এটা আমার নানার বাড়ি। নানা নানী এই ব্লিডিং এ থাকতেন।
![](https://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/imroz74/imroz74-1709288868-e97a860_xlarge.jpg)
আমার নানী মারা যান গত ১৪ ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখ। তিনি শ্বাস কষ্টের জন্য গত ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখে মুগদা সরকারি মেডেকেল কলেজে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি আমাদের ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে যান।
আমার নানা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমরা মুক্তিযোদ্ধার নাতি। আমার নানী পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এর একজন স্টাফ ছিলেন। অনেক বাচ্চাদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াইছি। আমার নানীর বাড়িতেই টিকা দান কেন্দ্র ছিলো।
এর আগে নানী জিপিও এবং বিটিটিবি (বিটিসিএল এর আগের নাম) এ চাকরি করেছেন। ২০০১ সাল থেকে ২০০৪ সাল পযর্ন্ত আমি নানা নানীর সাথেই ছিলাম। তখন আমার নানা সোনালী ব্যাংক, হেট অফিসে চাকরি করতেন। আমি পড়লাম মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয এ। নানী তখন ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে গিয়ে চাকরি করতেন।
![](https://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/imroz74/imroz74-1709290004-e2cd856_xlarge.jpg)
![](https://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/imroz74/imroz74-1709290014-761690b_xlarge.jpg)
২০০৫ সালে আমি আমার আব্বু আম্মুর সাথে চলে যাই। আমার আব্বু সরকারি চাকরি করেন। তখন আমার আব্বুর পোস্টিং ছিলো জয়পুরহাট। ২০০৯ সালে আমি ভবেরচর (গজারিয়া, মুন্সগিঞ্জ) চলে আমি। আবার শুরু হয় নানীর সাথে থাকা। আমার নানী আমাকে খুব আদর করতেন। আমি কলেজে গেলে তিনি তাকিয়ে থাকতেন। কলেজ থেকে আসার সময দেখতাম তিনি আমার জন্য বারিন্দায় বসে থাকতেন।
![](https://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/imroz74/imroz74-1709290201-833112d_xlarge.jpg)
নানী বাড়ির প্রথম তালা নানা করে দিয়ে যান। নানা মারা যান ২০১০ সালের ডিসেম্বর এর ১২ তারিখে। পরে ২০১৭ সালে নানী ২য় তলা কমপ্লিট করেন। তার পরপরই নানী ২য় তরায় সিফট করেন। তখন আমি অনার্স ৩য় বর্ষে পড়ি। তখন পরীক্ষার সময় পরীক্ষা শেষ হতে হতে বিকাল হয়ে যেতো। সোনারগাওঁ (নারায়ণগঞ্জ) থেকে ভবেরচর (মুন্সীগঞ্জ) আসতে আসতে রাত হযে যেতো। তখন দেখতাম তিনি বাম সাইডের বারান্দাতে বসে আছেন। আমি বাহিরে গেলে বাসায় যেতে যেতে মাগরিব হয়ে যেতো। তখন দেখতাম তিনি নামায পড়ে বারিন্দা তে বসে আছেন। কোন কারনে কলেজ থেকে ফিরতে দেরী হলে ফোন দিতেন। ২০২০ সালের লক ডাউনর সময় আমি আব্বুর সরকারি কোয়াটারে আটকে যাই। এর পরে আর নানী বাড়ি স্থায়ী ভাবে থাকা হয় নি। এর পর আমরা নানী বাড়ি বেড়াতে যেতাম। আব্ব আম্মুর সাথে থাকলে নানী ফোন করে খোজ খবর নিতেন।
সেদিন সব কাজ সেরে বাসায় যেতে যেতে একটু রাত হয়েছিলো। অন্ধকার বাড়ি। তখন মনে হচ্ছিল, এখই নানী বারিন্দা থেকে বলবে “ভাইজু আইছো?”
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:০৪