তাই বলে এভাবে দেখা হয়ে যাবে?
এই সমুদ্রের মতো স্টেশনে,
যখন পোয়াতি সন্ধার আলো প্রদীপের মতো ধুঁকছে।
জেগে ওঠা অন্ধকার আর
বিদায় নিতে আসা মানুষের অস্থিরতা
আমাদের ঘিরে তওয়াফের ভঙ্গিতে পাক খায়।
এতদিন পর মুখোমুখি,
তবু তোমার অচঞ্চল চোখ মুহূর্তের ভগ্নাংশ সময়ে জেনে নেয় সমস্ত ব্যক্তিগত পাপ।
সেই দৃষ্টিতে চাবুক ছিলো না
অথচ বুকের ভেতর একটা প্রচন্ড পাপমুক্তির উল্লাস জাগে।
আমাদের মাঝে প্রচলিত কথা হয় না কোনো,
শুধু নাকের সামনে তোমার উত্থিত গরম নিঃশ্বাস ফিসফিস করে বলে-
'এই এখন ভালো আছি'
বলার মতো কিছু থাকে না বলেই হয়তো-
যুগল ঠোঁটে জেগে ওঠা ঢেউয়ের উপর হাল ধরে চুপচাপ ভেসে থাকি।
তারপরই ব্ল্যাকআউট।
আর হঠাৎ হতাশায় চিৎকার করতে গিয়ে খেয়াল হয়
এইতো সেই স্টেশন- সবই আছে আগের মতো
ডুবে আছে অন্ধকারে হাঁটু পর্যন্ত।
সেখানে এখনো শরীরের ভীড়;
শুধু একজোড়া চোখ আর স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনটিই কেবল নেই।
আস্ত একটা ভোঁতা শব্দ দিগন্তে ডিগবাজী চুষে চুষে মিলিয়ে যেতে থাকে
বেরসিক ঘুম ভেঙ্গে গেছে।