somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সামাজিক পরিবর্তন

১২ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



অনেকদিন পর বন্ধুরা একসাথে হয়েছে। একজন অবসর প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা। আরেকজন ঢাকা মেডিক্যাল এর প্রফেসর। আরেকজন কোন এক সরকারি কলেজের শিক্ষক। আরেকজন বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী।

একজন বলে উঠলো। “আমরা তো ক্লাস ফাকি দিয়ে গজারিয়া ঘাটে আড্ডা দিতাম। চল। আজ সেখানে যাই।”

গজারিয়া ঘাটে যাওয়ার সময় চোখে পড়লো নিপা স্টুডিও এবং ভিডিও সেন্টার।

তারা একটু সেখানে থামলো। আর মালিকের সাথে দেখা করতে গেলো। কারন, স্কুলে পড়ার সময় এই স্টুডিও মালিক তাদের খুব আদর করতেন। এসএসসি পরীক্ষার রেজিষ্ট্রেশন ও ফরম ফিলাপের সময় উনি সবার ছবি তুলে দিয়েছেন। চাকরির আবেদন ও সিভি তে যত গুলো ছবি প্রিন্ট করা, সব উনার স্টুডিও থেকে। এমন কি বিয়ে করার সময় মডেলিং করে ছবি তোলা, সব এই স্টুডিও থেকে।

পুরাতন মালিক নাই। সেই স্থানে আছে এক ১৮ বছরের এক ছেলে। মালিকের সাথে তার সম্পর্ক দাদা আর নাতি।

নাতি বিয়ে বাড়িতে গিয়ে ভিডিও করে। স্টুডিও তে এসে এডিটিং করে। এতে করে তার খুব লাভ হয়।

মালিকের নাতি সাথে তারা ১০ মিনিট কথা বললো।

কথায় কথায় নাতি বলেন “এখন আর কেউ আগের মত স্টুডিও তে ছবি তুলতে আসে না। সেলফির যুগে এমন স্টুডিও বেমানান। তার মধ্যে পাড়ার গলির ফটোকপির দোকানে ৫ ফুট সাইজের ছবি প্রিন্ট করা হয়। তাই আমি ভিডিও এডিটিং শিখেছি। শীত কালে ভালো মুনাফা হয়। দোকান এখন আমিই চালাই। সরকারি চাকরি করলে হয়তো এত স্বাধীন ও এত ইনকাম করতে পারতাম না।” তারপর কিছু কুশল বিনিময় করে ভদ্রলোকগণ চলে গেলেন।

যেতে যেতে দেখলেন আলম ভাই এর চা এর দোকান। আলম ভাই ২০০ টাকা পেতেন। তাই সবাই গাড়ি থেকে নামলো। এবং আলম ভাই এর চা এর দোকানে গেলেন। এটা চা এর দোকান বললে ভুল হবে। এটা একটি রেস্টুডেন্ট। আলম ভাই উনাদের চিনলেন। আলম ভাই তাদের পাওনা টাকা মাফ করে দিয়েছেন।

আলম ভাই এর দোকানেই অনেক ক্ষন চলিয়ে গিয়াছে। তাই তারা আর গজারিয়া ঘাটে গেলো না।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৪
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কবে হবে ভোর?

লিখেছেন পাজী-পোলা, ৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫

আর কত অন্ধকার গাঢ় হলে ভোর হবে?
আর কত শলাকা পুড়ালে বুকের দহন মিটবে?
আর কত নিকোটিন পূর্ণ হলে এই হৃদয়ে তোমার মৃত্যু হবে?

বিকলাঙ্গ ফুসফুস, তোমার আশায় কেবল দম বাড়ে
আর কত নিরাশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আমার আমিতে আমিময়

লিখেছেন জেরী, ৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৮

করোনাকালীন সময়ে যখন মুখে মাস্ক পড়া লাগত তখন থেকেই এই অদ্ভুত অভ্যাস দেখা দিল।মাস্ক পড়ে রাস্তা দিয়ে হেটে যাই পরিচিত মানুষরা,রিলেটিভরা এমনিকি আমার কাছের একবান্ধবী ও দেখি আমাকে চিনে না।বান্ধবী... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাঙন গগনে ঘোর ঘনঘটা || একটা অদ্ভুত ও বিচিত্র সুরের রবীন্দ্রসঙ্গীত || বেশ কিছুদিন পর আবার ফিরে এলাম গানে

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫০

শাঙনগগনে ঘোর ঘনঘটা, নিশীথযামিনী রে।
কুঞ্জপথে, সখি, কৈসে যাওব অবলা কামিনী রে।
উন্মদ পবনে যমুনা তর্জিত, ঘন ঘন গর্জিত মেহ।
দমকত... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ কথা রাখেনি। না, রাখার ক্ষমতা নেই ?

লিখেছেন স্প্যানকড, ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৪:২৪

ছবি নেট ।

ন হন্যতে বইটি মৈত্রীয় দেবীর যা উনি লিখেছিলেন ফরাসি লেখক মির্চা এলিয়াদের লা নুই বেংগলীর জবাব স্বরুপ।মৈত্রীয় দেবীর দাবি তিনি মির্চার প্রেমে পড়েন নি তিনি প্রেমে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসলেই কি সরকার এবার পারবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৫৫




সরকারী দলের কোন প্রার্থী হারতে চাইবে না। অত:পর যারা হারবে তাদের সবাই যদি বলে নির্বাচন সুষ্ঠ হয় নাই। যারা নির্বাচনে আসে নাই তারা তো বলবেই নির্বাচন সুষ্ঠ হয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×