
কাফেলা। একটি অনুষ্ঠান। যেটা চ্যানেল আই তে; রমজান মাসে ইফতারির আগে সম্প্রচারিত হতো। এখন হয় কি না জানি না। কারন সময়ের অভাবে টেলিভিশনের সামনে বসা হয় না।

এই অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করতেন নুরুল ইসলাম ফারুকী। শহীদ নুরুল ইসলাম ফারুকী ২৪ নভেম্বর ১৯৫৯ সালে পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের নাউতারী নবাবগঞ্জ গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম জামসেদ আলী, তিনিও একজন সুপরিচিত আলেম ছিলেন।
তিনি তার কাফেলা অনুষ্ঠানের ইসলামের ভিবিন্ন দর্শনীয় স্থানে গিয়ে ভিডিও করতেন। এবং আমাদের কাছে উপস্থাপন করিতেন।
তার এই কাফেলা অনুষ্ঠান আমি প্রথম দেখি ২০০৫ সালের রমজান মাসে। এর পর থেকে প্রতি রমজান মাসে তার এই অনুষ্ঠান আমার দেখা চাইই চাই। বিশেষ করি মিশরের পিরামিড নিয়ে তার অনুষ্ঠান ছিলো আমার প্রিয় এপিশোড।
জীবনের শেষের দিকে তিনি বিভিন্ন মাজার নিয়ে ডকুমেন্টারি তৈরি করতেন। আমরা মাজার বলতে যা বুঝি “কোন ভন্ড হুজুর, যিনি ধোকা দিয়ে পয়সা কামায়” এক কথায় নকল পীরদের নিয়ে কোন অনুষ্ঠান বানান নি। তিনি প্রকৃত ও বেছে বেছে আসল পীরদের নিয়ে অনুষ্ঠান তৈরি করেছিলেন।
যাই হউক। এই পীর ও মাজার অনুষ্ঠান তৈরি করার ফলে কিছু ধর্ম ব্যাবসায়ীর ব্যাবাস বন্ধ হবার উপক্রয় হযেছিলো। তাদের একজন ২৭ অগাস্ট ২০১৪ ইং তারিখে নুরুল ইসলাম ফারুকী কে হত্যা করেন। দিনটি ছিলো বুধবার। ৩০ শাওয়াল, ১৪৩৫। ১২ ভাদ্র ১৪৩৫।
যাই হউক। তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অনান্য মুসলিমদের মত ছিলো না। মানে কিছু মুসলিম আছে না সব কিছু তে আলৌকিকতা খুজে। আপেলের ভিতরে আল্লাহর নাম দেখে আশ্চার্য হয়, চাঁদে মানুষের জল ছাপ দেখে আবেগে আব্রত হয়। নুরুল ইসলাম ফারুকী তাদের মত অন্ধ বিশ্বাসী ছিলেন না। তিনি সর্বদা কোরআন ও হাদীস নিয়ে পরিস্থিতি, ঘটনা, অবজেক্ট এবং সাবজেক্ট কে বিশ্লেশন করিতেন। যা ধর্মব্যাবসাীরা পছন্দ করে নাই।
যাই হউক। বেশী কথা বলতে এখন ভয় লাগে। আর আমি কোন কিছু বড় করেও লিখি না। বড় করে লেখতে পাঠকের পড়ার ধৈর্য কুলাবে না। কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে মাফ করে দিবেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:১০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




