কিছু কিছু মানুষ ভারিক্ক স্বভাবের হয়। কথা বলে কম, শুনে বেশী।তাদের কথা যেমন ওজনী তেমনি যুক্তিবহুল। এ ধরণের আমার একটি ঘনিষ্ঠ বন্ধু আছে ইউচুপ। তার কথা আমি খুব মনোযোগ দিয়ে শুনি। আজ এক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীকে খালেদা জিয়ার পটক পার করতে না দেয়ার বিষয়ে সে বলে, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীকে গুলশান কার্যলয়ে প্রবেশ না দিয়ে যে প্রজ্ঞার কাজ করেছে, সেটা প্রশংসার যোগ্য।
আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, সেটা কেমনে?
ইউসুপঃ আগে সরকার পল্টনের অফিসে প্রবেশ করে একটি দলের সকল তথ্য নিয়ে গেছে। বর্তমানকার আন্দোলন তারেক রহমান গুলশান কার্যালয় ও সারাদেশের তৃণমুলের নেতাদের সম্পৃক্ত করে সরাসরি পরিচালনা করছেন। ঢাকার কেন্দ্রীক নেতাদের এবারের আন্দোলনে বাদ দিয়েছেন। এ আন্দোলনের সিস্টেম ভিন্ন ধরণ ভিন্ন, জন-জীবন স্বাভাবিক থাকবে, গাড়ীও চলবে তবে মানুষ আতঙ্কিত থাকবে। ঐ দিন যদি আবেগের বশবর্তী হয়ে শেখ হাছিনাকে কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দিত তাহলে সরকারের সোর্স, এসএসএফ, গোয়েন্দাবাহিনী ঐ কার্যলয়ের নিয়ন্ত্রণ নিত এবং কি ভাবে আন্দোলন পরিচারিত হচ্ছে তা সরকারের হস্তগত হত। তখন থেকে বিএনপির আন্দোলন ব্যানিশ হয়ে যেত। দেখছন না? ঐ কার্যালয় থেকে তারেক জিয়াকে বিচ্ছিন্ন করতে স্কাইপ ভাইবার, টেঙ্গু ইত্যাদি বন্ধ করেছিল সরকার, হালে সেখানকার ব্রডবেন্ড ইন্টারনেট, ডিশ মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিয়েছে।যাদের রাজনৈতিক জ্ঞান কম তারা আবেগের বশবতী হয়ে খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে গাল মন্দ করেছে তখন। অথচ বিএনপি তখন উচিত ও সমপোযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
বন্ধুর বক্তব্য শুনে আমি আমার ২৫ জানুয়ারীতে প্রদেয় ফেসবুক স্ট্যাটাস প্রত্যাহার করলাম।