এটা শুধু একটি গল্প। এই কাহিনীর সাথে কারো জীবনে কোন মিল নাই। যদি করো জীবনের সাথে এই গল্প মিরে যায় তাহলে এটা কাকতালীয়।
২০ অগাষ্ট ২০১৪।
আজ এইচএসসি এর রেজাল্ট দিয়েছে। নাহিদ ইংরেজী তে ফেইল করে। তাই সে আজ খুব ভীত। এতটাই ভীত যে, ভয়ে কলিজা শুকিয়ে গেছে। বাসায় কি যেন হয়!! তাকে তো বাড়িরে লোকেরা মেরেই ফেলবে। দূরের আত্নীয়রা ছি! ছি! করবে। হলোও তাই। বাসায় আজ ঝড় এসেছে। সেই ঝড়ে লন্ড ভন্ড হয়েছে নাহিদ। মা এর বকুনি তে সে আরো চুফসে গেলো। মনে হচ্ছে যেন আজ যদি আজরাইল এসে তার জীবন নিয়ে যোতো; তাহলে কতই না ভালো হতো।
২১ আগষ্ট ২০১৪।
আজ পত্রিকাতে পুলিশের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। নাহিদ মনে মনে ভাবে এই অপমানের জীবন থেকে সিপাই এর চাকরি করা অনেক ভালো। লোকে অন্তত সম্মানের চোখে দেখবে।
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
আজ নাহিদ মুন্সিগঞ্জ পুলিশ লাইনে এসেছে। সামনে সবাই রিজেক্ট হয়ে যাচ্ছে। এই দেখে নাহিদের গলা শুকিয়ে গেলো। আজ নাহিদ কে খুব অসহায় দেখাচ্ছে। সে ইতিমধ্যে আল্লাহর নাম নিতে শুরু করলো। এবং তার হৃদস্পন্দন বেড়ে গেলো।
এখন নাহিদের সিরিয়াল আসলো। নাহিদের মুখ দেখে অফিসারের খুব মায়া হলো। এবং নাহিদ কে পরের পরীক্ষার জন্য সিলেক্ট করা হলো।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪
আজ নাহিদ কিছুটা চিন্তা মুক্ত। কারন সে সকল পরীক্ষা ভালোবাবে দিয়েছে। এখন বাসায় পলিশ এসেছে। নাহিদের ভেরিফিকেশন এর জন্য।
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪
আজ নাহিদ খুব খুসি। পোস্ট মাষ্টার এসেছে। নাহিদের চাকরির খবর নিয়ে। আজকে নাহিদ রাতে তারা দেখে। আল্লাহ কত সুন্দর করে পৃথিবী বানিয়েছে। আজ আনন্দে নাহিদের ঘুম হচ্ছে না।
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪
আজ নাহিদ রেল স্টেশন এসেছে। ট্রেনিং এর জন্য চট্টগ্রাম যাওয়া লাগবে। আজ কি সুখ নাহিদের। দুনিয়ার সকল দু:চিন্তা নাই হয়ে গেছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২২