
মিশর আমার কাছে একটি রহস্যজনক বস্তু ছিলো। এখন ইহা আমার কাছে তেমন রহস্যময় না। আমার মতে প্রাচীন মিশর আমাদের মতই প্রযুক্তিতে দক্ষ ছিলো। গৃহযুদ্ধে হউক, মহামারি রোহের প্রর্দুভাব, প্রাকৃতিক বিপযর্য় এর কারণে মিশরীয় সভ্যতার পতন ঘটে।

প্রাচীন কালে যে কোন সভত্যা নদীর তীরে বা সমুদ্রের তীরে দেখবেন। সুপেয় পানির সহজলভ্যতার জন্য প্রাচীন সিভিলাইজেশন নদীর তীরে গড়ে ওঠেছিলো। প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার তার ব্যাতিক্রম না। প্রাচীন মিশর নীল নীদীর তীরে গড়ে ওঠেছিলো। আগের দিনে আমার মহ বৃহৎ রাষ্ট্র ছিলো না। সভ্যতার শুরুর দিকে সকল রাষ্ট্র ক্ষুদ্র ছিলো। যাকে নগররাষ্ট্র বললেও ভুল বলা যাবে না। ৫০০০ থেকে ৩২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত সময়কালে মিশরে নগর রাষ্ট্র বা ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত ছিলো। ৩২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ মেনেস নামের এক ফারাও ক্ষুদ্র রাষ্ট্র একত্রিত করেন। এবং নিজেকে মিশরের রাজা বলে অভিহিত করেন। মেমফিশ শহরে মেনেস তাঁর রাজধানী স্থাপন করেন। পরবর্তীকালে এই রাজধানী থিবস শহরে স্থানান্তরিত হয়। রাজা মেনেসের পর থেকে তিন হাজার বছর পর্যন্ত প্রাচীন মিশরে ৩১টি রাজবংশের ইতহিাস পাওয়া যায়।
প্রাচীন মিশরের সরকার ব্যাবস্থা: প্রাচীন মিশর ছিলো রাজতন্ত্র। সরকার প্রধানকে বলা হতো ফারাও। বলতে পারেন রাজা কে তারা ফারাও বলতো। ফারাও এর সহকারীর পোস্টের নাম ছিলো উজির। এই উজির রাজ্যের নিরাপত্তা, অর্থনীতি, ট্যাক্স সংগ্রহ, রাজ মহলের সুবিধা অসুবিধা, রাজার সেবা করা সব কিছু উজিরের কাছে ছিলো। বর্তমানের কাজ কর্ম হিসাব করলে উজির কে ফারাও এর ব্যাক্তিগত সহকারী বলা যায়। আবার তার দায়িত্ব বিশ্রেষণ করিলে তাকে প্রধানমন্ত্রীও বলা যায়।
রাজনীতি তে ধর্মের ব্যাবহার ছিলো প্রচুর। তারা নিজেদের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নিজেদের সৃষ্টিকর্তা বলে দাবি করতো। যার কারনে সে সময়ের জণগণ তাদের ভয় পেতো ও মান্য করিতো। তারা রাজাদের মৃতদেহ এর জন্যই সংরক্ষণ করিতো যে “রাজারা হচ্ছেন দেবতা। তাদের মৃত্যু নেই। মৃত্যুর পর তাদের আত্না আবার দেহে ফিরে আসবে।”

আজ এই পযন্তই।

মোঃ নাহল ইমরোজ
অনার্স (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), মাষ্টার্স (রাষ্ট্রবিজ্ঞান)
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:৪৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




