somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হেফাজত : মজহারের শ্রেণী-জিহাদ

২৫ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাসুদ রানা : ইংল্যান্ড থেকে


অজ্ঞতা আমার! পড়া হয়নি। তবে, পড়ুয়া বন্ধুদের কাছে শুনেছি, ইসলামী জিহাদই আজকের যুগে শোষিতের শ্রেণী সংগ্রাম বলে তত্ত্বায়ন করেছেন বাংলাদেশি বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহার। শুনেছি, এ-তত্ত্ব চ্যালেঞ্জ করার মতো ক্ষমতা নাকি মার্ক্সবাদী শ্রেণী-সংগ্রামীরাও দেখাতে পারেননি।

আরও শুনেছি, তাঁর বিরুদ্ধে বুদ্ধিতে ও যুক্তিতে না পেরে, কেউ-কেউ নাকি ইতর ভাষায় গালাগাল করেন তাঁকে। তবে এ-কথা শুনে চমৎকৃত হয়েছি যে, গালাগালের উত্তর দেন না মজহার। শ্রদ্ধাবনত আমি বলি, এটি মহত্ত্বের পরিচয়।

অদ্য এক বন্ধু আমাকে একটি অনলাইন লিংক পাঠালেন ফরহাদ মজহারের একটি লেখার। লেখাটির শিরোনাম ‘অপারেশন ফ্লাশ আউট’, যেখানে তিনি হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচির কারণ এবং তাঁদের উপর সরকারি বাহিনীর আক্রমণের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন।

সে-ব্যাখ্যায় পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে শ্রেণী-সংগ্রাম এবং ইসলামী বিশ্বাস প্রতিষ্ঠার জিহাদের ধারণা পাশাপাশি ব্যবহার করে প্রথমে অনুষঙ্গ ও পরে প্রতিস্থাপন পদ্ধতির মাধ্যেমে এই দুই ধারণার মধ্যে একটি সমীকরণ প্রতিষ্ঠা করার প্রয়াস পেয়েছেন। নিচের লেখায় আমি বিষয়টি দেখাবার চেষ্টায় প্রবৃত্ত হলাম।

অনুসন্ধান

ফরহাদ মজহার তাঁর রচনা শুরু করেছেন হেফাজতে ইসলামের সমাবেশের উপর আক্রমণের পেছেন নগরবাসী শাসক শ্রেণীর উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে। তিনি লিখেছেনÑ

“নাম দেয়া হয়েছিল ‘অপারেশন ফ্লাশ আউট’ অর্থাৎ হেফাজতিদের শহর থেকে টিয়ার গ্যাস ছুড়ে গুলি মেরে বোমা ফাটিয়ে যে ভাবেই হোক তাড়িয়ে দিতে হবে। শহর সাফ করতে হবে।”

অপারেশন বা আক্রমণের উদ্দেশ্যকে বস্তুনিষ্ঠভাবে ব্যাখ্যা করার পরিবর্তে, ফরহাদ মজহার অনেকটা গল্পের মতো লেখকের অন্তর্যামী ক্ষমতা দিয়ে শাসক-চরিত্রের চিন্তাকে ইম্পারেটিভ বাক্য রচনার মাধ্যমে প্রকাশ করে লিখলেনÑ

‘অপারেশান ফ্লাশ আউট টিয়ার গ্যাস ছুড়ে, নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ভীতিকর সাউন্ড গ্রেনেডের আওয়াজে দিগি¦দিক প্রকম্পিত করে গ্রাম থেকে আসা মানুষগুলোকে মেরে কেটে তাড়িয়ে দাও। শহর নিরাপদ করো সেই গুটি কয়েকের জন্য যাদের কাছে ১৬ কোটি মানুষ তাদের জীবন ও জীবিকা জিম্মি না রেখে বেঁচে থাকতে পারে না।’

বুঝলাম, ফরহাদ মজহার গ্রামের মানুষের প্রতি ঢাকাবাসী ধনিক শ্রেণীর ঘৃণার বর্ণনা দিয়েছেন সাহিত্যিক সৃষ্টিশীলতায়। কিন্তু তাঁর এই সৃষ্টিশীলতা যে পরিস্থিতির অবজেক্টিভিটি বা বস্তুনিষ্ঠতাকে নস্যাৎ করেছে, তা হয়তো তিনি লক্ষ্যই করেননি; কিংবা, তিনি সচেতনভাবেই একটি সাবজেক্টিভ রিপ্রেজেন্টেশন তৈরি করেছেন। কারণ, রাষ্ট্রীয় তিন বাহিনীর যৌথ অভিযানকে শুধু গ্রামের মানুষের প্রতি ঘৃণার প্রকাশ হিসেবে মেনে নিলে এটিও মেনে নিতে হবে যে গ্রামের মানুষ মাত্রই দরিদ্র এবং শহরের সব মানুষ না হলেও বেশিরভাগ মানুষই ধনিক শ্রেণীর।

বাস্তবে বিষয়টি মোটেও তা নয়। বস্তুত শহরের বাইরে গ্রাম কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়। শহর ও গ্রাম মিলেই বাংলাদেশের শ্রেণী-বিভক্ত সমাজ গঠিত। আর, সে-সমাজে যে শ্রেণী-শোষণ চলছে, তা-ও গ্রামে ও শহরে মিলিয়েই চলছে।

পুঁজিবাদী সমাজের অসম বিকাশের সাধারণ নিয়মেই শহর ও গ্রামের মধ্যে পার্থক্য আছে, কিন্তু গ্রামের মানুষ মাত্রই দরিদ্র শ্রেণীর অন্তর্গত, তা সত্য নয়। গ্রামের মানুষ মানেই দরিদ্র বুঝলে কিংবা বুঝালে বস্তত গ্রামীণ শ্রেণী-বিভাজন ও শ্রেণী-শোষণকে অস্বীকার করা।

সুতরাং আমি সজোরে সন্দেহ প্রকাশ করছিÑ মার্ক্সীয় শ্রেণী-সংগ্রাম ধারণায় শ্রেণী বলতে যা নির্দেশ করা হয়, সে-সম্পর্কে ফরহাদ মজহারের উপলব্ধি হয়তো এক নয়। আমার এ-সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়, যখন দেখি তিনি শহরের বিপরীতে গ্রাম, আর গ্রামের পরিচয়ই হচ্ছে মাদ্রাসা বলে বুঝাতে চান।

ফরহাদ মজাহার তাঁর রচনার দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে শুরুতেই গ্রামের মানুষের সঙ্গে মাদ্রাসার সমীকরণ করেছেন। তিনি লিখেছেনÑ

‘শহরে কি তাহলে গ্রামের মানুষের কোনো স্থান নাই? আছে। শহরেও মাদরাসা আছে। কিন্তু তার উপস্থিতি অদৃশ্য। তাকে থাকতে হবে, না থাকার মতো শহুরে ভদ্রলোকদের নজর থেকে দূরে।’

শহরে গ্রামের মানুষ থাকে কি-না প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলতে পারতেন, ‘আছে, লক্ষ-লক্ষ বস্তিবাসী আছে’। কিন্তু তিনি ‘আছে’ এবং ‘শহরেও মাদরাসা আছে’ বলে, গ্রামের মানুষকে আইডেন্টিফাই করলেন মাদ্রাসার সঙ্গে। এবং পরক্ষণেই সেই গ্রামের মানুষদেরকে শহরে শোষিত হতে দেখালেন পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার অধীনেÑ

‘এদের ছাড়াও শহরে সহ্য করা হয় পোশাক কারখানার জন্য কিশোর ও কিশোরী সস্তা শ্রমিকদের। কিন্তু তাদের থাকতে হয় বদ্ধ বস্তিতে এক ঘরে দশ-পনেরো জন। যে মজুরি পায় তা ঘরভাড়া দিতেই চলে যায়। খাবার ঠিকমতো খায় কি না সন্দেহ। কিন্তু তারাও যখন কারখানায় কাজ করে তখন তাদের তালা মেরে রাখা হয় জেলখানার বন্দীর মতো। কারখানায় আগুন লাগলে যেকোনো দুর্ঘটনায় তারা পুড়ে মরে, হুড়োহুড়ি করে বেরোতে গিয়ে পায়ের চাপায় পিষ্ট হয়ে লাশ হয়ে যায়। ভবন ধসে পড়ে প্রায়ই। তখন তাদের জ্যান্ত কবর হয়। রানা প্লাজা ধসে গিয়ে চাপা পেয়ে মরেছে হাজারেরও বেশি মানুষ।’

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে শোষিত শ্রমিককে গ্রামের মানুষ হিসেবে চিত্রিত এবং গ্রামের মানুষকে মাদ্রাসার লোক হিসেবে আইডেন্টিফাই করার পর ফরহাদ তৃতীয় অনুচ্ছেদে লিখলেনÑ

‘যে জালিম ব্যবস্থা গরিবকে নিরন্তর গরিব করে রাখে, যে ব্যবস্থায় পুঁজির কাছে নিজেকে বেচে দিয়ে নগণ্য মজুরির ওপর জন্তু-জানোয়ারের মতো শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকা ছাড়া আল্লাহর দুনিয়ায় মজলুমের প্রাণধারণের কোনো উপায় আর অবশিষ্ট থাকে না, সেই ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করতে এসেছিল হেফাজত। কেন এসেছিল? কারণ তার জীবের জীবন থেকে এই ব্যবস্থা যা কেড়ে নিতে পারেনি তা হচ্ছে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, নিজের ইমান-আকিদার প্রতি অঙ্গীকার এবং নবী করিমের (সা.) প্রতি অগাধ প্রেম। কুৎসিত ও কদর্য ভাষায় বাক ও ব্যক্তি-স্বাধীনতার নামে তার জীবনের শেষ এই সম্বলটুকুরও অবমাননা, অপমানিত ও লাঞ্ছিত করেছে শহরের মানুষ। হেফাজত তার ঈমান-আকিদার জায়গা থেকেই প্রতিবাদ করেছে।’

ফরহাদ মজহারের ভুল নিরূপণ করার জন্য তাঁর এই পাঁচ বাক্যের ব্যবহার ভালো করে লক্ষ করা প্রয়োজন। কারণ এর উপর নির্ভর করেই আমাদের উপলব্ধি গড়ে তুলতে হবে ফরহাদ মজহারের শ্রেণী-সংগ্রাম ও জিহাদের সমীকরণ তত্ত্ব সম্পর্কে।

ঢাকায় কেন হেফাজতে ইসলাম এসেছিলÑ এর উত্তর প্রথম বাক্যের সাবঅর্ডিনেইট ক্লজে দেয়া হয়েছে ‘সেই ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করতে এসেছিলো হেফাজত’ দাবি করে। ‘সেই ব্যবস্থা’ যে পুঁজিবাদী শোষণ ব্যবস্থা, তা-ও নির্দেশ করা হয়েছে প্রথম বাক্যের মেইন ক্লজে ‘পুঁজির কাছে নিজেকে বেচে দিয়ে’ বলে। দুই ক্লজে গঠিত ৪১-শব্দের এই বাক্যটি স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও ফরহাদ মজহার ‘কেন এসেছিল?’ প্রশ্নবোধক দ্বিতীয় বাক্যটি ছুরির মতো বসিয়ে দিলেন প্রথম বাক্যের ঠিক পেছেনে।

মজহার সাহেব এর মধ্য দিয়ে এক দিকে প্রথম বাক্যের স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধ্বংস করে পরক্ষণেই তা উদ্ধার করতে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বাক্যে হেফাজতের ঢাকা আসার কারণ হিসেবে (১) ইসলামী ঈমান ও আকিদার প্রতি শহরের মানুষদের প্রদর্শিত অবমাননা এবং (২) এই অবমাননার বিরুদ্ধে হেফাজতিদের প্রতিবাদ স্পৃহার কথা উল্লেখ করলেন।

দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে ফরহাদ মজহার পুঁজিবাদের শোষণের নির্মম শিকার হিসেবে নিয়ে এলেন পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের (যাঁদের অধিকাংশ নারী) সর্বশেষ মৃত্যুর ঘটনা (যাকে হেফাজতের নেতা আল্লাহ্র গজব বলেছেন)।

কিন্তু আমরা লক্ষ করি, তৃতীয় অনুচ্ছেদের প্রথম বাক্যে শ্রমিক উধাও হয়ে গেল কিন্তু পুঁজিবাদী শোষণের বর্ণনা অব্যাহত থাকল এবং এর চ্যালেঞ্জার হিসেবে আবির্ভূত হলো হেফাজতে ইসলাম। দ্বিতীয় বাক্যে চ্যালেঞ্জার প্রশ্নাতীত কিন্তু কারণ হলো প্রশ্নবিদ্ধ। তৃতীয়-চতুর্থ-পঞ্চম বাক্যে নতুন কারণ হাজির হলোÑ ঈমান ও আকিদার প্রতিষ্ঠার লড়াই বা জিহাদ।

এভাবেই বুদ্ধিমান ও সৃষ্টিশীল ফরহাদ মজহার ‘অপরেশন ফ্লাশ আউট’ রচনায় প্রত্যক্ষভাবে না হলেও অন্তত পরোক্ষভাবে শ্রেণী-সংগ্রাম ও ইসলামী জিহাদের মধ্যে সমীকরণ প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছেন।

হেফাজতের ১৩-দফা

বুদ্ধিমান ফরহাদ মজহার যতই ইসলামী জিহাদ আর পুঁজিবাদ-বিরোধী শ্রেণী-সংগ্রামের সমীকরণ আর হেফাজতীদেরকে শ্রেণী-সংগ্রামের বীর সেনানী হিসেবে দেখাতে চান না কেন, হেফাজতে ইসলাম নিজেদের উত্থাপিত ১৩ দফার মধ্য দিয়ে স্ফটিক-স্পষ্ট করে ঘোষণা করেছেন যে, তাঁদের দাবিগুলো কী। আলোচনার সুবিধার্থে তাঁদের দাবিগুলোর উনরুৎপাদন করা হলোÑ

১. সংবিধানে ‘আল্লাহ্র উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন এবং কোরান-সুন্নাহ্ বিরোধী সকল আইন বাতিল করতে হবে।

২. আল্লাহ্, রাসুল (সা.) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস করতে হবে।

৩. কথিত শাহবাগী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী স্বঘোষিত নাস্তিক-মুরতাদ এবং প্রিয় নবী (সা.)-র শানে জঘন্য কুৎসা রটনাকারী কুলাঙ্গার ব্লগার ও ইসলাম বিদ্বেষীদের সকল অপপ্রচার বন্ধসহ কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করতে হবে।

৪. ব্যক্তি ও বাক-স্বাধীনতার নামে সকল বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্জ্বালনসহ সকল বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে।

৫. ইসলামবিরোধী নারীনীতি, ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিল করে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।

৬. সরকারিভাবে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রমূলক সকল অপ-তৎপরতা বন্ধ করতে হবে।

৭. মসজিদের নগরী ঢাকাকে মূর্তির নগরীতে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করতে হবে।

৮. জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সকল মসজিদে মুসল্লিদের নির্বিঘেœ নামাজ আদায়ে বাধা-বিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং ওয়াজ-নসিহত ও ধর্মীয় কার্যকলাপে বাধাদান বন্ধ করতে হবে।

৯. রেডিও-টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় দাড়ি-টুপি ও ইসলামী কৃষ্টি-কালচার নিয়ে হাসি-ঠাট্টা এবং নাটক-সিনেমায় খল ও নেতিবাচক চরিত্রে ধর্মীয় লেবাস-পোশাক পরিয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে তরুণ প্রজšে§র মনে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করতে হবে।

১০. পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত এনজিও এবং খ্রিস্টান মিশনারিদের ধর্মান্তকরণসহ সকল অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে।

১১. রাসুলপ্রেমিক প্রতিবাদী আলেম-ওলামা, মাদরাসা ছাত্র এবং তৌহিদী জনতার ওপর হামলা, দমন-পীড়ন, নির্বিচার গুলিবর্ষণ এবং গণহত্যা বন্ধ করতে হবে।

১২. সারা দেশের কওমি মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক, ওলামা-মাশায়েখ এবং মসজিদের ইমাম-খতিবকে হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি দানসহ তাদের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে।

১৩. অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত সকল আলেম-ওলামা, মাদরাসা ছাত্র ও তৌহিদী জনতাকে মুক্তিদান, দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আহত ও নিহতদের ক্ষতিপূরণসহ দুষ্কৃতকারীদেরকে বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।

১৩-দফার বিশ্লেষণ

আমরা যদি বস্তুনিষ্ঠ ও বৈজ্ঞানিক নিরাসক্তি নিয়ে হেফাজতীদের ১৩-বিন্দু দাবির নিচ থেকে উপরে দিকে লক্ষ করি, তাহলে দেখবÑ

শেষের ৩টি তাৎক্ষণিক গণতান্ত্রিক দাবি। কারণ, সেখানে রাষ্ট্র কর্তৃক দমন-পীড়ন, হত্যা-নির্যাতনের বিরুদ্ধে এবং গ্রেপ্তারিতদের মুক্তির চাওয়া হয়েছে।

এমনকি এর উপরের ৩টি দাবিকেও সীমিত অর্থে গণতান্ত্রিক বলা যায়। কারণ, সেখানেও নিজেদের বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অন্য বিশ্বাসের লোকদের ‘অপতৎপরতা’ বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে।

কিন্তু উপর থেকে নিচের দিকে প্রথম ৭টি দাবিতে আমরা কী দেখি? আমি সততার সঙ্গে বলছি, এর প্রতিটি দাবি প্রতিক্রিয়াশীল। এ-দাবিগুলো শোষণ-নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে তো নয়ই, বরং কোথাও প্রত্যক্ষভাবে এবং কোথাও পরোক্ষভাবে নির্যাতন-নিপীড়নের পক্ষে সক্রিয় ওকালতি।

১. ১৯৭১ সালে রক্তাক্ত বিপ্লবের মধ্য দিয়ে যে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং সেই বিপ্লব-প্রদত্ত বৈধতায় ভিত্তিষ্ঠিত রাষ্ট্রীয় ধর্মনিরপেক্ষতা এই রাষ্ট্রের সকল নাগরিককে দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে যে সমান মর্যাদা দান করেছে, সেখানে একটি বিশেষ ধর্মের শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি চাওয়া কোনো বিচারেই ন্যায়সঙ্গত নয়। এ-রকম দাবি একটি ধর্মের জন্য সুখের হলেও অন্য ধর্মের কিংবা ধর্মহীন লোকদের জন্য জুলুম। তাই, এ-দাবি প্রতিক্রিয়াশীল।

২. সাধারণভাবে যেকোনো বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কুৎসা প্রচার অন্যায়। এমনকি নাস্তিক্যবাদের বিরুদ্ধেও কুৎসা প্রচার অন্যায়। আস্তিক্য যেমন বিশ্বাস, নাস্তিক্য তেমনই বিশ্বাস। তাই, কোনো বিশ্বাসীর অধিকার নেই অন্যের বিশ্বাসকে অপমান করার। তবে যদি কেউ তা করেন, তাহলে তাঁর শাস্তি যাই হোক না কেনো, মৃত্যুদণ্ড হতে পারে না। আজকের পৃথিবীতে মৃত্যুদণ্ড অত্যন্ত পশ্চাৎপদ ধারণা। বিচার প্রক্রিয়ায় ভুল হতে পারে, আর মৃত্যুদণ্ড দিয়ে দেবার পর যদি বিচার প্রক্রিয়ায় ভুল প্রমাণিত হয়, তাহলে সে-ভুল শুধরানো তো যায়ই না, এর কোনো ক্ষতিপূরণও হয় না। তাই আইনতত্ত্ব বলে, অপরাধীর শাস্তি না-পাওয়ার চেয়ে নিরপরাধীর শাস্তি-পাওয়া বেশি ক্ষতিকর।

৩. ইসলামের নবী-সহ যেকোনো ধর্ম-প্রবর্তক বা ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে কুৎসা প্রচার একটি অন্যায় এবং প্রায়শ আইনের চোখে অপরাধ হিসেবে গণ্য। যাঁরা এই কাজ বা অপরাধ করেছেন, তাঁদের বিচার হোক। কিন্তু স্বঘোষিত নাস্তিককে শাস্তি পেতে হবে কেনো? কুৎসা রটনা অপরাধ হতে পারে, কিন্তু প্রশংসা না করা তো অপরাধ হতে পারে না। নাস্তিক মানেই ধর্মের কুৎসা রটনাকারী, এমন দাবি মূর্খতা। কারণ, এক ধর্মের আস্তিকই অন্য ধর্মের অপমান করে। নাস্তিকের কোনো ধর্মের ব্যাপারে প্রীতি যেমন নেই, তেমন হিংসা ও বিদ্বেষও নেই। যিনি ঈশ্বর বা আল্লাহ বা গডকে গালি দেন, তিনি বস্তুত তার অস্তিত্বকে মেনে নিয়েই গালি দেন। দৃশ্যত বেশিরভাগ নাস্তিকই ইসলাম-সহ সকল ধর্মের প্রবর্তককে তাঁদের ঐতিহাসিক ভূমিকা বিবেচনা করে বড়ো মানুষ হিসেবে শ্রদ্ধা করে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা হলো! একজন নাগরিকের যেমন ধর্ম-বিশ্বাসের অধিকার আছে, তার অবিশ্বাসেরও অধিকার আছে। এক ঈশ্বরের বিপরীতে বহু ঈশ্বর কিংবা দেব-দেবতায় বিশ্বাস করা যদি অপরাধ না হয়, তাহলে শূন্য ঈশ্বরে বিশ্বাস করলে অপরাধ হবে কেন? নাস্তিকদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি অবশ্যই একটি অন্যায় নিপীড়নমূলক দাবি।

৪. অব্যাখ্যাত ও অসংজ্ঞায়িত ‘বেহায়াপনা’ রোখার স্বার্থে মানুষের মত প্রকাশের অধিকার ও ব্যক্তি-স্বাধীনতা খর্ব করার এবং নারী-পুরুষের বাধাহীন চলাচল বন্ধ করার দাবি কোনোক্রমেই সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। বাংলাদেশের গ্রামে ও শহরে শ্রমজীবী নারী-পুরুষ স্বাধীন বিচরণের মধ্যেই কাজ করে থাকেন। তাই, এই দাবি শ্রমজীবীর দাবি হতে পারে না। একমাত্র পরজীবী শ্রেণীই এ-দাবি করতে পারে। নারী-পুরুষের শ্রম ছাড়া সভ্যতা টিকতে পারে না। তাই, এই দাবি সভ্যতা বিরোধী। এটি হচ্ছে যুগে-যুগে ও দেশে-দেশে রক্ষণশীল, অপরিশ্রমী ও পরজীবী ধর্মগুরুদের দাবি। এ-দাবির বাস্তবায়নের অর্থ হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষের উপর চরম নির্যাতন ও সভ্যতার ধ্বংস সাধনের সনদ।

৫. পুরুষের সমান নারীর অধিকার অস্বীকার করার অর্থ হচ্ছে নারীর উপর পুরুষের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা। এ-দাবি সংজ্ঞানুসারেই বৈষম্যমূলক। আর বৈষম্য হচ্ছে উৎপীড়নের পূর্বশর্ত। এই দাবিতেই যে বাধ্যতামূলক ইসলাম শিক্ষার কথা বলা হয়েছে তা-ও সংজ্ঞানুসারে নিপীড়নমূলক। কারণ, একটি জাতি-রাষ্ট্রে যখন বিভিন্ন ধর্মবিশ্বাসের মানুষ সমান নাগরিক অধিকার নিয়ে বসবাস করেন, তখন সবাইকে একটি বিশেষ ধর্মের শিক্ষিত তথা দীক্ষিত হতে বাধ্য করার দাবি রীতিমতো নির্যাতন।

৫. কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে অমুসলিম ঘোষণার দাবি একটি ফ্যাসিস্ট দাবি। কাদিয়ানীরা যেখানে নিজদেরকে মুলমান মনে করেন, সেখানে রাষ্ট্রের কোনো অধিকারই থাকতে পারে না তাঁদের আÍপরিচয় পরিবর্তন করার। এটি মানুষের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। হেফাজতে ইসলামের এই দাবি একটি নির্যাতনমূলক দাবি। এটি মেহনতি দরিদ্র শ্রেণীর দাবি নয়।

৭. ঢাকাকে ‘মসজিদ নগরী’ বলা হয় রূপক অর্থে, কারণ এখানে বিভিন্ন স্থাপত্য রীতির নির্দশন স্বরূপ প্রচুর মসজিদ আছে। কিন্তু ভুলে যাওয়া ঠিক নয়, যে ‘ঢাকা’ নামটি এসেছে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের নাম অনুসারে। এখন যদি হিন্দু ধর্মের হেফাজতকারী নামের কোনো সংগঠন এসে দাবি করে যে, ঢাকেশ্বেরীর ঢাকা শহরে মসজিদ বানানো চলবে না, তাহলে কি এটি গ্রহণযোগ্য হবে? নিশ্চয় না। তাই, মসজিদের সংখ্যাধিক্যের কারণে অন্য কোনো স্থাপত্য বা ভাস্কর্য্য প্রতিষ্ঠা করা যাবে না, এমন দাবি অন্যায়। অন্যদিকে, ভাস্কর্য্যরে সৌন্দর্য্য উপভোগীকে মূর্তিপূজারী বলা হচ্ছে আরেক অত্যাচার। কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা হলো, যদি কেউ মূর্তিপুজারী হোনও, তাতে নিরাকার উপসাকদের অধিকার নেই তাদের স্বাধীনতা খর্ব করার।

উপরের বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে যে, হেফাজতে ইসলাম সংগঠনের পতাকাতলে ব্যাপক দরিদ্র সাধারণ থাকলেও, সংগঠনটির দাবির মধ্যে কোথাও পুঁজিবাদী শোষণ ও শাসনের বিরুদ্ধে একটি শব্দও নেই। তবুও ফরহাদ মজহারকে প্রশ্ন করা যেতে পারেÑ উপরের ১৩-বিন্দু দাবির কোথায় দেখলেন ‘যে ব্যবস্থায় পুঁজির কাছে নিজেকে বেচে দিয়ে নগণ্য মজুরির ওপর জন্তু-জানোয়ারের মতো শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকা ছাড়া আল্লাহর দুনিয়ায় মজলুমের প্রাণধারণের কোনো উপায় আর অবশিষ্ট থাকে না, সেই ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করতে এসেছিল হেফাজত’?

শ্রেণী-সংগ্রাম বলে কাকে?

ফরহাদ মজহারকে সবিনয়ে বলিÑ জনাব, দরিদ্র শ্রেণীর মানুষের সংগ্রাম মানেই কিন্তু শ্রেণী সংগ্রাম নয়। এমনকি শ্রমিক শ্রেণীর সংগ্রামও শ্রেণী-সংগ্রাম নয়, যদি না তা শ্রেণী নির্ধারক উৎপাদন সম্পর্কের দ্বন্দ্বে ভিত্তিষ্ঠিত হয়।

