বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। দেশের অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজ, দিনমজুরি কিংবা শ্রমনির্ভর পেশার সঙ্গে জড়িত। তাদের পরিশ্রমের ফসলেই আমাদের দেশের অর্থনীতি এগিয়ে চলছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, যারা রক্ত-ঘাম ঝরিয়ে টাকা উপার্জন করেন, তাদের হাতে থাকা টাকাগুলোই সবচেয়ে বেশি দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।
গরম, ঘাম এবং দৈনন্দিন ব্যবহারজনিত কারণে আমাদের পকেটে রাখা ব্যাংক নোটগুলো অল্প সময়েই ছিড়ে যায়, বিবর্ণ হয়ে যায় এবং পুরাতন দেখায়। বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষের কাছে টাকার নোট টিকিয়ে রাখা অনেক কষ্টকর হয়ে পড়ে। একদিকে ঘামে নোট ভিজে যায়, অন্যদিকে তা ছিড়ে গিয়ে প্রায় অচল হয়ে পড়ে। ফলে স্বাভাবিক লেনদেন ব্যাহত হয়, মানুষের সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়।
এ অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি আমাদের জোরালো আহ্বান
==> এমন ব্যাংক নোট চালু করা হোক যা ঘাম, গরম এবং দৈনন্দিন কঠিন ব্যবহারের পরেও দীর্ঘদিন টিকে থাকতে সক্ষম।
==> বাজারে থাকা ছিড়া, পুরাতন, অচল নোট সংগ্রহ করে তা বাতিল করে সমপরিমাণ নতুন টাকার নোট বাজারে ছাড়া হোক।
==> বিশেষ করে ২০২১ সালের আগের নোটগুলো পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার করে নতুন নিরাপদ ও টেকসই নোট দিয়ে বাজার সচল রাখা হোক।
==> দেশের সব ব্যাংকের প্রতিটি শাখায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হোক — "এখানে পুরাতন, ছিড়া, ফাড়া নোট বিনিময় করা হয়।" যাতে সাধারণ মানুষ কোনো হয়রানি ছাড়াই সহজে পুরাতন নোট বদলাতে পারে।
এছাড়া, একটি ছোট্ট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় — আমাদের অনেক ব্যাংক কর্মকর্তা টাকা গেঁথে রাখতে পিন ব্যবহার করেন। ফলে পিনের জায়গায় পরে জং ধরে টাকা ছিদ্র হয়ে যায়। এ কারণে টাকার আয়ুষ্কাল আরও কমে যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত অবিলম্বে নোটে পিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা এবং তার বিকল্প ব্যবস্থা চালু করা।
আমাদের পরিশ্রমের ঘাম ঝরা টাকার ন্যায্য মর্যাদা দিতে হলে এখনই প্রয়োজন টেকসই, উন্নতমানের ব্যাংক নোট। এটা শুধু একজন ব্যক্তির দাবি নয় — এটি দেশের লাখো কৃষক, দিনমজুর, শ্রমিক, রিকশাচালক, নির্মাণ শ্রমিক, সাধারণ জনগণের দাবি।
চলুন, সবাই মিলে এই দাবির পক্ষে জনমত গড়ে তুলি।
আপনার মতামত দিন, শেয়ার করুন, এবং বাংলাদেশের টাকাকে আরও শক্তিশালী ও টেকসই করার জন্য আওয়াজ তুলুন।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৫১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





