
অবশেষে পাসপোর্ট হাতে পেলাম। কোন প্রকার দালাল এর সহায়তা ছাড়া। ডিউটিরত আনসার ভাই অনেক সাহায্য করেছেন।
আমি গত ১০-১০-২০২২ ইং তারিখে পাসপোর্ট করিতে যাই। আমাদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জে। আমি আমাদের মুন্সিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যাই। পাসপোর্ট অফিসের দূরত্ব আমাদের ভবেরচর ইউনিয়ন থেকে প্রায় ১৩ কিলো. এবং দুইবার নদী পার হতে হয়।
সদরে গিয়ে ক্লিন সেইভ করলাম। পাসপোর্টের জন্য সোনালী ব্যাংকে টাকা জমা দিলাম। এর পর পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে লাইনে দাড়ালাম। দেখলাম একজন অফিসার কাগজপত্র চেক করেন এবং স্বাক্ষর করেন। পরে আঙ্গুলের ছাপ ও ছবি তুলেন।
পরে ঐ কর্মকর্তা আমার আবেদন পত্র দেখলেন। এবং বললেন আপনার এই এই কাগজ মিসিং আছে। আমি উক্ত কাগজ নিলাম এবং আবেদন পত্র দিলাম। উনি স্বাক্ষর করিলেন। আমি পরে আঙ্গুলের ছাপ ও ছবি তুলে বাসায় আসলাম। আমরা তিন বন্ধু নূরে আলম, আমি আর সাইফুল পাসপোর্ট করলাম। Total পক্রিয়া সম্পন্ন করতে আমাদের চারটা বেজে গিয়াছিলো। আসার সময় আমরা রুটি আর সেভেনআপ, দই খেয়ে বাসায় আসলাম।
যেদিন পাসপোর্ট পাই: আমি নিয়মিত পাসপোর্ট এর লিংকে আমার পাসপোর্ট এর অবস্থা চেক করতাম। আমার পাসপোর্ট রেডি এই মর্মে একটি এসএমএস পাই।
যখন আমি এসএমএস পাই তখন ছিলাম গাইবন্ধা তে অবস্থান করছিলাম। তাই্ ঐ দিনই বাস ধরে বাস আসলাম। বাড়িতে আসতে আসতে ভোর তিনটা বাজে। পরে ৬টা ঘুমালাম। ৬টা বাজে ওঠে রেডি হতে লাগলাম। সাড়ে ৬ বাজে মুন্সিগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের উদ্দ্যেশে রওনা দেই। ৭ টা বাজে মুন্সিগঞ্জ সদরে পৌছালাম। হোটেলে খেয়ে লাইনে দাড়ালাম। ৪ নং সিরিয়ালে পাসপোর্ট পেলাম। পরে আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে ওরা আমাকে পাসপোর্ট দিলো। সাড়ে আটটার মধ্যে পাসপোর্ট পেলাম। পরে পাসপোর্ট নিয়ে বাসায় আসলাম।
আমার দৃষ্টিতে পাসপোর্ট: আমার দৃষ্টিতে পাসপোর্ট কোন প্রকার পরিচয় পত্র না। ইহা একটি বিদেশ ভ্রমণে রাষ্ট্রপতি কতৃক অনুপতি পত্র। রাষ্ট্রপতি আমাকে বিদেশ ভ্রমণে অনুমতি দিয়েছে। এবং পাশাপাশি ভিসা দাতাদের সুপারিশ করেছে “আমি যাতে আনইগত নিরাপত্তা পাই।” আমার এই ধারণা পাসপোর্ট এই অংশ পড়ে পেয়েছি।

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে সেই বিষয়ে একটি ব্লগ পূর্বেই লিখেছি। এই যে তার লিংক।
মো: নাহল ইমরোজ
অনার্স (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), মাষ্টার্স (রাষ্ট্রবিজ্ঞান)
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



