somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রাজনীতির পচন স্বাধীনতার পর থেকেই শুরু কিন্তু সমাজের পচনটা বোধয় তারও কিছুদিন পরে । বিশেষ করে ৯০ এর দশক থেকে । আমরা দেখলাম যার নাই কোন গতি সেই করে রাজনীতি । রাজিনীতি মাস্লম্যান আর ব্যবসায়ীদের দখলে এল । আর মেধাবীরা একে একে এয়ারপোর্টের গন্ডি পেরিয়ে এন আর বি । তাদের সাথে তাল মিলিয়ে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে আমলারা, সরকারী কর্মচারীরা প্রকাশ্যে রাজনীতি শুরু করলেন ।
বাকি ছিল আইন শৃঙ্খলা আর প্রতিরক্ষা বাহিনী ...গত ১০ বছরে তাদেরকেও রাজনৈতিক অংগ প্রতিষ্ঠান বানিয়ে ফেললাম । সেইসাথে সুশীল নামক চুশীল রা হলেন দলকানা । ফলে আমজনতাও সমাজ থেকে তাদের মানবিক সংবেদনশীলতা কে ঝেটিয়ে বিদায় করে দিল ।

অথচ আমাদের এই দেশে একটা কার্যকরী সমাজ গঠন করতে তিনটি অনুঘটকের প্রয়োজন ছিল ।

১। আত্তশিক্ষা ... যা মানুষ তার পারিপার্শ্বিক সমাজ এবং প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক মিডিয়া থেকে শিখবে। দুঃখের বিষয় আমরা পাড়া / প্রতিবেশীময় সমাজ কে বিলুপ্ত করে... মানসিক বিকাশের ইজারা অনেক আগেই কম্পিউটার , টিভি আর মোবাইলের স্ক্রিনেই দিয়ে রেখেছি !! শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে করেছি বাণিজ্যিক আর শ্রেনী বৈষম্য ময় । শুধু আমি কেন্দ্রিক আমার চিন্তাধারা । অত্ত্বমভরিতা (Narcissism) এর কালচার এর বীজটা এখান থেকেই বপন। বিত্তই হল এই সমাজে আমার /আপনার ধ্যান ধারণার মুল চাবি কাঠি ।

২) আমরা আসলে মাঙ্কিস্টিক জাত । বেত ঠিক তো আমরা ঠিক । লোকায়ত রাষ্ট্রীয় আইন যদি কঠোর ভাবে বলবৎ থাকতো তাহলে রাজন রাকিব ক্যান, একটা রাস্তার কুকুরের গায়ে লাথি দেয়ার আগে দশবার চিন্তা করতাম । কিন্তু আমরা কি দেখলাম ক্ষমতায় চড়ে বসা লোকগুলিই এক একটা বর্গি । রক্ষকই ভক্ষক । আপনার বিত্ত আছে ...আপনার ইজ্জত আচ্ছে আর তার সাথে আপনার যদি ক্ষমতা আছে ...তাইলে সোনায় সোহাগা... আপনার সাত খুন মাফ । আর পয়সা নাই তো আপনার অস্তিত্বই নাই রাষ্ট্রের কাছে ।

৩) ধর্মীয় অনুশাসন ...যার ফলে আমরা ভয় পেতাম ......কিন্তু মুক্তমনাদের মন্ত্রে আমরা এখন রামধনু । ধর্মীয় বই পড়লেই জঙ্গি । অন্যদিকে কিছু ভণ্ড তেতুল হুজুর আর পীরের মন্ত্রে আমরা এই শিক্ষাটাও লাভ করলাম ... আকাম যাই করিনা কেন মসজিদে, মাজারে দান করলে , জুমায় গেলে আর শেষ বয়সে ইনু রিনুদের মত হজ্জে গেলে আর মসজিদ কমিটিতে থাকলে জান্নাতের রিজার্ভ টিকেট পাওয়া যাবে।
......

তাই আমরা আস্তে আস্তে একটা ওয়াইল্ড ওয়াইল্ড ওয়েস্ট টাইপের পাশবিক দেশ হয়ে উঠলাম । আতঙ্কের সমাজ, দখলদার অর্থনীতি আর জমিদারি রাজনীতির দেশ ।
একটু স্বার্থে আঘাত লাগলেই ...যার হাতে যতটুকু ক্ষমতা আছে তাই দিয়ে নিজের চেয়ে দুর্বলকে পিষে ফেলা !!!!

তাই রাকিবের হত্যায় ..." আমরা মানুষ নই !! মানবিকতা, মানবতা, বিবেক হারিয়ে গেছে । কিংবা ...এ সমাজ নষ্ট সমাজ / নষ্টা নারীর পথভ্রষ্ট সন্তানের সমাজ বলে..." মায়া কান্নাটা আর দিবনা । রাজনের সময় তা সেরে ফেলেছি ।

বাস্তবতা হল আগামীতে আমরা আরো অনেক রাজন রাকিব পাব । কারন যারা ভাবছেন হঠাৎ করে মানুষজন এত অস্থির, পাশবিক, যৌন বিকারগ্রস্ত, নৃশংস ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাহীন হল কেমন করে ...তারা আসলে বরফের টুকরা দেখছেন কিন্তু তার নীচে ডূবে থাকা আইসবারগটা দেখছেন না ।
দেশটা যেহেতু একদিনে পচেনি সেহেতু রাতারাতি তা এক দিনে ঠিক করেও ফেলা যাবে না । তবে যেটা ভাবনার বিষয় সেটা হল আমরা এখনও কিন্তু নীচের দিকেই পড়ছি এবং আগের চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে ।
তাই যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:২৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×