ছবি: সংগ্রীহিত।
সম্ভবত ২০০৩ বা ২০০৪ সাল। আমি ইংরেজী সুপারম্যান ও বাংলাদেশী সুপারম্যান দেখি। সুপারম্যান এর সুপার পাওয়ার দেখে আমিও সুপারম্যান এর মত সুপারহিরো হতে চেয়েছিলাম। ২০০৩ সালে আমি তৃতীয় শ্রেনীতে পড়ি আর ২০০৪ সালে আমি চতুর্থ শ্রেনী তে পড়ি। তখন আমি ছোট ছিলাম। সুপারম্যান এর মত সুপার হিরো তখন আমার ক্লাসের সবাই হতে চেয়েছিলো। তাই আমিও সুপার হিরো হেত চেয়েছিলাম।
তখন আমি পড়তাম মতিঝিল সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় এ। থাকতাম উত্তর মুগদা তে। নানায় সোনালী ব্যাংক এর হেড অফিসে চাকরি করতেন। আমি তখন নানা নানীর সাথেই থাকতাম। আর আমি আমার অধিকাংশ জীবন নানা নানীর সাথেই কাটিয়েছি। কোন একদিন নামায পড়তেছিলাম। নামায শেষে দোয়া করতেছিলাম “হে আল্লাহ আমাকে সুপারম্যান বানিয়ে দেও।” কারন আমি জানতাম সুপারম্যান এর অনেক শক্তি এবং তার অনেক সম্মান।
পাশে থাকা নানী আমাকে ধমক দিয়ে বলে “সুপারম্যান কি? সুপারম্যান কি? মুরব্বিদের জন্য দোয়া করবা। কবরবাসীর জন্য দোয়া করবা। ইত্যাদি ইত্যাদি।” আজ আমি সুপারম্যানের মত শক্তি নাই ঠিক। সুপারম্যানের মত কম দায়িত্ব পালন করি না। মানুষকে প্রচুর উপকার করেছি। এই দায়িত্ব পালন এবং উপকার করতে গিয়ে আমার অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। প্রায় সব কাজেই সফলতা হয়েছি। এই সফলতার জন্য মুরব্বিরা আমাকে বাহবা দিতো।
আমার এই সাফল্য এবং সম্মান কিছু লোকের সহ্য হয়নি। “আরে দেখন। নাহলের মত ছেলে এটা করতে পেরেছে। আরে ভাবী আপনার ছেলে কি করতে পেরেছে।” “আরে আসিফ। তুই আর নাহলের মত হতে পারলি না।’ মানুষের এই ধরনের কমেন্ট এর জন্য আসিফ এর ভাবী আমার শত্রু হয়েছে। অতছ আমি মানুষকে উপকার করেছি নির্স্বাথ ভাবে। এই ধরনের লোকেরা আমার বউ এর কাছে গিয়ে আমার নামে বদনাম গাইতো। আমার বউ ওদের কথা সত্য মনে করে আমাকে তালাক দিয়ে চলে গেছে।
সুপারম্যানের মত উপকার আমি এখনো করি। করেই যাবো। তাতে আমার যতই ক্ষতি হউক।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৩৮