দার্শনিকেরা মূলত সত্যাশ্রয় আর বিজ্ঞানের জ্ঞানে অন্ধকার দূর করার জন্য নাস্তিকতা এর দর্শন প্রচার করেছিলেন কিন্তু মূল সত্য ভিন্ন
Lucien Febvre এর লেখা Le problème de l’incroyance au XVI e siècle ( The problems of atheism in 16th century) বইতে তিনি বলেন যে তারা(ফরাসি বিপ্লবের হোতারা) মূলত জ্ঞান বিজ্ঞান থেকে খ্রিষ্টবিরোধী মনভাব, ধর্মবিরোধী কাজ এরপরে ব্লাস্ফেমি এর মধ্যে তাদের নাস্তিকতা এর সংজ্ঞা সীমাবদ্ধ ছিল যেটা কিনা আরও তুলে ধরেন Paul Oskar Kristeller তার বই The Myth of Renaissance Atheism and the French Tradition of Free-Thought(1968) এ এ বইয়ে তিনি বলেন কোন নাস্তিক বুদ্ধিজীবী ততক্ষণ পর্যন্ত ব্লাস্ফেমি এর অভিযোগে অভিযুক্ত হতেন না যতক্ষণ পর্যন্ত না তিনি ধর্ম এবং ধর্মীয় ব্যাক্তিদের বিপক্ষে কটূক্তি না করতেন। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে সে সময়ে প্র্যাকটিকাল এথিইজম এর প্রসার ছিল বেশী ফিলসফিকাল এথিজম এর থেকে। আর এর দ্বারাই পরবর্তীতে নাস্তিকতা এবং এ সম্পর্কিত মতবাদ প্রচলিত হয় ফ্রান্সে। অর্থাৎ নাস্তিকতা ততক্ষন পর্যন্ত কোন আবেদন তৈরি করতে পারেনা যতক্ষণ পর্যন্ত না সে ধর্ম এর কুৎসা রটায় বা ধর্মবিরোধী কথা বলে অর্থাৎ দার্শনিক নাস্তিকতা আর যাই হোক নাস্তিকতা এর প্রসার ঘটাতে অপারগ।
তাহলে আমরা এটাই বলতে পারি যে সহিংস ফরাসি বিপ্লব না হলে নাস্তিকতা এর প্রসার এর প্রথম রাস্তা কখনই আসত না এর থেকে। আর যারা ফরাসি বিপ্লব কে অহিংস মনে করেন তারা এটা তে চোখ দিতে পারেন “Paris Scenes, Louis Sébastien Mercier এর লেখা একটা প্রবন্ধ যেটা ১৭৮৯ সনে রচিত হয়েছিল।
আর এছাড়াও The Reign Of terror খ্যাত সময়কালের যে হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়েছিল তার বর্ণনা নিচে দেওয়া হল
The Reign of Terror (5 September 1793 – 28 July 1794) (the latter is date 10 Thermidor, year II of the French Revolutionary Calendar),[1] also known simply as The Terror (French: la Terreur), was a period of violence that occurred after the onset of the French Revolution, incited by conflict between rival political factions, the Girondins and the Jacobins, and marked by mass executions of "enemies of the revolution." The death toll ranged in the tens of thousands, with 16,594 executed by guillotine (2,639 in Paris),[2] and another 25,000 in summary executions across France.[3]
সুত্র ঃ Linton, Dr Marisa. "The Terror in the French Revolution". Kingston University. Retrieved 2 December 2011.

এখানে মাত্র ১০ দিনে ২৫০০০ মানুষকে হত্যা করার কথা বলা হয়েছে। বাহ! এ থেকে প্রমাণিত হয় যে নাস্তিকদের দ্বারা পরিচালিত ফরাসি বিপ্লব কতটা শান্তিপূর্ণ ছিল!
তবে এর মাধ্যমে সব ক্ষেত্রে নাস্তিকতা এর প্রসার ঘটে নি কিন্তু এর পরে যিনি নাস্তিকতা এর প্রসারের জন্য রঙ্গমঞ্চে আসেন তিনি হচ্ছেন বাম মহাপুরুষ কার্ল-মার্ক্স
আর এটা বর্তমানে সকল ঐতিহাসিকদের কাছেই স্বীকৃত যে মার্ক্স এর মতবাদ নাস্তিকতা এর প্রসারের সবথেকে বড় হোতা অনেক নব্য নাস্তিকতাবাদী যেমন রিচারড ডকিন্স মার্ক্স বাদ কেও একটা ধর্ম বা ধর্মীয় দর্শন এর সমকক্ষ মনে করলেও সত্যি তো এই যে মার্ক্স এর এই কৌশল বেশ কাজ দিয়েছিল যা স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশ সমুহে এরপরে রাশিয়া যুগস্লাভিক দেশ সমুহে নাস্তিকতা এর হার এর ক্রমাগত এবং অতিদ্রুত বৃদ্ধি এর প্রমান। তবে এই বৃদ্ধি যে একেবারেই শান্তিপূর্ণ ছিল না সেটার প্রমাণ ছড়িয়ে আছে ইতিহাসের পাতায় পাতায়। এক স্তালিন মেরেছিলেন হিটলারের থেকেও বেশী মানুষ এই নাস্তিকতা প্রচারের জন্য। এরপরে পৃথিবীর প্রথম নাস্তিকতাবাদী রাষ্ট্র আলবেনিয়া পৃথিবীর প্রথম নাস্তিক দেশটির আয়ুস্কাল ছিল ১৯৬৭সাল থেকে ১৯৯১সাল পর্যন্ত। সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয় আনোয়ার হোজ্জা, আলবেনিয়াকে পৃথিবীর প্রথম নাস্তিক দেশ (এথ্যায়িস্ট স্ট্যাট) সরকারি ভাবে হিসাবে ঘোষনা দেন।
সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সম্পদ দখল করে নেয়া হয়া, ধর্মীয় নেতাদের বিদেশি শক্তিগুলোর সাথে সহযোগীতা বন্ধ করে দেয়া হয়। বিভিন্নভাবে তাদেরকে আক্রমনের লক্ষ্যবস্তু করা হয়। কাউকে পাঠানো হয় জেলে, কাউকে বাধ্য করা হয় কলকারখানায় কাজ করতে।
২,১৮৯টি মসজিদ এবং চার্চ বন্ধ করে দেয়া হয়। নাস্তিকবাদ অফিসিয়াল পলিসিতে পরিনত হয়। ধর্মীয় নামের শহর, নগরগুলোকে নতুন নাম দেয়া হয়, ব্যক্তির নামও বদলে ফেলা হয়। ১৯৮২ মানুষের নামের ডিকশনারি বের করা হয়। যার মধ্যে ৩,০০০ সেক্যুলার নাম ছিল। এরা ক্ষমতায় আসার সময় ৩০০ প্রিষ্ট ছিলেন, যাদের মধ্যে মাত্র ৩০জন প্রানে বাচতে পেরেছিলেন।
এরপরেও আপনারা বলবেন যে নাস্তিকতা এর প্রসার ঘটেছে অহিংস ভাবে নাস্তিকতা এর ভিত্তি হচ্ছে বিজ্ঞান তাহলে আমার কিছুই বলার নেই আপনি যদি একটা রাষ্ট্রও দেখাতে পারেন যেখানে নাস্তিকতা এর প্রসার নাযিবাদ, কমিউনিস্ট রক্তপাত অথবা অস্ত্র আর বন্দুকের নলের মাধ্যমে হয়নি তাহলেও আমি আপনাদের কথা মেনে নেব।
তথ্যসুত্রঃ [1]↑ Winfried Schroeder, Ursprunge des Atheismus: Untersuchungen zur Metaphysik- und Religionskritik des 17. und 18. Jahrhunderts (Tubingen: Frommann-Holzboog, 1998), 19. [2]↑ On this shadow boxing, see for example David Berman, A History of Atheism in Britain: From Hobbes to Russell (London: Croom Helm, 1988). See also Nigel Smith, "The Charge of Atheism and the Language of Radical Speculation, 1640-1660," in Atheism from the Reformation to the Enlightenment, ed. Michael Hunter and David Wootton (Oxford: Clarendon Press, 1992). [3]↑ Schroeder, Atheismus, 71. [4]↑ See for example Ibid., 76-77.
7↑ Winfried Schroeder, Ursprunge des Atheismus: Untersuchungen zur Metaphysik- und Religionskritik des 17. und 8Jahrhunderts (Tubingen: Frommann-Holzboog, 1998), 87. 9↑ Moralischer Nihilismus: Radikale Moralkritik von den Sophisten bis Nietzsche (Stuttgart: Reclam, 2005), 142. 10↑ Ibid. 11↑ Ibid., 143-4. 12↑ Ibid., 145. Ibid., 146. [7]↑ Georges Minois, Histoire de L'atheisme (La Fleche: Fayard, 1998), 411. [8]↑ For the dechristianisation movement, see Ibid., chapter 14.
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×