শ্রেণী মানে কী, এর সংজ্ঞা দিয়ে ‘বেয়াদবী’ করতে চাই না। তবুও অন্যভাবে বলিÑ যে-উৎপাদন ব্যবস্থার উপর সমাজ দাঁড়িয়ে, তার মধ্যেই রচিত হয় মানুষে-মানুষে সম্পর্ক, যা চূড়ান্ত বিচারে উৎপাদন সম্পর্ক। যে-সমাজে উৎপাদন ব্যবস্থার শ্রমদান-ডাইমেনশনে মুষ্টিমেয় মানুষ শ্রম-বিযুক্ত আর সিংহভাগ মানুষ শ্রমে নিযুক্ত এবং ভোগ-ডাইমেনশনে ঐ মুষ্টিমেয়রা ভোগে স্ফীত আর অধিকাংশ মানুষ ভোগ-বঞ্চিত, সে-সমাজই হচ্ছে শ্রেণী-বিভক্ত। কারণ, উৎপাদনের পাটাতনের উপর দাঁড়ানো সমাজের মানুষেরা উৎপাদনের দুই ডাইমেনশনে যে পরস্পরের বিপরীত মেরুতে বিভাজিত, তার একেকটি ভাগই হচ্ছে একেকটি শ্রেণী।

এর কারণ কী? কারণটা হচ্ছে মালিকানা। অর্থাৎ, উৎপাদনের উপায়ের উপর মুষ্টিমেয় মানুষের ব্যক্তিগত মালিকানা এবং অধিকাংশ মানুষের নিঃস্বতা। সংজ্ঞানুসারে, এই দুই শ্রেণীর স্বার্থ পরস্পরবিরোধী হওয়ার কারণে এদের মধ্যে শ্রেণী-দ্বন্দ্ব থাকে। আর, এই শ্রেণী দ্বন্দ্ব^ কেবল তখনই শ্রেণী-সংগ্রাম হয়ে ওঠে, যখন তা উৎপাদন-সম্পর্কের মাত্রা কিংবা দিক কিংবা উভয়ের পরিবর্তনের দাবি করে।

ইতিহাসে, মোটাদাগে, দাসতান্ত্রিক সমাজে শ্রেণী সংগ্রাম হয়েছিল দাস-মালিক সম্পর্ক উৎখাতের উদ্দেশ্যে, সামন্তবাদী সমাজে শ্রেণী সংগ্রাম হয়েছিল প্রজা-রাজা সম্পর্ক বাতিলের জন্য, পুঁজিবাদী সমাজে শ্রেণী সংগ্রাম চলছে মালিক-মজুর সম্পর্ক উচ্ছেদের লক্ষ্যে।

হেফাজতে ইসলাম, জামায়াতে ইসলাম, কিংবা তালিবান থেকে শুরু করে, যেখানে যত জিহাদী আছেন, তাঁরা কি উৎপাদন সম্পর্কের প্রগতিশীল পরিবর্তন চান?

ইসলামী জিহাদীরা কি পুঁজিবাদী ব্যবস্থার মালিক-মজুর সম্পর্কের বাতিল চায়? ব্যক্তিগত সম্পত্তির বিলোপ চায়? উৎপাদনের উপায়ের উপর মালিকের ব্যক্তিগত মালিকানা উচ্ছেদ করে শ্রমিক তথা সামাজিক মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে চায়?

যদি তাঁরা তা চান, তহলে জিহাদকে শ্রেণী-সংগ্রাম বলা যেতে পারে। কিন্তু, যদি তাঁরা তা না চান, তাহলে ইসলামী জিহাদকে শ্রেণী সংগ্রাম বলা যাবে না। এটি কোনো আব্দারের বিষয় নয়। বিজ্ঞানের বিষয়।

হেফাজতীদের উপর সরকারি ম্যাসাকারের প্রতিবাদ করুন নাগরিকের উপর রাষ্ট্রের ফ্যাসীবাদী নির্যাতনের বিরোধিতা করার মাধ্যমে। কিন্তু হেফাজতীদের প্রতিক্রিয়াশীল জিহাদী দাবিকে প্রগতিশীল শ্রেণী-সংগ্রাম বলে প্রচার করা ক্ষমাহীন মূর্খতা।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×