
এটা কি জানেন? এটা একটা কাগজ। এটা বর্তমান যুগের মুদ্রা। এটা বাংলাদেশের মুদ্রা। এই কাগজের দাম ১ হাজার টাকা। মানে এই একটি কাগজ দিয়ে সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকার মূল্যের সেবা ভোগ বা পন্য ক্রয় করতে পারেন।
আগের দিনের মানুষ পন্য বিনিময়ে পন্য ক্রয় বিক্রয় করতেন। যেমন এক কেজি মরিচ দিয়ে একটি গরু ক্রয়। বা একজনের পরিশ্রমের মজুরি হিসেবে একটি দিনমুজুর কে গরু প্রধান।
এই ধরনের জিনিসের একটা সমস্যা হয়ে দাড়ারো। লেনদেন এর জন্য এমন একটি বিনিময় মাধ্যম দরকার ছিলো যা সহজে পরিবহন যোগ্য, সহজে বিনিময় যোগ্য, যা সেভিং করার যোগ্য যা খুব তরল। এবং যার দ্বারা কোন কিছুর দাম সহজে মূল্য নির্ধারন করা যায়।
দেখা যাচ্ছে যে এক কেজি মরিচের জন্য একটি গরু। এটা বেশী দামী হয়ে যায়। আবার মনে করেন এক কেজি মরিচ সেভিং করা যায় না। আবার অন্য দিকে দিন মুজুর তার মুজুরি হিসেবে প্রাপ্ত গরু যদি রাস্তায় মারা যায়, তাহলে সেই দিনমুজুর এর মুজুরি নাই হয়ে যাবে।
হযরত আদম (আঃ) এর সময়, আমাগো জাত ভাই আমাদের বাপ আদম (আঃ) এর কাছে লেনদেন এর সমস্যার কথা বলেন। এবং আদম (আঃ) আল্লাহর কাছে বলেন। আল্লাহ আমাদের লেনদেন এর সুবিধার জন্য স্বর্ন দিয়েছেন।
স্বর্ন সহজে বিনিময় যোগ্য। স্বর্নের দ্বারা যে কোন পন্যের দাম সহজে নিরুপন করা যায়। স্বর্নকে সেভিং করা যায়। একটি স্বর্নের খন্ড কে দুই ভাগ করলেও এর দাম কমে না। এই স্বর্ন যে কোন দেশে, যে কোন টাইম লাইনে বিনিময় করা যাবে।
টাকার ও সহজে বিনিময় যোগ্য এবং সেভিং করা যায়। টাকার কয়েকটি সমস্যা আছে। টাকা বাংলাদেশের বাহিরে বিনিময় যোগ্য না। টাকা ছিড়ে গেলে, তা দিয়ে বিনিময় করা যায় না। টাকা তার ক্ষমতা হারায়। যেমন ২০০৩ সালে আমি ৫ টাকা দিয়ে পেট ভরে হোটেলে সকালের নাস্তা খেতে পারতাম। এখন একটা রুটি আর ভাজিই ৩০ টাকা। আপনি ২০১১ সালের এক হাজার টাকাকে টাইম ট্রাভেল করে ২০০৩ সালে ব্যাবহার করতে পারিবেন না। সুতরাং কারেন্সি হিসেবে স্বর্নই ভালো।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:০১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




