somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ll--"হ্ম"--ll

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :





সে অনেক অনেক কাল আগের কথা। আমরা আজকের যে মর্ত্য দেখি, মর্ত্য তখন সেরকম ছিলো না। তখন গড়ে ওঠেনি এইসব লোকালয়, তৈরি হয়নি অগনিত ঘরবাড়ি আর বিচিত্র সব স্থাপত্য। সেখানে শুধু ছিলো পাহাড়, পর্বত, প্রশস্ত, ফাঁকা, এবড়ো খেবড়ো পাথুরে প্রান্তর, আর গাছপালায় ঢাকা গহীন বনরাজি।

মর্ত্যের শাসনকর্তা হিসেবে মর্ত্য রাজার বেশ নামডাক ছিলো। তিনি ছিলেন দয়ালু এবং একজন সুশাসক। তিনি তার মর্ত্যকে অনেক ভালবাসতেন। মর্ত্যকেও তিনি স্বর্গের মতো সুন্দর বানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই সৌন্দর্য কি করে মর্ত্যের মাঝেও নিয়ে আসা যায়, এটা তার জানা ছিলো না। তিনি ভাবলেন, একবার তবে স্বর্গরাজার সাহায্য নেওয়া যাক।

যেই ভাবা, সেই কাজ। মর্ত্যরাজা স্বর্গরাজাকে মর্ত্যে নিমন্ত্রন জানিয়ে দূতের মাধ্যমে একটা পত্র পাঠালেন। সেই সাথে তার অভিপ্রায়ের কথাও কিছুটা লিখে দিলেন সেই পত্রে।

মর্ত্যের দুত যেয়ে হাজির হলো স্বর্গের বাইরে। মর্ত্যের কোন ব্যক্তির স্বর্গ প্রবেশের অনুমতি নেই। মর্ত্যের দূত তাই স্বর্গের দুয়ারের সামনে যেয়ে বাধাপ্রাপ্ত হলো।

"কি চাই?" শুধালো স্বর্গের প্রহরী।
"আমি মর্ত্যের দূত। মর্ত্য রাজার পত্র নিয়ে এসেছি, স্বর্গ রাজার কাছে পৌঁছুতে হবে।"
"স্বর্গের ভেতরে প্রবেশ করা সম্ভব নয়। আমাকে পত্র দাও, আমি বরং রাজার কাছে পৌঁছে দেবো।"

মর্ত্যের দূত স্বর্গ প্রহরীর হাতে পত্র দিয়ে চলে এলো।

রাজা হিসেবে স্বর্গরাজা খুবই উঁচু এবং দাম্ভিক প্রকৃতির।
মর্ত্যরাজার পত্র পাঠ করার পর তিনি বললেন-

"মর্ত্য রাজার স্পর্ধা দেখো! মর্ত্য হয়ে সে স্বর্গকে ছুঁতে চায়! মর্ত্য এর মতো একটা নোংরা জায়গা কখনোই স্বর্গের মতো হতে পারেনা। মর্ত্য হয়ে স্বর্গকে ছুঁতে চাওয়া কি তার অনধিকার চর্চা নয়?" অবজ্ঞাভরে হাসলেন তিনি। "মর্ত্য থাকবে মর্ত্যের মতো। তার এত সৌন্দর্যের দরকার নেই। সৌন্দর্য সব স্বর্গের।"

তিনি মর্ত্যরাজার নিমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করলেন। এবং সাথে সাথে পত্রের মাধ্যমে খুব রুক্ষ ভাষায় এটাও জানিয়ে দিলেন, যে তার পক্ষে এই ধরনের কোন সহযোগিতা করা কখনো সম্ভব নয়।

মর্ত্যরাজা চিঠি পেয়ে প্রচণ্ড মনঃক্ষুণ্ণ হলেন। তিনি ছিলেন যথেষ্ট বিনয়ী এবং নরম স্বভাবের। তিনি ভাবেননি স্বর্গরাজা তাকে এভাবে এতোটা ছোট করবেন। তিনি এই অপমান সইতে পারছিলেন না। স্বর্গরাজার এই ব্যবহারে তার মনটা ছোট হয়ে গেলো।

কিন্তু বিধাতার অদ্ভুত খেয়াল। ঘটনাক্রমে স্বর্গকেই শেষ পর্যন্ত ছোট হতে হলো মর্ত্যের কাছে।

