কোন একদিন রাতে বিএসএফ এর এক সৈনিক আলীপুর দুয়ারের এক বর্ডারে ডিউটি করছিলেন। শীতের রাত। কনকনে ঠান্ডা। পাহাড়ী ভূ-প্রকৃতির জন্য এলাকাটি আরো নীরব লাগছে।
বিএসএফ এর সেই সৈনিকের ঠান্ডায় নাজেহাল অবস্থা। চেক পোস্টের চেয়ারে বসে একটু রেস্ট নিচ্ছিলো। এমন সময় দূরে কি যেন নড়ে ওঠলো। ছায়ার মত কি যেন!
নাহ! এ এক আলো ছায়ার খেলা। “কোন কুকুর হয়তো রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলো।” মনে মনে ভাবলো সৈনিক টি।
এবার আবার তার মনে হলো দূরে কোন বিরাট বড় ছায়া মূর্তি নগে ওঠলো। সৈনিকটি এবার সেই দিকে সতর্ক দৃষ্টি নিক্ষেপ করিলেন। দেখলেন অধের্ক মানুষ আর অর্ধেক সাপ জাতীয় প্রাণী এই দিক দিয়ে চলে গেলো।
ইহার সাইজ দেখে সৈনিকটি ভয় পেয়ে গেলো। সে আরো ভয় পেলো প্রাণী কে দেখে।
পরের দিন সকালে সৈনিক সেই স্থানে আবার গেলো। রাতে কি দেখেছে সেই ব্যাপারে তদন্ত করিতে। সেই গ্রামে গিয়ে দেখলো একজন বাচ্চার লাশ। লাশটি অর্ধেক খাওয়া।
এই লাশ এর ব্যাপারে গ্রাম বাসী কে জ্ঞিগাসা করিলেন। আর জানতে পারলেন প্রতি শীতে একটি ভূত জাগ্রত হয়। এবং একটি শিশু ভোগ না করিলে তার শান্তি হয় না।
সৈনিকটি তার ক্যাম্পে আসিলো। এবং তার উর্ধ্বতন কর্তকর্তা কে এই নতুন প্রাণীর ব্যাপারে জানায়। “এই প্রানী নিয়ে গবেষণা দরকার” মনে মনে ভাবলো।
এটা ভারত। তাই এই জন্তু কে কোন আলৌলিক ক্ষমতা সম্পন্ন প্রাণী মনে করছে। এটা আমেরিক হলে নাসা, এরিয়া ৫২ কত কিছু করে ফেলতো। ন্যাশলাল জিওগ্রাফি, ডিস্কোবারি চ্যালেন একে নিয়ে কোন সাইন্স ফিকশন অনুষ্ঠানের দু একটি এপিশোড বানিয়ে ফেলতো।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩১