
একজন মানুষ তার মনের কথা, মনের সুপ্ত ভাষনা একটি কাজগে লিখতেন। পরে এমন হলুদ খামে পাঠাতেন। যে প্রতিষ্ঠান চিঠি প্রেরকের কাছ থেকে প্রাপকের কাছে পৌছে দিতো তার নাম “ডাক ঘর”।
আপনার সেই চিঠি পরম যত্নে হলুদ, খাটি পোষাক পড়ে প্রাপকের কাছে যে ব্যাক্তি চিঠি বিলি করতেন তার নাম রানার। তিনি শুধু চিঠিই পাঠাতেন তা নয়, তিনি মানি অর্ডারও বিলি করতেন। যখন ব্যাংক এর শাখার সংখ্যা খুব কম ছিলো, যখন বিকাশ/নগদ এর মত সার্ভিস ছিলো না; তখন দূরে টাকা পাঠানোর জন্য পোস্ট অফিস যে সার্ভিস এর মাধ্যমে টাকা প্রাপকের কাছে পৌছে দিতো, সেই সার্ভিস এর নাম মানি অর্ডার।
স্বামী বা স্ত্রী অপেক্ষা করতো তার সঙ্গীর চিঠির জন্যে। মা অপেক্ষা করতো তার সন্তানের চিঠির জন্যে। দাদা অপেক্ষা করতেন নাতির চিঠির জন্য।
কতই না আবেগ মিশানো থাকতো সেই চিঠিতে। ম্যাসেজ্ঞারে সেই আবেগ নাই। পোস্ট অফিস, ডাকঘর, ডাক পিয়ন, ডাক টিকেট, মানি অর্ডার, এয়ার মেইল, রানার, হলুদ খাম। ২০০৫ সালের পরে যাদের জন্ম তারা এসব জিনিস চিনবেই না। তারা এসবের নামই বলতে পারবে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:১৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




