এক সময় আমি স্বপ্নচারী ছিলাম। এক সময় আমি হলুদ দুপুরে বসে স্বপ্ন দেখতাম রুপালী চাদের। চাদের আলোতে উদ্ভাসিত নদীর তীর বাধতাম খেলাঘর। সে খেলাঘরে ছিল রুপকথার পন্খীরাজ, যাতে চড়ে আমি যেতাম রাজকন্যার খোজে।
সাত সমুদ্র আর তেরো নদী পাড়ি দিতাম। মায়াবিনী সুরের মায়া কাটিয়ে , মরুদ্যানের মরীচিকার ভ্রম কাটিয়ে আর বিষফলের লোভ কাটিয়ে পৌছাতাম সে ভয়াল রাক্ষসপুরীতে। রাক্ষস রাজ যখন রাতে শিকারে তখন যাদুর চাদরে মুড়িয়ে অদৃশ্য হয়ে যেতাম অন্দরে। রাজকন্যা ঘুমোয় অন্দরমহলের মাঝখানে। রাজকন্যার পায়ের কাছে রুপার কাঠি, মাথার কাছে সোনার কাঠি। পিদিমের ম্লান আলোতে রাজকন্যা দুঃখে মুখে জগতের সব ভালোবাসা। মায়া এসে যায়, মরীচিকা বলে ভ্রম হয়, বিষফল ভেবে ভয় পাই। হুন্কার শুনি রাক্ষস রাজের, ভয়ে পালিয়ে যাই। ফিরে আসি আপন খেলাঘরে।
একদিন সময় পেরিয়ে যায়, জোয়ার আসে, নদীর বালুচরের সে খেলাঘর ভেন্গে যায়, রুপকথার পন্খীরাজ ভান্গনের সাথে তলিয়ে যায়। ভাটার পরে আর খেলাঘর খুজে পাওয়া যায়না। সব কিছু তলিয়ে যায়, শুধু পড়ে থাকে কিছু সৃতি, পুর্নিমার রাতে বাধ ভান্গা জোয়ারের মত তারা সব কিছু ভেন্গে ফেলে। একাকী যুদ্ধ করি, নিজেকে প্রবোধ দেই তারপর দেখি ক্ষতবিক্ষত আমি, সেই বেদনার বালুচরে। তারপর গড়ে তুলি নতুন খেলাঘর, আবার স্বপ্ন দেখি, জানি আবার জোয়ার আসবে ভেন্গে যাবে খেলাঘর। ভান্গা গড়ার এ খেলায় আর ভয় পাইনা, গড়ার আনন্দে বিভোর হই। স্বপ্ন দেখিনা কেননা
স্বপ্ন দেখা ছেড়ে দিয়েছি
আজকাল তোমাকে দেখি
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ ভোর ৪:১২