somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সরকারি চাকরি তে “চারিত্রক সনদ”।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



যা বলতে চাই: অনেক দিনের আগের কথা। তখন নতুন নতুন সরকারি চাকরি তে দরখাস্ত করা শুরু করি। বিজ্ঞপ্তি তে লেখা থাকতো যে “আবেদনের সাথে সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ এর সত্যায়িত ফটোকপি, প্রথম শ্রেনী গেজেট কর্মকর্তা থেকে সত্যায়িত চার কপি ছবি, প্রথম শ্রেনী গেজেট কর্মকর্তা প্রদত্ত চারিত্রিক সনদ, চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট ইত্যাদি ইত্যাদি।”

এখন সত্যায়িত শিক্ষাগত সনদ চাইতেই পারে। ছবিও চাইতে পারে। চারিত্রিক সনদ এবং চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট ও চাইতে পারে। এখন ছবি গেজেট কর্মকর্তা কেন সত্যায়িত করবে? সে কি আমার নাম জানে? আর চারিত্রিক সনদ ও তার কাছ থেকে নিতে হবে কেন? আমার চরিত্র ভালো কি না সেটা পুলিশ ভেরিফিকেশন করলেই হয়।

ছবি সত্যায়িত এবং চারিত্রিক সনদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, বা ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাছ থেকে নিতে হবে। কারন তারা আমাদের সুপরিচিত। আর ঐ গেজেটে কর্মকর্তা তো অন্য জেলা থেকে এসেছে। তারা তো আমাদের চিনার কথা না। তাহলে সে আমাদের ছবি সত্যায়িত কিভাবে করে আর আমাদের চারিত্রিক সনদ কিভাবে দিবে? এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

চারিত্রিক সনদ আনতে আমার যে অবস্থা হতো: আমি যখন চারিত্রিক সনদ আনতে যেতাম, তখন সহসা সনদ সত্যায়িত করা গেলেও চারিত্রক সনদ আনতে পারি না। তখন অফিসের পিয়নের পা চেটে চারিত্রিক সনদ আনা লাগতো। আমাদের প্রাণের সোনারগাঁও কলেজ সরকারি হবার পর অধ্যক্ষ এর কাছ থেকে সহজেই চারিত্রিক সনদ আনতে পারতাম।

অন্যজন যা করতো: চাকরির আবেদন উপজেলা পোস্ট অফিস বা জিপিও তে যখন পোস্ট করতে যেতাম তখন দেখতাম অনেকে নকল সীল মোহর বানিয়ে নিজের ছবি তে নিজেই সত্যায়িক করিতেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৭
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×