তোমার আমার পুরোন দিনের প্রেম
বাংলা সিনেমার মতো সস্তা ছিল ভারি।
পার্কে বসে ফুসকা কিংবা চীনেবাদাম খাওয়া
এক/দুই দিন দেখা না হলেই অভিমান কিংবা আড়ি।
এক নজর তোমাকে দেখার লাগি,
গলির মুখে দাঁড়িয়ে থাকতাম একা
জানালার ফাঁকে কিংবা বেলকনিতে এসে
কখন এক পলক দিয়ে যাবে দেখা
ফোনে একটু কথা বলার জন্য,
কয়েন বক্সের কিউতে দাঁড়িয়ে থাকা।
হলের ভিতর কল পাঠিয়ে মনে হতো যেন
ঘুরছে নাতো সময়ের চাকা।
ডাক পিয়নের সাইকেলের টুংটাং
শুনেই দরজায় দিতাম ছুঁট
তোমার পাঠানো দীর্ঘ চিঠিটিকে
মনে হতো যেন ছোট্ট চিরকূট
তারপর নাওয়া খাওয়া ভুলে
ভাবনার দুয়ার খুলে
চিঠির উত্তর লিখতে বসা
এসব এখন পানসে হয়ে গেছে
এ্ যুগে কি আর বলো এসব জমে!
তাই ব্যাকডেটেড এই বস্তাপঁচা ক্লাসিক প্রেম
চলো বিক্রি করে দেই বিক্রয় ডট কমে।
তারপর দুজনে বসে কোন কফি শপে
কামড় দিতে দিতে চিকেন চপে
চলো আল্ট্রা মডার্ন প্রেমের নকশা আঁকি
কিংবা ফার্স্ট ফুডের আলো আধাঁরীতে বসে
গ্রিল খেতে খেতে দেখি হিসেব কষে
কতোটা হবে নগদ লেন-দেন কতোটা থাকবে বাকি
কোল্ড কফির ওয়ানটাইম গ্লাসে
চমুক দেয়ার ফাঁকে
ডোন্ট মাইন্ড ডিয়ার
একটুখানি হাত বুলালাম সুতনু দেহের বাঁকে
ইচ্ছা করলে তুমি কাছে আসতে পারো আরো
ইচ্ছে না করলে নির্দ্বিধায় ব্রেক আপও নিতে পারো
তোমার ইচ্ছের কাছে তুমি স্বাধীন
আমরা দুজনেই এডাল্ট, দূরন্ত বাঁধনহীন
তাই চলো আরেকটু সংলগ্ন হই, ঠোঁটে ঠোঁট ভিজাই
আরো বেশী উষ্ণতা পেতে চলো 'লিটনের ফ্ল্যাটে যাই
অথবা পানপাত্রে চুমুক দিয়ে জগৎ-সংসার ভুলে
বুঁদ হয়ে ভিডিও চ্যাটে পরস্পরকে দেখি খুলে
কে আমাদের আটকাবে বলো, কে যে দিবে বাঁধা
আমরা দুজনেই এডাল্ট তোমার সমস্যা কি দাদা?//
ছবিঃগুগল থেকে সংগৃহীত//
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫৫