ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা ।। শনিবার ভোরে ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বেউঝারী ও নাগরভিটা সীমান্ত ফাঁড়ির মাঝামাঝি স্থানে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে তিন বাংলাদেশী নিহত হয়েছে। এ সময় বিএসএফ এক বাংলাদেশী কৃষককে অস্ত্রের মুখে ধরে নিয়ে গেছে।
সীমান্তের 378/2-এস পিলার সংলগ্ন এলাকায় জমিতে কাজ করতে গিয়েছিলেন চার বাংলাদেশী কৃষক। এ সময় ভারতের 47 কিষাণগঞ্জ ব্যাটালিয়নের চাকলাগছ ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করে। তাদের গুলিতে ঘটনাস্থলে নিহত হয় তিন বাংলাদেশী। এরা হলেন, কোষালডাঙ্গী গ্রামের ধরিয়াবসত্দির নমিজউদ্দীনের পুত্র আনারউদ্দীন (25), একই গ্রামের ঝুলিয়াবসত্দির পিয়ারু মোহাম্মদের পুত্র হামিদুল ইসলাম (32) ও তাদের সঙ্গে থাকা অজ্ঞাতনামা 15 বছর বয়সের অপর এক কৃষক। বিএসএফ তাদের লাশ টেনে-হেঁচড়ে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়। এছাড়াও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রমজান আলীকে (14) নিয়ে যায়।
গ্রামবাসী জানান, বিএসএফ বাংলাদেশীদের লক্ষ্য করে প্রায় 25/30 রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। এ সময় গ্রামবাসী আতঙ্কগ্রসত্দ হয়ে পড়ে। ঠাকুরগাঁও 20 রাউফেল ব্যাটালিয়ন কর্তৃপক্ষ জানান, বিএসএফের কাছে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে এবং লাশ ফেরত দেয়ার ব্যাপারে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিডিআর আরো জানায়, শনিবার রাতেই পতাকা বৈঠকের পর লাশ ফেরত দেয়ার কথা রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা ও দামুড়হুদা সংবাদদাতা ।। গত শুক্রবার দামুড়হুদা সীমান্ত থেকে এক স্কুল ছাত্রসহ দু'জনকে বিএসএফ অপহরণ করলে, পাল্টা দুই ভারতীয়কে গ্রামবাসী ধরে বিডিআরকে দিয়েছে।
পুলিশ ও গ্রামবাসী জানায়, ঐ দিন বিকালে নতুন গ্রামের স্কুল ছাত্র ফিরোজ (15) ও কৃষক সামাদ (20) সীমান্তবতর্ী মাঠে গেলে রাঙ্গিয়ার পোতা ক্যাম্পের বিএসএফ জোরপূর্বক তাদের ধরে নিয়ে যায়। খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসী ভারতের নদীয়া জেলার বাসিন্দা শ্রী সুশীলকুমার ও শ্রীকৃষ্ণ কান্ত প্রামাণিককে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে ধরে বিডিআরকে দিয়েছে। চুয়াডাঙ্গা 35 বিডিআর অধিনায়ক মীর মোতাহার হাসান (পিএসসি) ইত্তেফাককে জানান, পতাকা বৈঠকের আহবান জানানো হয়েছে। সীমান্তে দু'দেশের গ্রামবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ঃঃ দৈনিক ইত্তেফাক ঃ 05.11.2006 ঃঃ

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



