
তারিখ ১৯৩৯ এর ১৬ ই ডিসেম্বর। তিখন ব্রিটিশ সরকার এই অঞ্চলে শাসন করতো। ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে একটি ভাড়া করা বাড়িতে (বর্তমানে এটি বোরহান উদ্দিন কলেজ) দুটি স্টুডিও নিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়। প্রথম নামকরণ করা হয় “ঢাকা ধ্বনি বিস্তার কেন্দ্র”।১৯৬০ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারি তে এই রেডিও স্টেশন কে শাহবাগে হস্তান্তর করা হয়।
বর্তমান যে বাংলাদেশ বেতারের স্টেশন সেটা ঢাকার আগারগাওঁ এ যেটা ১৯৮৩ সালের ৩০ জুলাই তারিখে স্থাপন করা হয়। সূত্র: বাংলাদেশ বেতারের সরকারি ওয়েবসাইড
এখন সব মোবাইলে এফএম রেডিও রয়েছে। আমার মোবাইলেও রয়েছে, আপনার মোবাইলেও রয়েছে। একটা সময় ছিলো যে রেডিও ছিলো বিনোধন এর একমাত্র মাধ্যম। এখন আই ফোন আর সরকারি চাকরি যার আছে তার ইজ্জত যেমন বেশী। তখন এই রেডিও যার কাছে ছিলো তার দাম ছিলো আকাশ ছোয়া।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ বেতারের ভূমিকা ছিলো অপরিশীম। বেতার থেকে মুক্তিযুদ্ধের খবর। মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণামূলক গান ইত্যাদি সম্প্রচার করা হতো।
এখন। আসল কথায় আসি। ২০২০ সালে একদিন নিম্মচাপ সৃষ্টি হয়। আমরা তখন চুয়াডাঙ্গাতে ছিলাম। নিম্মচাপের সময় তুফান চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তিন দিন কারেন্ট ছিলো না। এন্ড্রোয়েট মোবাইলে চার্জ ছিলো না। এন্ডোয়েটে যতক্ষন চার্জ ছিলো ততক্ষন ফেসবুক চালানো যাচ্ছিল না, কারন মোবাইলে নেটওয়ার্ক ছিলো না। তবে নরমাল বাটন মোবাইলে তখনও ভালই চার্জ ছিলো। কোনমতে মোবাইলে কথা বলা যেতো। আমি তখন মনে মনে ভাবতেছিলাম এখন যদি বাংলাদেশ বেতার এর ফিকুয়েন্সি চুয়াডাঙ্গা পযর্ন্ত আসতো তাহলে কতই না ভালো হতো।

আবার অনেকে আছে জীবিকার তাগিদে লঞ্চে মাসের পর মাস কাটিয়ে দেয়। তাদের আবহাওয়ার খবর শুনানোর জন্য হলেও বাংলাদেশ বেতার এর ফিকুয়েন্সি সারা দেশে বিস্তৃত করা উচিত।
আমি সর্বশেষ রেডিও শুনেছি ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে। আমার প্রিয় রেডিও অনুষ্ঠান Bhoot FM এর এটা শেষ পর্ব ছিলো। রেডিও স্টেশন ছিলো রেডিও ফূর্তি। আপনি কবে শেষ রেডিও শুনেছেন।
উল্লেখ্য আমি ২০০০ সালে একবার রেডিও বাজিয়ে দেখেছি। পোস্ট অফিস, ডাকপিওন, হলুদ খাম দেখেছি। থ্রি জি, ফোর জি ও দেখছি।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৩০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




