সরল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সংমিশ্রণে একটি ঘূর্ণায়মান পথ জুড়ে ঘুরে বেড়ানোর অবস্থানে আমি খুব শান্তি অনুভব করি। নদীর জল ছুঁয়ে পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের সঙ্গে এক আন্তরিক সংযোগ অনুভব করি। প্রাকৃতিক গোধূলিতে এই জায়গাটির অসীম শান্তি আমার মনের মধ্যে থাকে এবং এটি আমাকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অমূল্য মূল্যের কথা মনে করিয়ে দেয়।
এই ছবিটি চুয়াডাঙ্গার এক ভাই প্রকাশ করেছেন। এই যে তার ফেসবুক আইডি। ধন্যবাদ ভাই কে এমন ছবি ফেসবুকে আপলোড করার জন্য।
ছবিটি দেখে আমার ২০০৯ সালের ঘটনা মনে পড়ে গেলো। সে সময় আমাদের নানার বাড়ি এমন সুন্দর ছিলো। পাশে রসুলপুর ঘাট। এমন একটি খাল রাস্তার পাশে বয়ে গেছে। রাস্তার দুই ধারে কড়ুই গাছ। মেঘলা আবহাওয়া। আহা কি সুন্দর! সে সময় মানুষ সহজ সরল থেকে কুটিল হতে শুরু করেছিলো। এখনকার মানুষ প্রচন্ড কুটিল। শয়তানও এখন মানুষকে দেখে ভয় পায়।
আমি ২০১১ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ইন্টারে ওঠলাম। আমি এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি নানা বাড়ি থেকে। আমার নানার বাড়ি সাতকাহনিয়া গ্রাম, ডাকঘর: ভবেরচর, গজারিয়া, মুন্সীগঞ্জ। আমাদের উপজেলা একটি দ্বীপ জাতীয় উপজেলা। মানে আমাদের গজারিয়া উপজেলা নদী দিয়ে বেষ্টিত। আমাদের উপজেলার উত্তরে নারায়নগঞ্জ এর সোনারগাওঁ উপজেলা, দক্ষিনে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলা। দাউদকান্দি আমার সাবেক স্ত্রী এর বাসা। পূর্বে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা। পশ্চিমে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা।
২০১১ সালে আমি এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে হবিগঞ্জ এ গিয়েছিলাম। আমার আব্বু সেখানে চাকরি করতেন। তখন আমার মন রঙ্গ রসে ভরা ছিলো। এসএসসি পরীক্ষার ছুটির পর মামা আমাদের হবিগঞ্জের সরকারি কোয়ার্টরে বেড়াতে আসেন। আর একটি মাইক্রো বাস ভাড়া করেন। আর আমারা মৌলভি বাজার এর বিভিন্ন চা বাগান ও পাহাড়ে বেড়াতে গিয়েছিলাম।
স্থান: মৌলভীবাজার এর কোন এক পাহাড়।
ছবিটি তুলেছিলাম নকিয়া ৫১৩০ মোবাইল দিয়ে। যদিও এটা কোন স্মার্ট ফোন ছিলো না। তবে এর ফাংশাং কোন অংশে এন্ডোয়েট এর থেকে কম ছিলো না। এটা ছিলো সে সময়কার স্মার্ট ফোন। অপেরা মিনি দিয়ে ইন্টারনেট ব্লাউজিং, গান শোনা, এফএম রেডিও তে ভূত এফ এম শুনা ছিলো আমার নিয়তিম অভ্যাস।
২০১১ সালে রেডিও ছিলো জনপ্রিয় বিনোদন এর মাধ্যম। সে সময় সবচেয়ে জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ছিলো ভূত এফএম। যেটি রেডিও ফূর্তিতে বৃহস্পতিবারে রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে প্রচারিত হতো। তখন ইউটুব এর প্রচলন তেমন ছিলো না। তাই রেডিও তে এই অনুষ্ঠান শুনতাম। বর্ষার রিমিঝিমি বৃষ্টির শব্দে ভূত এফএম শুনতে ভালো লাগতো। আর ভালো লাগতো শীতে লেপের নিচে গিয়ে ভূত এফ এম শুনতে। আমি আমার মেমরি কার্ড এর শুধু কিছু সিলেকটিভ গান রাখতাম। যেসব গান ভালো লাগতো সেগুলো রাখতাম। যেগুলো গান কম্পিউটারের দোকানে পাওয়া যেতো না সেগুলো ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে নিতাম।
২০১১ সালে আমি জুন মাসে কলেজে ভর্তি হই। কারন সে সময় এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে, রেজাল্ট বাহির হতে হতে মে মাস এসে যেতো। আর জুনে কলেজ ভর্তি নিতো। কোন এক বৃষ্টির দিনে আমি কলেজে প্রথম ক্লাস করেছিলাম। আর কোন এক মেঘলা দুপরে ভবেরচর বাস স্ট্যান্ড থেকে বই কিনে বাসায় আসি। সে সময় ভবেরচর বাস স্ট্যান্ড থেকে বাসায় আসার পথটি প্রায় এমন ছিলো।
চুয়াডাঙ্গা ভাই এর সেই ছবিটি। লিংকে ঢুকে দেখতে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০২