শুনলাম সরকারি চাকরির বয়সসীমা বাড়িয়ে ৩০ থেকে ৩২ করা হচ্ছে। এটা অবশ্যই একটা ভাল উদ্যোগ। এমনিতেই একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন শেষ করতে করতেই প্রায় ২৫/২৬ বছর পার হয়ে যায়। কারও যদি গ্যাপ থাকে তাহলে তো কথাই নাই। এরপর আর বেশিদিন সুযোগ থাকে না চাকরি খোঁজার। তারপর আবার আমাদের দেশে চাকরির যে আকাল। চাকরি খুঁজতে খুঁজতে বয়স শেষ।
সবচেয়ে ভাল হয় চাকরির জন্য এরকম বয়স সীমা একেবারেই তুলে দেওয়া। ভাবতে কষ্ট হয় একজন ব্যক্তি কোন কারনে যদি ৩০ বছর বয়সের মধ্যে চাকরি না পায় তাহলে তার জীবনে আর সরকারি চাকরি হবে না। অথচ সেই ছোটবেলা থেকে কত স্বপ্ন নিয়ে বড় হয়েছে যে লেখাপড়া শিখে ভাল চাকরি করবে। সংসারের হাল ধরবে। অথচ ৩০ বছরের মধ্যে চাকরি না পাওয়ায় সব স্বপ্ন শেষ।
দেশে চাকরির যে প্রতিযোগিতা অনেক সময় অনেক মেধাবীরাও প্রতিযগিতায় টিকতে না পেরে তার জীবনে অন্ধকার নেমে আসে। দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ চাকরির সুযোগ থাকলে বয়স কমানো বা নির্ধারন করলেও সেটা মেনে নেওয়া যেত। এক একটি পদের বিপরীতে যখন কয়েক শত এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে কয়েক হাজার আবেদন পড়ে সেখানে নিশ্চিত অনেকেই যোগ্য থাকে। কিন্তু চাকরি হয় মাত্র একজনের। সেখানেও মামা-খালু, টাকা পয়সার লেনদেনের ব্যাপার থাকে। এরপরও একজন শিক্ষার্থী যখন ৩০ বছরের বয়স সীমার মধ্যে চাকরি না পায় তাকে অপাংক্তেয় হিসেবে ছুড়ে ফেলা হয়। সেই সাথে ছুড়ে ফেলা হয় বছরের পর বছর লালিত একটি জীবনের, একটি পরিবারের স্বপ্নকে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫২