somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জন্ম নিবন্ধন ও ডিজিটাল ওয়ারিশ সনদ।

২১ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ভূমিকা:
একটা সময় ছিলো সরকারি চাকরিতে এপ্লাই করার সুবাধে প্রচুর চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট (নাগরিকত্ব সনদ) নেওয়া লগতো। সেই সুবাদে ঘন ঘন চেয়ারম্যান অফিস/ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে যাওয়া লাগতো। মাজে মাজে এমনও হতো যে চেয়ারম্যান অফিসে গেলে গ্রাম পুলিশ, উদ্যোক্তা, আর সচিবের সাথে গল্প করতাম। ইউনিয়ন পরিষদ সচিব একজন সরকারি স্টাফ যিনি ইউনিয়ন পরিষদ এ যাবতীয় অফিসিয়াল কাজ দেখাশুনা করেন। আর উদ্যোক্তা হচ্ছে কম্পিউটার ম্যান যিনি জন্ম নিবন্ধন করেন। ও চেয়ারম্যান এর প্যাডে যাবতীয় জিনিস লিখে দেন।

২০১৬ বা ২০১৭ সাল এর ঘটনা। আমি আর আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ এর সচিব (মোকারম ভাই) এর সাথে কথা বলছি। উদ্দেশ্য হোল্ডিং ট্যাক্স দেওয়া। বাহিরে এমন বৃষ্টি পড়ছিলো। অক্টোবর নভেম্বর এর সময়। আমি হোল্ডিং ট্যাক্স দিলাম। এমন সময় এক মুরব্বি আসলেন। উনি ওয়ারিশ সনদ পত্র নিবেন। তখন হাতে লেখা ওয়ারিশ সনদ পত্র দেওয়া হতো। মোকারম ভাই বললেন “এই ফরম পূরন করে, মেম্বরের স্বাক্ষর নিয়ে আসেন।” মেম্বারের স্বক্ষরের কথা শুনে মুরব্বি ব্যামাচেকা খেয়ে গেলেন। সামান্য ওয়ারিশ সনদ পত্রের জন্য মেম্বরের পিছু পিছু ঘুরমু। তখন মুরব্বি রাগন্বিত কন্ঠে বলেন “আগে তো চেয়ারম্যানরা ওয়ারিশ সনদ পত্রে স্বাক্ষর দিয়ে যেতেন। এখন কেন ওয়ারিশ সনদে স্বাক্ষর করেন না?” উত্তরে আমাদের মোকারম ভাই বলেন “আগের দিনের মানুষ একজনের জমি আরেক জন মেরে খেতো না। এখন একজনের জমি আরেক জন মেরে খায়।”

২য় ভাগ: সরকার এখন জন্ম নিবন্ধন কে খুব শক্তিশালী করেছে। আগে জন্মনিবন্ধন হতে লেখা ছিলো। ২০১৪ সালে সকল জন্ম নিবন্ধন, অনলাইনে ঢুকায়। অনলাইনে জন্মনিবন্ধন এন্ট্রি করার সময় অনেক ভুল হয়। সরকার সেই ভুল স্বীকার করে সংশোধন এর সুযোগ দেয়। ২০১৬ সালে জোর করে সরকারি কর্মচারী ও বিদেশগামীদের জন্মনিবন্ধন সংশোধন করায়। এই জিনিসটি আমাদের ভালোর জন্যই করা। ২০২০ সালের পর জন্মনিবন্ধন কে খুব মোডিফাই করে। দেখে মনে হলো যে জন্মনিবন্ধনই হবে ভবিষৎ এর জাতীয় পরিচয় পত্র যেখানে একজন নাগরিক এর সকল তথ্য থাকবো।

সরকার ২০২১ সালের দিকে একটি সিস্টেম করে। ২০০১ সালের পর যাদের জন্ম তাদের জন্ম নিবন্ধনে বাপ মা এর জন্ম নিবন্ধন নাম্বার এন্ট্রি করা বাধ্যতামূলক। এটা দেখে আমি কিছুক্ষন চিন্তা করলাম। সরকার এটা কেন করলো? আমার জন্ম ১৯৯৫। তারপরেও আমি আমার জন্ম নিবন্ধন নাম্বারে আমার আব্বু আম্মুর জন্মনিবন্ধন নাম্বার এন্ট্রি করেছি। শুধু তাই না, আমি আমার আম্মুর জন্ম নিবন্ধন নাম্বারে নানা নানীর জন্ম নিবন্ধন নাম্বার এন্ট্রি করেছি।

নানা ও নানীর জন্ম সনদ করা ছিলো। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবাধায়ক সরকার এই কাম কইরা থুইয়্যা গেছে। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে নানার মৃত্যু সনদ করি। হাতে লিখা মৃত্যু নিবন্ধন, না কিন্তু। নানার জন্ম নিবন্ধন কে মৃত্যু নিবন্ধন তে কনভার্ট করা ডিজিটাল মৃত্যু সনদ। যা অনলাইনে যাচাইযোগ্য। পরে আমার মাথায় আসলো যে এই সিস্টেম করলে ভবিষৎ এ ডিজিটাল ওয়ারিশ সনদ পত্র করা যাবে। সরকার এটাই ভবিষৎ এ করবে।

তাই আপনারা আপনাদের জন্মনিবন্ধন এ আপনাদের আব্বু আম্মুর জন্ম নিবন্ধন নাম্বার এন্ট্রি করেন। আর আপনার সন্তানদের জন্মনিবন্ধন এ আপনার আর আপনার স্ত্রীর জন্ম নিবন্ধন নম্বর এন্ট্রি করেন।

জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার সরকারি ওয়েব সাইড
[ডিজিটাল ওয়ারিশ সনদ পত্র উত্তলন এর ওয়েব সাইড।

আপনাদের পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ যদি ডিজিটাল ওয়ারিশ সনদ পত্র উত্তলন এর সুযোগ থাকলে, আপনারা ডিজিটাল ওয়ারিশ সনদ তুলেন। এটাকে ফটোকপি করে চালাতে পারবেন।

সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫০
৯টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×