প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কয়লা পানিকে বিশুদ্ধ করে যেটা তিনি ছোটবেলা থেকে জেনে আসছেন। তাই পরিবেশবিদরা পানি ও পরিবেশ দূষণে কয়লার ক্ষতিকারক বিষয় কোথা থেকে পেয়েছেন সেটা তিনি বুঝে পান না। আর এসব গুজব ছড়িয়ে চট্টগ্রামের বাশখালীতে কিছু নিরীহ মানুষের জীবন কেড়ে নেওয়া হল।
তার মানে কি দাঁড়াল? এটা জানতে হলে প্রধানমন্ত্রী হতে হয়, পরিবেশবিদ নয়। সুতরাং দেশে পরিবেশবিদদের কোন দরকার নাই। নাকি আমাদের শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ সাহেব শিক্ষাব্যবস্থাটাকে একেবারেই রসাতলে নিয়ে গেছেন যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ছোটবেলায় যা শিখেছেন তা আর শিখানো হয় না? আর তাই পরিবেশবিদরা তো জানেই না সেটা আগেই বলেছেন। এমনকি এলাকার সাধারণ জনগণও তাদের শিক্ষা জীবনে কখনও পড়ে নাই।
পুলিশ গুলি করে হত্যা করল কিছু মানুষের প্রাণ যারা কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের ফলে নিজেদের বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ হওয়ার আতঙ্কে এই প্রকল্পের বাধা দিতে চেয়েছিল। কি দরকার ছিল এই বাধা প্রদানের। যত্তসব বোকার দল। আমাদের প্রধানমন্ত্রী চেয়েছেন বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে তো হবেই। যে বাধা দিবে তার প্রাণ যাবে এটাই তো স্বাভাবিক। এখন বসত ভিটা তো হারাবেই সাথে জীবনটাও দিতে হল। শুধু কি তাই এই বাধা দেওয়াতে প্রধানমন্ত্রী তাদেরকেই দুষলেন। আমিও তাই বলি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যা বলবেন সেটাই ঠিক। তিনি বড় জ্ঞানী বলেই তো তিনি দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাবান। আর এসব পরিবেশবিদরা তার চাকর। সাধারণ জনগণের কথা নাই বললাম।
সুন্দরবনের কয়লা বোঝাই জাহাজ ডুবিতে পানি দূষিত হয়েছে বলে পরিবেশবিদরা মায়াকান্না করেছেন বলে প্রধানমন্ত্রী তাদের সমালোচনা করে বলেছেন, কয়লা পানিকে বিশুদ্ধ করে। তাই বলি, সুন্দরবনে তেলবাহী জাহাজ ডুবির পর পানি বেশী ময়লা হয়ে গেছিলো তো। পশু পাখির ও পেট টা ভালো যাচ্ছিল না। তাই কয়লাবাহি জাহাজ ডুবি আর কি। আমরা পানি শোধনাগার গুলোতেও মেডিসিন এর পরিবরতে কয়লা ব্যবহার করতে পারি। আর সবচেয়ে ভালো হয় বাংলাদেশের নদীর প্রবেশ পথ গুলোতে কয়লা ফেলে দিলে। বিশেষ করে, বুড়িগঙ্গার যে অবস্থা তাতে এর পানিকে বিশুদ্ধ করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্ভাবিত এই পদ্ধতির প্রয়োগ করতে পারি। আসা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবিষয়ে শীঘ্রই উদ্যোগ নিবে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫২