আমাদের সাতকাহনিয়া গ্রাম। এটা আমার নানা বাড়ি।
আমি নানা বাড়িতেই বেশীর ভাগ সময় কাটিয়েছি। আমার বাপ মা এর সাথে স্মৃতি কম। নানার সাথে স্মৃতি বেশী। আমার নানার নাম আব্দুল মালেক ঢালী। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। দেশের জন্য তিনি যুদ্ধ করে গেছেন।
২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে আমার নানা মারা যায়। নানা মারা যাবার পর আমি এক হিসেবে একা হয়ে পড়ি। কি পরিমান যে একা হয়ে যাই তা বলে বুঝাতে পারবো না। স্কুল শেষ করে ক্লান্ত শরীল নিয়ে যখন বাসায় আসতাম তখন খুব ভালো লাগতো। আমি বাসায় এসে দেখতাম নানা বারিন্দায় বসে আসে।
ক্লাস নাইন টেইনে আমি নানা বাড়ি চলে যাই। ক্লাস টেইনের টেস্ট পরীক্ষাতে সকল বিষয়ে পাশ করি তখন নানা খুব খুসি হয়েছিলো। এই খুসির দাম লাখ টাকা। আমার এসএসসি পরীক্ষা নানায় দেখে যেতে পারে নি। এসএসসি পরীক্ষাতে সাফল্য আমার নানা খুব খুসি হতেন।
নানা বাড়িতে একটি টিউবওয়েল আছে। এই টিউবওয়েলের পানি খুব ঠান্ডা। একদম তৃষ্ণা মিটে যায়।
নানা বাড়িতে আমি এই লেবু গাছটি রোপন করেছিলাম প্রায় ২০১৬ সালে। আজ এই লেবু গাছ থেকে লেবু ধরে। এই নানার বাসায় শুধু এই একটি স্মৃতি রয়েছে। নানীর রান্না বান্না ও খাওয়ার অসুবিধার জন্য এখানে থাকে না। নানী থাকে খালার বাসায়। নানী মারা গেলে এই নানা বাড়ি একেবারে একা হয়ে যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:০০