মর্ত্যরাজার কোন ছেলে ছিলো না। তবে, ছেলের অভাব তিনি কোনকালেও বোধ করেন নি। ছেলে ছাড়াও সমস্ত মর্ত্য আলোকিত করে রাখার মতো একজন ছিলো। সে হলো মর্ত্যরাজার মেয়ে। মর্ত্যের রাজকন্যা। মর্ত্যের সবার চোখের মণি।

রাজকন্যাও ভালোবাসতো তার নিজের মর্ত্যকে। সারাদিন সে ঘুরে বেড়াতো বন থেকে বনে, পাহাড়ে পাহাড়ে। শুনতো পাখির গান, পাহাড়ের গল্প। তার বড় ভালো লাগতো সূর্যাস্ত দেখতে। বেলা শেষে পাখিরা নীড়ে ফিরে আসতো, তারারা চুপিচুপি আকাশে উকি দিতো।

রোজ পাহাড়ের চুড়ায় বসে রাজকন্যা দেখতো এইসব। পাহাড়ের চুড়োয়, আকাশের কাছাকাছি এসে অপেক্ষা করতো সে তারাদের জন্য, পাছে একটি বা দুটি তারা গল্প শোনাতে তার কাছে চলে আসে।

স্বর্গের রাজপুত্রেরও ভালো লাগতো তারাদের । তাদের সাথে বেশ ভালো বন্ধুত্ব ছিলো রাজপুত্রের। প্রায় প্রতি দিনেই সে তারাদের কাছে যেতো। হাসি ঠাট্টায় মশগুল হয়ে থাকত তাদের সাথে। সমস্ত সকাল বিকেল জুড়ে চলতো তাদের গল্প। শুধু সন্ধ্যার সময়েই শশব্যস্ত হয়ে উঠতো তারা। বলতো-

"আমাদের এখন যেতে হবে।"
"কোথায়?"
"মর্ত্যের আকাশে।"
"কেন? ওখানে গিয়ে হবেটা কি? আর মর্ত্যের প্রতি কেনইবা তোমাদের এতো আগ্রহ?"
"মর্ত্যে যে আমাদের জন্য একজন অপেক্ষা করে আছে, রাজপুত্র।"
"কে সে?"
"তুমি মর্ত্যের রাজকন্যাকে চেনো না?"

রাজপুত্র থতমত খায়। সে কখনো মর্ত্যে যায়নি। মর্ত্য সম্পর্কে তার বিন্দুমাত্র ধারনাও নেই। সেখানের রাজকন্যাকে সে কিভাবে চিনবে?

"মেয়েটা ভারী নরম স্বভাবের। দেখে মনে হয় কোমল কোন ফুল। এতো মিষ্টি মেয়ে আমরা ব্রহ্মাণ্ডের কোথাও দেখিনি, জানো রাজপুত্র।"

রাজপুত্র চুপ করে রইলো। আস্তে আস্তে তার মন খারাপ হওয়া শুরু হয়েছে।

"কি হলো তোমার? চুপ করে গেলে যে?"
"এমনি।"
"এমনি তো না। কারন তো নিশ্চয়ই আছে। কারন কি?"
"আমি কোনদিন মর্ত্যে যাইনি।"
"তাই? কেন?"
"বাবা সবসময় মর্ত্য থেকে আমাকে দূরে দূরে সরিয়ে রেখেছে। আমার যেতে বারন আছে ছোটবেলা থেকে। তাই।"
"রাজা কেন এমনটা করলেন?"
"বাবা বলেন, মর্ত্যের মতো নোংরা জায়গা ব্রহ্মাণ্ডে আর দ্বিতীয়টি নাকি নেই। ওখানকার মানুষগুলো নাকি অনেক খল, আর ধূর্ত। মর্ত্যে নাকি কোন ভালো কিছু সম্ভব না কখনো।"

তারারা সব শুনে বললো-

"শোন রাজপুত্র, তোমাকে একটা কথা বলি। এতো দাম্ভিকতা ভালো নয়। নিজের বাবা এর মতো নিজের মাঝে কোনদিন দম্ভকে জায়গা করে নিতে দিওনা। যাও, ঘুরে আসো মর্ত্য। আমাদের কেন জানি মনে হয়, তোমার সেখানে যাওয়া উচিৎ।"

রাজপুত্রের মনটা ছোট হয়ে গেলো। তারা বাবা যে কেন এমন করে? কি হয় একটু মর্ত্যে গেলে? বাবাকে কি সে বলবে যাওয়ার কথা? বাবা কি যেতে দেবে তাকে? মনে হয় না। বাবা এর কথার নড়চড় হতে কখনো দেখেনি সে। তাহলে কি করা যায়? বাবাকে না জানিয়ে যাওয়া যায়। সেটাই বোধহয় ভালো। কেউ তো এসে বাবার কানে খবর দেবেনা। তার উপরেও বড় কথা, সে এখন যথেষ্ট বড়। নিজের কিছু সিদ্ধান্ত তো এখন নিজেকেই নিতে হবে।

তবু মনের মধ্যে টানাপোড়েন চলে তার। এখন পর্যন্ত কোনদিন বাবার আদেশ সে অমান্য করেনি। মন একবার বলছে, যাও। মর্ত্য তোমাকে ডাকছে। অন্যদিকে আরেক মন বলে- না, না, যেওনা। কেন জানি অদৃষ্ট তোমাকে অনেক কষ্ট দিতে চাচ্ছে।

স্রষ্টা আসলে স্বর্গ পুত্রের অদৃষ্টে এমন কিছুই লিখে রেখেছিলেন। মর্ত্যে যাওয়ার ঘটনা তার নিয়তির অনেক বড় একটা অংশ ছিলো। মুলত সৃষ্টির শুরুতেই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিলো রাজকন্যা আর রাজপুত্রের প্রেমের ইতিহাস। পৃথিবীর কিছু কিছু সম্পর্ক সৃষ্টির প্রারম্ভে থেকেই তৈরি হয়ে আসে। যে করেই হোক, রাজপুত্র রাজকন্যার প্রেমে পড়তো কোন না কোন এক সময়ে। এভাবে না হলে, হয়তো অন্য কোন কালে। অন্য কোন রূপে। অথবা এটাও বলা যায়, মর্ত্যকন্যার ভাগ্যে রাজপুত্রের প্রেম ছিলো।

একারনেই আসলে স্বর্গপুত্রের পক্ষে সম্ভব ছিলো না নিজেকে রোধ করার। এক অদৃশ্য টান তাকে টেনে নিয়ে যেতে বাধ্য করেছিলো মর্ত্যে।

প্রতিদিনের মতো সেদিন বিকেলেও রাজকন্যা বসে ছিলো তার প্রিয় পাহাড়টির চুড়োয়। বসে বসে চুল শুকাচ্ছিলো সে। অনেক উঁচুতে, তার আশে পাশে ঘুর ঘুর করছিলো তার প্রিয় পাখিরা। প্রতিদিন বিকেলে এখানে বসে থেকে সূর্যাস্ত দেখে তারা।

মর্ত্যের আকাশে প্রবেশের আগেই দূর থেকে রাজপুত্রের দৃষ্টি আটকা পড়ে গিয়েছিলো পাহাড়ের চুড়োয়। বিস্ময়ে হতবাক রাজপুত্র চোখ ফেরাতে পারেনা মেয়েটার কাছ থেকে। মানুষ এতো সুন্দর হয়? অনিন্দ্য সুন্দরী এই মেয়েটাই যে মর্ত্যের রাজকন্যা, সেটা বুঝতে তার বিন্দুমাত্র দেরী হয়নি।

মনের ভুলে রাজকন্যাও একবার আকাশের দিকে চাইলো। এবং সাথে সাথেই জমে গেলো। অপূর্ব সুন্দর একজন মানুষ তার দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে যে। মুহূর্তের মধ্যেই তার ফর্সা গালদুটো টকটকে লাল হয়ে উঠলো। নতুন এক অচেনা অনুভুতি বার বার তার মনে কড়া নেড়ে জানিয়ে দিলো গোপন কিছু।

একথা ঠিক যে, প্রথম দর্শনেই রাজপুত্র রাজকন্যার গভীর প্রেমে পড়েছিলো। তার মনে হচ্ছিলো, এই মেয়েটা তার বহুকালের চেনা। মন বার বার বলে গেলো, এই সেই নারী, যার সাথে তাকে পাড়ি দিতে হবে হাজার হাজার বছর।

রাজকন্যার কি বোধোদয় বা কি খেয়াল হয়েছিলো তা বোঝা কষ্টসাধ্য। হয়তো তার মনেও ঠিক একই রকম উপলব্ধি ঘুরে ফিরে ঘুরছিলো।

মজার ব্যাপার, প্রথম দেখাতেই ভালোবেসে ফেলার এই বিষয়টা কেউই কারো কাছে প্রকাশ করতে চাইলো না।

রাজকন্যা রাজপুত্রকে প্রায়ই জিজ্ঞাসা করতো,
"কেন তুমি এখানে আসো? তোমার বাবা জানলে রাগ করবে না?"
রাজপুত্র বলতো-"দেখতে এসেছি মর্ত্য।"
"দেখা শেষ হয়নি তোমার?"
"নাহ।"
"ও আচ্ছা। কবে শেষ হবে?"
"তা জানিনা। নাও শেষ হতে পারে।"
রাজকন্যা অবাক হয়ে বলতো- "মর্ত্যে আবার এতো কি দেখার আছে? মর্ত্য কি স্বর্গের মতো সুন্দর?"
রাজপুত্র বলতো- "এমনও তো হতে পারে, মর্ত্য কোন কোন দিক থেকে স্বর্গের চেয়েও সুন্দর।"
"কিভাবে?"

রাজপুত্র হাসতো। কিছু বলতো না।

সময়ের সাথে সাথে রাজপুত্র ও রাজকন্যার সম্পর্ক আরও নিবিড় হলো। যদিও দুইজনেই খুব চাপা তবু কিছু কথা না বলা বলা থাকলেও বলা হয়ে যায়। রাজকন্যা ও রাজপুত্রের ক্ষেত্রেও তেমনটাই হলো।

খোলা আকাশের নিচে বসে রাতের আকাশ দেখতো তারা দুজন। তাদের দেখে নিশ্চুপে তারারাও মিটিমিটি হেসে যেতো। সুনসান পরিবেশ আর শান্তি মাখানো প্রকৃতির মাঝে দুটো তরুন তরুণী পাশাপাশি বসে থেকে কিসের যে অপেক্ষা করতো, তা তো রাত জাগা পাখিরাও বোঝেনি।

সারাটা ক্ষণ এক সাথে ঘোরাঘুরি। সুখ দুঃখের কতো কথা। দিন গড়িয়ে রাত শেষ হয়ে এলেও তাদের গল্প বাকি থেকে যেতো প্রতিদিন। ফিরে যাবার সময় অদ্ভুত এক ভালোলাগায় আচ্ছন্ন হতে থাকতো তারা দুজন। আবারও নতুন দিনের অপেক্ষায় কেটে যেতো এক একটি রাত।

রাজপুত্রের খুব খেয়াল ছিলো রাজকন্যার পছন্দ অপছন্দের উপর। সে জানতো রাজকন্যার আকাশ ভালো লাগে, ভালো লাগে নক্ষত্ররাজি। এক সন্ধ্যায় তারা ভরা আকাশের নিচে হাতে হাত রেখে রাজকন্যাকে সে বললো-

"রাজকন্যা, আমি যদি তোমাকে ভালোবেসে একটা জিনিস দেই, তুমি কি নেবে?"
"কি?"
"কথা দাও, যত্ন করে রাখবে।"
রাজকন্যা হেসে বললো- " তুমি আমাকে কিছু দিবে, আমি কি সেটা অবহেলায় রাখতে পারি? কথা দিলাম, দেখে রাখবো।"
রাজপুত্র বললো-"আমি তোমাকে আকাশটা দিলাম। এটাকে সাজিয়ে রেখো।"
"আকাশ আমার বড় প্রিয়।"
"আমি জানি।"
"কিন্তু আমার যে এখন খুব খারাপ লাগছে, রাজপুত্র।"
"কেন?"
"কারন তোমাকে দেওয়ার মতো আমার কাছে কিছুই নেই।"
"একটা শক্ত মোটা রশি দাও।"
"রশি দিয়ে কি হবে?"
"তোমার সাথে নিজেকে বেঁধে রাখবো।"
রাজকন্যা খিল খিল করতে হাসতে হাসতে বললো-
"কেন? রশি দিয়ে না বেঁধে রাখলে থাকবে না?"
"আহা,মেয়ে! আমি তো থাকবোই। তুমি যদি কোথাও চলে যাও? তোমাকে আটকাতে হবেনা?"

রাজকন্যা আর রাজপুত্রের দিন কেটে যায় এভাবে। মাস গড়িয়ে বছর যায়। যতোই সময় যায়, তাদের মনের গভীরতা ততোই বেড়ে চলে। রাজকন্যারও রাজপুত্রকে ছাড়া এখন কেমন কেমন যেন লাগে। একদিন না এলে অস্থির লাগে তার। দুইজনেই বোঝে, তাদের এখন একটা পরিনতির দিকে যাওয়া দরকার। ঘর বাধা দরকার।

তবে রাজপুত্রের চিন্তা হয়। বাবার কথা মনে হলেই তার মুখে শংকার ছায়া পড়ে। রাজকন্যা রাজপুত্রের চিন্তিত মুখ দেখে। জিজ্ঞাসু দৃষ্টি মেলে তাকে জিজ্ঞাসা করে-

"হলো কি তোমার?"
"নাহ, কিছুনা।"
"চিন্তিত লাগছে যে?"
"কই, কিছু না তো।"

রাজপুত্র কিছু বলে না। শুধু রাজকন্যার দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দেয়। হাসির অর্থ- ভয় নেই। আমি সবসময় আছি তোমার পাশে। রাজকন্যা তবু ভরসা পায়না। এক অজানা আশংকায় তার বুক কাঁপে।

অবশেষে রাজপুত্র একদিন সিদ্ধান্ত নিলো তার বাবার কাছে যেয়ে কথাটা বলার। ভালবাসার কথা লুকিয়ে রেখে লাভ নেই। আর দেরী করাটাও ঠিক হবেনা। রাজকন্যাকে বিয়ে করে তার স্বর্গে নিয়ে আসার ইচ্ছা। এক সকালে সে হাজির হলো রাজদরবারে।

রাজা সব শুনলেন। তিনি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না স্বর্গপুত্র তার আদেশ অমান্য করে মর্ত্যে গিয়েছে। মর্ত্য কন্যাকে ভালোবেসেছে! তিনি ক্রুদ্ধস্বরে বললেন-

"তোমার এতো সাহস কোথা থেকে এলো আমাকে না জানিয়ে এতো কিছু করার, আমাকে একটু বলবে?"
রাজপুত্র বললো- "বাবা, কাউকে ভালবাসা তো অপরাধ না।"
"স্বর্গ পুত্রের জন্য মর্ত্যকন্যাকে ভালবাসা অপরাধ।"
রাজপুত্র মুখ শক্ত করে বললো- "কেন?"
"কারন স্বর্গের ভালবাসা অনেক উচ্চ এবং বিশুদ্ধ। স্বর্গের ভালবাসা, শুধু স্বর্গের প্রানের জন্য। সেই বিশুদ্ধতা আমি নষ্ট হতে দিতে পারিনা।"
"আমি মর্ত্যকন্যাকে স্বর্গে নিয়ে আসবো। সেও স্বর্গের অংশ হবে।"
"কোনদিনও না!!" রাজা চিৎকার করে উঠলেন- "কখনোই মর্ত্যকন্যাকে পুত্রবধু হিসেবে স্বর্গ গ্রহন করবে না!"

"বেশ।" রাজপুত্র শান্ত গলায় বললো," আমি তাহলে চিরদিনের জন্য চলে যাচ্ছি।"
"কোথায়?"
"মর্ত্যে। বাবা, তুমি ভালো থেকো তোমার দম্ভ নিয়ে। আমি আর কখনো ফিরে আসবো না এখানে। বিদায়।"

রাজপুত্র চলে এলো স্বর্গ ছেড়ে। সবকিছু ছেড়েছুড়ে তার রাজকন্যার কাছে। মায়ার মর্ত্যে।

এদিকে রাজা এটা সহ্য করতে পারলেন না। তিনি বায়ুকে মর্ত্যে পাঠালেন তার পুত্রকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য। তাকে নির্দেশ দেওয়া হলো, যে করেই হোক, রাজকন্যার কাছ থেকে রাজপুত্রকে আলাদা করে ফেলতে হবে। স্বর্গের অংশ হয়ে মর্ত্যের সাথে সম্পর্ক, এটা মেনে নেওয়া যায়না।

গৃহত্যাগী রাজপুত্র যখন মর্ত্যে এসে পৌছালো, তখন তার চেহারায় বিষাদের ছাপ স্পষ্ট। সে তার বাবাকে চেনে। সে এটাও জানে, বাবা যে করেই হোক, এটার জন্য ভয়ংকর কিছু করবে। কি করবে, সেটা সে ভেবে পাচ্ছে না। রাজকন্যাকে হারাবার ভয় তার মনের মাঝে অল্প অল্প করে দানা বাধতে শুরু করেছে। সে রাজকন্যাকে হারাতে চায়না।

রাজকন্যা তখন তার লম্বা খোলা চুল মেলে বসে ছিলো পাহাড়চূড়ায়। চোখ মেলে তাকালো সে রাজপুত্রের দিকে। বুঝলো, কোন বড় একটা ঝামেলা হয়েছে।

"কি হয়েছে তোমার?"
"কিছু না।" রাজপুত্র ম্লান হেসে বললো- "তোমার সাথে থাকতে এলাম।"
"থাকতে এলাম মানে কি?"
"মানে, এখন থেকে এইখানেই থাকবো। এইখানে, মর্ত্যে।"
রাজকন্যা বললো- "বটে! স্বর্গ ছেড়ে তুমি মর্ত্যে থাকবে?"
"হ্যা। কেন, বিশ্বাস হয়না?"
"মাথা খারাপ হয়েছে তোমার?"
"হ্যা, রাজকন্যা শোন। তোমাকে একটা কথা বলি।"
"কি কথা?"
"আমার মনে হয়, আমাদের অতি দ্রুত বিয়ে করে ফেলা উচিৎ।"
"কেন?"
"জানিনা। মন বলছে। চলো, বিয়ে করে ফেলি। আপত্তি আছে তোমার?"
"আপত্তি থাকবে কেন?"
"ঠিক আছে। তাহলে আজ রাতেই বিয়ে করবো আমরা।"
"আজ রাতেই? এতো তাড়াহুড়ো কেন রাজপুত্র?"
"বা রে! বিয়ে না করে আমি কি একা একা গাছতলায় থাকবো মর্ত্যে?"
"ও আচ্ছা, তাই বুঝি!! তোমার সাথে দেখছি কথায় পারা বড্ড মুশকিল। আচ্ছা ঠিক আছে, আজ রাতেই আমাদের বিয়ে। কিন্তু একটা সমস্যা আছে যে, রাজপুত্র।"
"কি সমস্যা?"
"আমাদের বিয়েতে তো কেউ আসবে না।" রাজকন্যা মন খারাপ করে বলে। "কেউ তো জানবেই না।"
"আমাদের চেনা জানা পরিচিত বলতে তো তেমন কেউ নেই। আমার খুব কাছের বন্ধু বলতে আছে শুধু তারারাই। আর তোমার আছে পাখিরা। বনরাজি, গাছপালা। তাদের আজ বিকেলের মধ্যেই খবর পৌঁছে দেওয়া যাবে। আমি বরং এক কাজ করি। তারাদের একটু খবর দিয়ে আসি। তুমি আমার জন্য অপেক্ষা করো। আমি আসার পর আমরা বাকি সবাইকে বলবো। "

"আমি তাহলে পাহাড়ের চুড়োয় আকাশের কাছাকাছি এসে তোমার জন্য অপেক্ষা করি। তুমি তাড়াতাড়ি ফিরে এসো কিন্তু।"

রাজপুত্র বললো- "হ্যা,আমি তাড়াতাড়িই ফিরে আসবো।"

সে চলে গেলো আকাশে, তারাদের খবর দিতে। রাজকন্যা বসে রইলো পাহাড়ের চুড়ায়, মেঘের কাছে। রাজপুত্রের অপেক্ষায়। অপেক্ষার মাঝেও একধরনের আনন্দ আছে, সে জানে। মনটাও আজ তার অনেক ভালো। অদ্ভুত এক প্রশান্তিতে আবেশিত হয়ে আছে সবকিছু। আজ তাদের বিয়ে।

বাতাস দেখলো, এই সুযোগ। এমন সুযোগ বারবার আসেনা। রাজকন্যাকে এখন চিরজীবনের জন্য সরিয়ে দেওয়া যাবে রাজপুত্রের কাছ থেকে। আসবে না কোন বাধা। আশেপাশে কেউ নেই রাজকন্যার। সে আছে অনেক উঁচুতে। তাকে ধাক্কা মেরে নিচে ফেলে দেওয়াটা কোন ব্যাপার না। কাজটা যদি সে একবার করতে পারে, স্বর্গরাজা যে কিভাবে তাকে পুরস্কৃত করবে, ভেবে পায়না বাতাস।

বিন্দুমাত্র দেরী না করে পাহাড়ের চুড়োয় প্রবল বেগে ছোবল হানলো বাতাস। মাত্র কয়েকটা মুহূর্ত। তারপর হঠাৎ-

ফুল ঝরে গেলো,
পাখিরা উড়ে গেলো,
পাহাড় কেঁদে গেলো,
সূর্য লুকিয়ে গেলো।

কথা ছিলো রাজপুত্র ফিরবে তাড়াতাড়ি। সে তার কথা রাখলো। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সে ফিরে এলো মর্ত্যে। কিন্তু এসে দেখলো, রাজকন্যা নেই। সে হারিয়ে গেছে।

কাঁদলো বন বনানী। কাঁদলো পাহাড়। কাঁদলো পাখিরা। তারারা এসে দাড়িয়ে রইলো নিশ্চুপ। রাজপুত্র পাগলের মতো খুঁজে চললো তার রাজকন্যাকে। লজ্জা সইতে না পেরে ভাগ্য পর্যন্ত মুখ লুকালো অন্ধকারে।

রাজকন্যা চলে গেছে। রাজপুত্রের বিশ্বাস হয়না। সে অপেক্ষা করে থাকে তার জন্য। তার মনে হয়, এই বুঝি ফিরলো রাজকন্যা। এই বুঝি এসে ডাকলো তাকে।

অপেক্ষার প্রহর কেটে চলে। রাজকন্যা আসেনা। কেউ খিলখিল করে মন ভোলানো হাসি হাসেনা। রাজপুত্র নিজের ভাগ্যকে বিশ্বাস করতে পারে না। নিজেকে অভিশাপ দিয়ে চলে সে প্রতিমুহূর্তে। কেন সে একা গিয়েছিলো রাজকন্যাকে ফেলে? কি হতো এক মুহূর্তের জন্যও তাকে চোখের আড়াল না হতে দিলে? খুব কি ক্ষতি হয়ে যেতো তার, আকাশে না গেলে?

সময় গড়িয়ে চললো। যতোই সময় গেলো, বাস্তবতা চোখের সামনে স্পষ্ট হয়ে উঠলো। রাজপুত্র এক সময় বুঝলো, রাজকন্যা আর ফিরবে না কোনোদিন।

অবশেষে রাজপুত্র এর দুচোখ গড়িয়ে নামলো অশ্রুধারা। অশ্রুবেগ ক্রমেই প্রবল থেকে প্রবলতর হলো।

রাজপুত্র চিৎকার করে কাঁদে আর কাঁদে। তার কান্না থামেনা। সে তার অদৃষ্টকে ক্ষমা করতে পারে না। সমস্ত মর্ত্য তার শোকে কাতর হয়ে উঠলো। রাজপুত্রকে শান্তনা দেওয়ার ভাষা তাদের নেই। তারা নিজেরাও জানে, তারা কি হারিয়েছে। মর্ত্যের সবচেয়ে উজ্জ্বল আলো আজ চলে গেছে।

পুত্রের শোকের কথা শুনে স্বর্গ রাজার মনও বিচলিত হলো। এই প্রথমবারের মতো তিনি নিজে নেমে এলেন মর্ত্যে। পুত্রকে তিনি সাথে করে আবারো নিয়ে যেতে চাইলেন। রাজকন্যা মারা গেছে, সে এখন আর মর্ত্যের কন্যা নেই। তাকে তিনি স্বর্গে জায়গা দিতে পারেন এখন। স্বর্গ তাদের এখন গ্রহন করতে প্রস্তুত আছে। স্বর্গেরপুত্র তার স্ত্রীকে নিয়ে স্বর্গে ফেরত আসলে তার নিজেরও ভালো লাগবে। পাপবোধ থেকে এখন মুক্তি চান তিনি।

রাজপুত্র তার বাবাকে জানিয়ে দিলো, সে কখনোই আর ফিরে যাবে না স্বর্গে। সে মর্ত্যে থাকবে। মর্ত্যের মাটিই হবে তার শেষ আশ্রয়। এইখানে তার প্রিয়তমা বেঁচে ছিলো একসময়, সে এই মর্ত্যের মাটি ছাড়বে না। সে কোথাও যাবেনা।

রাজা অনেক অনুনয় করলেন, অনেক চেষ্টা করলেন, কিন্তু পুত্রকে আর ফিরিয়ে নিতে পারলেন না। ব্যর্থ মনে রাজাকে মর্ত্য থেকে খালি হাতেই ফিরে যেতে হলো।

রাজপুত্র শুধু কাঁদলো আর কাঁদলো। হাজার হাজার বছর সে শুধু কেঁদেই গেলো। কাঁদতে কাঁদতে একসময় সে নদী হয়ে গেলো।

আর রাজকন্যা কথা দিয়েছিলো, সে রাজপুত্রের দেওয়া আকাশটা সাজিয়ে রাখবে। সে তার কথা ভোলেনি। সে তার কথা রাখলো। মৃত্যুর পর সে ফিরে এলো চাঁদ হয়ে আকাশে। আকাশটাকে সাজিয়ে রাখতে।

চন্দ্রের আশেপাশে রইলো তাদের প্রিয় তারারা। অতন্দ্র প্রহরী হয়ে। চন্দ্রকে দেখে শুনে রাখে তারা। একবার হারিয়েছে তারা রাজকন্যাকে, আর হারাতে দেবে না কখনো।

লক্ষ কোটি বছর ধরে নদীর সাথে তাই চন্দ্রের সম্পর্ক। তাইতো আকাশে যখন চন্দ্র ওঠে, নদী তখন উত্তাল হয়ে ওঠে। জোয়ার আসে। নদী চন্দ্রকে ছুঁতে চায়। কিন্তু পারেনা। অদৃশ্য দেয়াল তুলে তাদের মাঝে রয়ে যায় বায়ু। তাদের পূর্বশত্রু।

তবু চন্দ্রের সাথে নদীর গভীর সম্পর্ক। এই সম্পর্ক কোনোদিন ভাঙবে না। তাদের সম্পর্ক ভাঙতে হলে মর্ত্যকে ধ্বংস হতে হবে। তারা স্বর্গে যায়নি। মর্ত্যেই রয়ে গেছে। মর্ত্য যতদিন থাকবে, তাদের সম্পর্ক থাকবে। কিছু সম্পর্ক সৃষ্টির প্রারম্ভ থেকে তৈরি হয়ে আসে অনন্তকালের জন্য। এটা তারা জানে।

আজও মর্ত্যের কোথাও চন্দ্র উঠবে। আজও নদী উত্তাল হবে সেই চন্দ্র দেখে। লক্ষ বছর ধরে তার যেমন আকুলতা ছিলো, এখনো তেমনি আছে। ভবিষ্যতেও তেমনি থাকবে। কারন এটাই ভালবাসা। পরম এক ভালোবাসা। এই ভালোবাসার শুরু আছে, কিন্তু শেষ নেই। যখন শেষ আছে, তখন কিছু নেই।


পরিশিষ্টঃ

গল্পটার নাম কেন "হ্ম" সেটার আসলে সুনির্দিষ্ট কোন ব্যাখা নেই। কাজেই কেউ যদি জিজ্ঞাসা করেন, এটার নাম কেন এরকম, আমি কিছুটা হলেও বিপদে পড়ে যাবো। তবে একটা কথা বলি, এটার উচ্চারন কিন্তু ক+ ষ= "ক্ষ" (খিও) নয়। বরং এটা হ এবং ম এর সমষ্টিগত একটা ধ্বনি। প্রকৃত পক্ষে "হ্ম" আসলে "ম" এর মহাপ্রান রূপ। "ম" এর মহাপ্রান রূপ কেন এখানে ব্যবহার করা হলো, সেই প্রশ্ন আসতে পারে। "ম" তে মর্ত্য, "ম" তে মায়া। "ম" তে মৃত্যু। "ম" এর রূপ তাই এখানে মহাপ্রান। মর্ত্য, মায়া এবং মৃত্যু এর সাথে গল্পের দুই প্রধান চরিত্রের অদ্ভুত সম্পর্ক এখানে খুঁজে পাওয়া যায়। মর্ত্য, মায়া এবং মৃত্যুর সাথে আমাদেরও নিবিড় সম্পর্ক আছে। আমরাও এই তিনটি জিনিসের সাথে কোন না কোনভাবে একই সুতোয় বাঁধা। কালের আবর্তে লুকিয়ে থাকা চন্দ্র এবং নদীর সম্পর্কের মতো।




-Incognito





সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৩৩
৩২টি মন্তব্য ৩২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×