somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মার্ক সীটে জি,পি,এ ৫ , কলেজ ভর্তি, না - ডেসট্রয় লাইফ!

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের দেশে চাকুরীতে যেদিন কোটা পদ্ধতি আবিষ্কার হয়েছে , সে দিন থেকে মেধার বিকাশ ধংস হয়েছে।
চাকুরীর নিশ্চয়তা যেহেতু নেই তাই পড়াশুনা করে কি লাভ, এমন এক পাগলা ঘোড়া দাবরীয়ে বেড়াচ্ছে মেধাবীদের মাঝে। মেধার যেহেতু মূল্যায়ন হবে না, কোটা নামক আসমানী গজব যেহেতু জাতীর ঘাড়ে চেপে বসেছে তাই প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অপদার্থ আর অযোগ্যরা ঘাটি গেড়ে বসেছে।
অযোগ্যতার যাতাকলে নিষ্পেশিত জনগন পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য কাউরো অপক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে মৃত্যু যবনিকার ওপারে পরপারের ডাক এসেছে কিন্তু সেই সোনার হরিনের দেখা মেলেনি, হয়তো মিলবেও না কখনো।
যারা জি, পি,এ ৫ কে ভর্তির যোগ্যতার মাপকাঠি মনে করেন তাদের বিষয়ে দুটি বৎসর অপেক্ষা করার অনুরোধ করছি,এস এস সির জি পি এ ৫ এইচ, এস সিতে কি রেজাল্ট করে সেটাই দেখার বিষয়, যদি এরা সকলেই জি পি এ ৫ পায় তাহলে আমার কোন আপত্তি নেই , আর যদি উল্টো হয়ে বসে তাহলে হয়তো করার কিছু থাকবে না কিন্তু যাদের জীবন নস্ট হয়েছে তাদের জন্য আপষোস হবে।
ইতোমধ্যে জি পি এ ৫ কে সমান্তরাল মর্যাদায় ভূষিত করা হয়েছে এ ক্ষেত্রে স্কুল মাদ্রাসার পার্থক্য নির্নয় করা হয়নি শুধু মার্কসীটে জি,পি,এ ৫ থাকলেই হল। মেধার ক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী মেধাবী এ বিষয় এখানে আলচ্য নয়। তবে একটা বিষয় অবশ্যই স্বীকার করতে হবে শিক্ষা রিলেটেড আনুষঙ্গীক ইনস্ট্রুমেন্ট বা সুযোগ সুবিধা মাদ্রাসার চাইতে স্কুল কলেজে অনেক বেশী তাই এ সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অনেক বেশী এগিয়ে। (বিজ্ঞান বিষয় এখানে একজাম্পল হতে পারে কোন কোন মাদ্রাসায় বিজ্ঞাণ বিষয়ের শিকই নেই থাকতো ইনস্ট্রুমেন্ট বা প্রায়োগিক শিক্ষা্। )

কোন ছাত্রছাত্রী সারা বৎসর ভাল পড়াশুনা করেছে কিন্তু এস, এস, সি পরীক্ষার সময় হয়ত অসুস্থ বা প্রশ্নপত্র বুঝে উঠতে পারেন নি বা অন্য কোন কারনে জি,পি,এ ৫ এর কাছাকাছি মার্ক পেয়েছে এখন তাকে কি থার্ড কাসের মর্যাদা দেয়া হবে নয়তো তাকে কেন নামকরা শিা প্রতিষ্ঠান অবহেলার নামে অযোগ্য ঘোষনা করল।

ভবিষ্যতে কি জি, পি, এ ৫ বাইরের শিার্থীরা পড়শুনা করতে পারবে না ? নাকি শিার্থী মানে জি, পি,এ ৫ ঘোষনা করা হবে।
পড়াশুনায় মন বসা অনেকটা আগ্রহের উপর নির্ভশীল কিন্তু মাঝ পথে যখন নিজের ভবিষ্যৎ দ্বিধাদন্ধের অন্ধকার অনুমিত হবে তখন ছাত্রছাত্রীর পড়াশুনার আগ্রহ নস্ট হয়ে যাবে , সে তখন এক পা এগোলেও দুপা পিছনে তাকাবে ।

আমি গভর্নিং বডির সহসভাপতি ছিলাম এমন একটি মাদ্রাসায় বিজ্ঞাণ বিষয়ের ভাল কোন শিক্ষকই নেই থাকতো প্রাকটিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট, একজন ছাত্র গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে নামকরা একটি কলেজে বিজ্ঞাণ বিষয়ে সকলের আগেই চান্স পেয়েছে অথচ হাজারো ৪.৮৫/৪.৯০/৪.৯৫ উপেক্ষিত হয়েছে।

তার উপর কলেজ কর্তৃপক্ষ নূন্যতম ভর্তির যোগ্যতা বিজ্ঞানের বিষয়ের ক্ষেত্রে ৪.৬৩ নির্ধারন করে দিয়েছে অথছ জি, পি, এ ৫ এর নিচে একজনকেও নেয় নি। দরখাস্ত আহ্বানের নামে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিয়েছে। ঐ সকল ছাত্রছাত্রী বুকভরা আশা নিয়ে অপো করে উপায় অন্তর না দেখে নাকখাওস্তের কলেজ গুলিতে ভর্তি হয়েছে। এবার আপনারাই বলুন এ সকল ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ কি হবে বা তাদের অবিভাবকদের কি অবস্থা বিরাজ করছে?

মেধার মূল্যায়ন কি গ্রেডিং পদ্ধতিই শেষ ঠিকানা নাকি মেধা যাচাই করার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ নাগরীক তৈরী করার প্রয়াস সে চিন্তার মাঝে একটি প্রশ্নবোধক রেখা একে দিলাম চিন্তা জগতের অধিবাসীদের ।

প্রশ্ন থাকলো একটি, মার্কসীটে জি,পি,এ ফাইভ , ভবিষ্যৎ উচ্চ শিক্ষা নাকি ডেস্ট্রয় লাইফ???

বি:দ্র: মাদ্রাসা শিক্ষায় বিজ্ঞান বিষয়ে উপযুক্ত শিক্ষক নিয়োগ এবং প্রয়োজনীয় ইনস্ট্রুমেন্ট সরবরাহ করার মাধ্যমে সমযোগ্যতায় আনার যেমন প্রয়োজন ঠিক তেমনি মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে যোগ্যতা নির্ধারন হবে কেবল দুটি বিপরিত ধর্মী শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ বিনির্মান নয়তো কেউ মাঝ পথে হারিয়ে যাবে আবার কেউ অঙ্কুরে বিনস্ট হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৪৩
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×