এটা সম্পূর্ণ আমার নিজস্ব মতামত৷ অন্য কারও এব্যাপারে আমার মতের সাথে মিলবে এমন কোন কথা নাই৷ এর আগে সরকার নিজের সুবিধার্থে জনমত উপেক্ষা করে বা জনমত যাচাইয়ের তোয়াক্কা না করেই বিভিন্ন আইন সংশোধন করেছে৷ এর মধ্যে আছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল, আইসিটি আইন, মামলার রায়প্রাপ্ত আসামীর সাজাবৃদ্ধির জন্য বিশেষ আইন ইত্যাদি৷ সুতরাং দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আরেকটি আইন সংশোধন করা মনে হয় অতি গুরুত্বপূর্ণ৷
এই ব্লগেই অনেকে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে সীমিত গণতন্ত্রের পক্ষে৷ যদিও সীমিত গণতন্ত্রের সংজ্ঞা আমার মোটা মাথায় ঢোকে না তাই আমি সহজ কথায় বুঝি বর্তমান সরকার দীর্ঘদিন বা বারবার ক্ষমতায় থাকার জন্য যে গণতন্ত্র তাকেই হয়ত তারা সীমিত গণতন্ত্র হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতে চায়৷ আর সীমিত গণতন্ত্রের প্রবক্তাদের সাথে সামঞ্জস্য হবে বলে মনে করি আমার এই ধারণাটি৷
আমরা দেখেছি, দেশের বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থার প্রধান(বাফুফে ব্যতীত- ফিফা বাংলাদেশ সরকারের তুলনায় হয়ত বেশি শক্তিশালী তাই তারা এসব মানতে চায় না বা সরকার তাদের বাধ্য করতে পারে না) সরকার মনোনীত ব্যক্তি৷ এখানে সরকারের যুক্তি সংস্থা প্রধান সরকারী মনোনীত হওয়ায় সরকারের সাথে সহজে যোগাযোগ রক্ষা করে উক্ত ক্রীড়া উন্নয়নে আর্থিক, কারিগরি ইত্যাদি বিষয়ে সরকারী সহযোগিতা পেতে সুবিধা হয়৷
এবার আসি মূল আলোচ্য বিষয়ে৷ সামনে পৌরসভা নির্বাচন৷ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আমার মত কারও মনে কোন সন্দেহ আছে বলে মনে হয় না৷ গত জাতীয়, উপজেলা ও সিটি নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি হবে এটা প্রায় সবাই ধরে নিয়েছে৷ সাধারণত সরকারী দলের প্রার্থী সবখানে জয়ী হবে এটা ধরে নেওয়া যায়৷ যদি বিপক্ষ দলের কেউ জয়ী হয়ও তারা কিছুদিন পর বিভিন্ন অযুহাতে বহিষ্কার হবে এটা নিশ্চিত৷
নির্বাচন হল জনগণের পছন্দানুযায়ী প্রতিনিধি বাছাই প্রক্রিয়া৷ সেটা যেহেতু হবে না সেহেতু নির্বাচন না করে নির্বাচন বাবদ বরাদ্ধকৃত অর্থ দেশের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা সম্ভব হত৷ এতে দেশের উন্নয়ন ঘটত৷ কিন্তু নির্বাচনের কারণে হানাহানি, অর্থের অপচয়সহ নানা ধরণের জনসমস্যামূলক কাজ ঘটবে৷
নির্বাচনের ফলাফল আগে থেকে যেহেতু নির্ধারিত সেহেতু নির্বাচন না করেই সরকার তাদের মনোনীত প্রার্থীদের জয়ী ঘোষণা করলেই নির্বাচনী ঝামেলা এড়ানো সম্ভব হত৷ সরকারের বিরোধীতা করার মত দুঃসাহস বর্তমানে কারও নেই৷ এমনকি সরকারের কাজের সমালোচনা করলেই তাকে গ্রেফতার করা হয় সেহেতু এটা নিয়ে কারও সমালোচনার সুযোগও ছিল না৷
এদিকে সরকার মনোনীত হওয়ায় ক্রীড়াসংস্থাগুলোর প্রধানদের মত সরকারী অনুকম্পায় এলাকার উন্নয়নে সহজেই ভূমিকা রাখতে পারবে৷তাছাড়া নির্বাচন হলেও সরকার মনোনীত ব্যক্তিই মেয়র হবে৷ তাহলে নির্বাচন বাবদ সরকারী কোষাগার খালি করার কোন মানে হয় না৷ তাই দেশের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে হলেও দেশপ্রেমিক জনগণের নির্বাচন না করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ করা উচিত৷
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৪