পার্ট ০১।
২০০৯ সাল। আমি নবম শ্রেনী তে পড়ি। তখন আমাদের জন্ম নিবন্ধন ছিলো। সেটা ছিলো হাতে লেখা। আমাদের নবম শ্রেনীর রেজিষ্ট্রেশন চলছে। আমি বাসা থেকে যাবার সময় জন্ম নিবন্ধনে চোখ বুলিয়ে গেছিলাম। জন্ম নিবন্ধনে আমার তথ্য যেভাবে ছিলো আমি ঠিক সে ভাবেই নবম শ্রেনী রেজিষ্ট্রেশন করেছিলাম।
২০১৪ সালে ভোটার হবার সময় দেখি আম্মুর জতীয় পরিচয় পত্রের তথ্যের সাথে আমার জন্ম নিবন্ধন মিল নাই। মনে করেন আমার আম্মুর জতীয় পরিচয় পত্রে মোছা: হালিমা আক্তার দেয়া। আমি শুধু মোছাঃ টা দেই নাই। এখন সরকার ডিজিটাল ওয়ারিশ সনদ ও ডিজিটাল মৃত্যু নিবন্ধন করতাছে। এখন বাপ মা এর জন্ম নিবন্ধন এর তথ্য এর সাথে সন্তানদের তথ্য মিল না থাকলে ডিজিটাল ওয়ারিশ সনদ পত্র না ও পেতে পারি।
যেমন মনে করেন আমার আব্বুর নাম জাতীয় পরিচয় পত্র এবং জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী “আব্দুল মালেক।” আমি আমার জাতীয় পরিচয় পত্র এবং জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী শুধু মালেক লেখেছি। আব্দুল লেখি নাই। এই ক্ষেত্রেও প্রচুর অসুবিধা হবে।
পার্ট দুই।
আজ ইউনিয়ন পরিষদে গেছিলাম। দেখলাম সবার এই ধরনের সমস্যা। বড় ভাই তার জাতীয় পরিচয় পত্র এবং জন্ম নিবন্ধনে লেখেছে মো: মোকলেছ খান। আরেক ভাই আবার লেখেছে মোহাম্মদ মোকলেছ। সে আবার খান লেখে নাই। আরেক ভাই আবার শুধু মোকলেছ লেখেছে। মানে তিন ভাই তাদের পিতার নাম তিন ভাবে লেখছে। এই ভুল যাতে না হয় সেজন্য সরকার একটি পদক্ষেপ নিয়েছে।
(এই লেখাটা মনযোগ দিয়ে পড়েন। এটার জন্যই এই ব্লগটি লেখছি।)
সরকার জন্ম নিবন্ধন সার্ভর এমন ভাবে ডিজাইন করেছে, এখন ভুল হবে না। autofill চিনেন? সন্তানের নাম ও ঠিকানা লেখলেন। এখন পরের পৃষ্টা আসলো। এখন পিতা ও মাতার তথ্য এই পৃষ্ঠায় দেয়া লাগবে। আগে পিতা মাতার নাম টাইপ করা লাগতো। এখনেই সরকারে কেরামতি করেছে। এখন পিতা মাতার নাম লেখা যায় না। এখন পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার লেখতে হয়। পিতার জন্ম নিবন্ধন টাইপ করলে পিতার নাম এখান autofill হয়ে আসবে। এই ক্ষেত্রে দুই ভাই এর পিতার নামের মধ্যে দুই রকম হবে না।
আর আমরা যারা পুরাতন জন্ম নিবন্ধিত ব্যাক্তি তাদের উচিৎ তাদের পিতা মতার জন্ম নিবন্ধন নম্বার লিংক আপ করা। আমি কিন্তু আমার আব্বু আম্মুর জন্ম নিবন্ধন নাম্বার আমার জন্ম নিবন্ধনে লিংক আপ করেছি।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




