ঘরবাড়ী বানাই। খেলার মতো গড়ে তুলি সংসার। সাজাই নিজের মতো করে। ভাবি এই তো জীবন, গড়ার আনন্দে হই বিভোর। ভালোবাসায় বিভোর হয়ে সব কিছুকে সত্য ভাবি।চড়ুইভাতির আয়োজন হয়, ঘরে জলসার আয়োজন হয়। সব আনন্দে ভাসিয়ে দেই নিজের জীবন। কল্পনায় ঘি খাই যখন তখন কম খাবো কেন? ঘরের মধ্যে গড়ে তুলি ঘর।
তারপর একদিন হঠাত করে আসে আধার, কল্পনার সেই ঘর ভেন্গে যায়। টোনাটুনির সুখের ঘর উড়ে যায়। টুনি আর পিঠা বানায় না টোনার জন্য। টুনি আজ উড়ে চলে গিয়েছে। পাখি উড়ে চলে গেলে পাখীর পালক পড়ে থাকে। আমি পাখীর পালক উঠাই মেঝে থেকে, পাখীর স্পর্ষ পাবার আনন্দ পাই। তারপর হঠাত করে দমকা বাতাস হাত থেকে উড়িয়ে নিয়ে যায়। শেষ চিহ্ন টুকু না ছিনিয়ে না নিলে বাতাসের আজ হিসাব চুকবেনা।
জীবনের হিসাব মেটেনা, দেনা পাওনা করে পাওয়া যায় অনেক অনাদায়ী দেনা সন্চিতি। হিসাব রক্ষক বলে উঠে, করেছেন কি এভাবে কি ভালোবাসার ব্যবসা করে, শুধু বিকিয়ে গেছেন ধারে, আদায় করবার চেষ্টা করেননি।
আমি ম্লান হাসি, বলি ভালোবসার হিসাব বড় কঠিন, সীমানা বড় সংকটপুর্ন, ঘৃনা আর ভালবাসার দুরত্ব খুব কম। যেখানে ভালবাসার শেষ সেখানেই ঘৃনা। আমি কি করব বলুন?
হিসাবরক্ষক বলে, সস্তায় বিকিয়ে গেছেন সব ভালোবাসা, নিজের সমাপনি হিসাবের দিকে তাকান নি এখন ভান্ডার খালী, নতুন মওসুমে আর কি করবেন হাল খাতায় না আছে নগদ না আছে কোন সম্পতি? সব যে হারিয়ে বসেছেন।
আমার হারানো সব ভালোবাসার দুঃখ নিয়ে বলে উঠি, পাখী উড়ে চলে গেলে পাখীর পালক পড়ে থাকে। পাখী শুন্য উড়বে, যদি বানাতে পারতাম এক ঘর শুন্যের মাঝে তাহলে হয়তো পাখী থাকতো, টোনা টুনির সংসার হতো। ঘরের মধ্যে ঘর হতো। কি ঘর বানাইমু আমি শুন্যেরও মাঝে
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:২৭