তাত্ত্বিকভাবেই কম্পিউটার বিবর্তিত হচ্ছে। টেকি দুনিয়া যখন নোটবুক Vs নেটবুক নিয়ে তর্কে লিপ্ত তখন আমেরিকান একদল জীববিজ্ঞানী প্রথাগত কম্পিউটারকে সম্পূর্নরূপে পেছনে ফেলেছেন। তারা ব্যক্টেরিয়া ব্যবহার করে জটিল গানিতিক সমস্যা এত দ্রুত সমাধান করেছেন যা কিনা সিলিকনে নির্মিত কোন কিছুর পক্ষে সম্ভব নয়।
Journal of Biological Engineering এ আজ প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা যায় Hamiltonian Path Problem নামক একটি পাজল সমাধানে ব্যক্টেরিয়া ব্যবহার করা যায়। এতে UK এর দশটি শহর ট্যূর করতে হবে। শুরু হবে লন্ডন দিয়ে(১ নং) এবং শেষ হবে বিস্টল(১০ নং) দিয়ে। এতে সবচে ছোট পথটি খুঁজে বের করতে হবে। এটি অসম্ভব রকম কঠিন কারন এতে প্রায় ৩.৫ মিলিয়ন বিকল্প পথ আছে। প্রচলিত কম্পিউটারে কাজটি করতে গেলে সেটি একটি একটি করে পথ গুলো পরীক্ষা করবে পক্ষান্তরে কোটি কোটি ব্যক্টেরিয়ায় তৈরী একটি কম্পিউটার একত্রেই সবগুলো পথ দেখবে। এছাড়া এর আরেকটি সুবিধা হচ্ছে সময়ের সাথে নুতন ব্যক্টেরিয়া তৈরী হবার ফলে ব্যক্টেরিয়াল কম্পিউটারের ক্ষমতা বাড়বে।
তবে এ ধরনের কম্পিউটারে প্রোগ্রামিং করা সহজ নয়। এজন্য E. Coli ব্যকটেরিয়ার DNA কে মডিফাই করেছেন। এবং এটাই একমাত্র সমস্যা নয় যা ব্যক্টেরিয়াল কম্পিউটারের দ্বারা সমাধান সম্ভব। বরং আরো অনেক বিষয়েই এই নুতন প্রযুক্তি অবদান রাখতে পারবে।
মজার ব্যপার হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক সার্কিত যেমন ট্রানজিস্টর, ডায়োড ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ দ্বারা তৈরী করা হয় তেমনি বায়োলজিকাল সার্কিটেও একই ধরনের যন্ত্রাংশ ব্যবহৃত হয়। জীব বিজ্ঞানিরা এখন Registry of Standard Biological Parts তৈরীর জন্যে একত্রে কাজ করছেন।
তথ্যসূত্র: গার্ডিয়ান
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ৮:২১