মন বধুয়ার কথা, সরষে ফুলে গাঁথা। (কবিতা) পর্ব ১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
কাঁশ বনের ঐ সরু পথে, ঐ যে আমার বাড়ী
সরষে মাঠে ঐ দেখা যায় ,হলদে বরণ শাড়ী।
শাড়ীর ভাজে লুকিয়ে আছে, বিরাগ বধুর মন
সরষে দোলার হাওয়ায় বলে, দাড়াও কিছুক্ষণ।
বধুয়া আমার মন বধুয়া, খোপায় কদম ফুল
চিরন দাঁতের হরিন চোঁখে, লম্বা বেনীর চুল।
হাজার ফুলের মাঝে এমন, কোথায় বল দেখি
প্রিয়া আমার দাড়ীয়ে আছে , আমার নাকি সে কি!
দুপুর বেলা বাড়ী গেলে, শীতল পাটি মেলে
আমার পাশে বসে তখন, সূখের কথা বলে।
সূখ কোথায় গো, মন ভোমরা আমরা গরীব মানুষ
সূখের কথা যারা বলে , সবই রংয়িন ফানুস।
আশায় আছি তাদের মত, দিন কি আমার হবে
হলেও সেদিন দোয়া করি, তুমি সাথে রবে।
শ্রোতের মাঝে দাড়ীয়ে আছে, সাগর জলের খেলা
সরষে মাঠে মৌমাছিরা, কাটিয়ে দিছে বেলা।
সরষে খেতের তরঙ্গ ভাব,,স্রোতস্বিনী নদী
ঢেউ উঠেছে উতাল পাথাল, চলছে নিরবধী।
ফুলের গন্ধে মন ধরে না ,থাকতে নারি ঘরে
কেমনে যাব ধানের খেতে, হাড় কাপানো জ্বরে।
ঐ যে দেখ পুকুর পাড়ে, তালের সারি সারি
রসের মিঠাই রসের পিঠা, খেজুর গাছে হাড়ী।
উনুন পানে সকাল বেলা, শিশির ভেজা ভোর
নামাজ শেষে তোমার পাশে, কাঠের পিড়ী মোর।
তোমার বাড়ী প্রথম যেদিন, বাড়ীর পানে হেথা
স্নান করিতে পুকুর ঘাটে, আড় চোঁখেতে দেখা।
ভাবুক মনে কল্পনাতে, নীল পরীর ঐ রুপ
ধমক দিয়ে বিবেক বলে, এখন থাক চুপ।
ভয়ে আমার মনের ভিতর, উথাল পাতাল করে
ঐ রুপ যদি না পাই কভু, শূণ্য বাসর ঘরে।
বাড়ীর লোকে একবার যদি, উল্টা পাল্টা বুঝে
গামছা থাকবো তুই পালাবি যাইবি নিজের দেশে।
কলমি লতার ঝাড়ুর পিটা তোর কপালে আছে
বউ পাওয়াতো দুরের কথা জুতার মালা পাছে।
সেই যে আমি ভয় পাইলাম বউ, অহনো মনে পড়ে
সেই ভয় আমার ভূত সাজিয়া, গভীর ঘুমের ঘোরে।
তোর বাপ আমায় সাইকেল দিল, ট্রানজিসটারের গান
রুপবান ছবির গান শুনিয়া, করতে যাইতাম স্নান।
তোমার বাড়ীর বেবাক মাইয়া , মুইট্টা একখান শালী
চাটনী খাওয়ার মতলব আইটা আমার পকেট খালী।
হাত রাংআতে মেহেদী পাতা, বরুন গাছের ছাল
দেখতে যাইয়া শালীর গুতায় , হইলাম লালে লাল।
সকাল বেলা স্নান করিতে পুকুর ঘাটে গেলে
গিয়ে দেখি কে যেন ভাই, জাল রেখেছে ফেলে ।
পিছন পানে না চাহিতে তিনটা মোটা শালী
মাছ ধরিতে হবে এখন , নইলে দেব ঠেলি।
বাপরে বাপ, খোদার খাসী, কি চাউলের ভাত!
শালীতো নয় আটার বস্তা , পাকিস্তানী হাত।
তোদের বাড়ী আছে নাকি একটা খ্যাকা কুকুর
শালা বড় ডেনজারেসম্যান, উল্টো মারে মুগুর।
ও বধুয়া নীরব কেন, পিছন পানে চাও
দু:খের দিনে মধুর সুরে, একটা কলি গাও।
যে কলিটা লগন দিনে তোমার বোনের মুখে
আজকে না হয় আবার শুনাও দু:খের দিনের সূখে।
রাখ তোমার পুরান কথা , নতুন কথা কও
কখন যাইবা গন্জের ঘাটে ,ব্যাগটা হাতে লও।
বাইগুন আনবা লম্বা দেইখা, ইলিশ যদি পাও
তড়িৎ কর খাড়াই আছে , রহিম শেখের নাও।
জানি গো বধু সরিষা ফুলে, যায় না গাঁথা মালা
তার পরেও আসায় থাকি, মেলিয়া রাখি ডালা।
১৮টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।
ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন
সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।
সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা
সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না
...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না
ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়
প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন