এভাবে হইবোনা। দুর্নিতী বাংলাদেশে রন্ধ্রে রন্ধ্রে, শিরায় শিরায়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ কইরা জিতা যাইবোনা কেননা দেশের ৯০ ভাগ লোক দুর্নীতিবাজ। তাই আমার মনে হয় দুর্নিতী দমন কইরা কোন লাভ নাই। বরং ঘুষ, দুর্নিতী এগুলানরে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দেওন দরকার, একটু নিয়ম কানুনের মধ্যে নিয়া এটারে সামাজিক ভাবে গ্রহনযোগ্য করা দরকার।
ধরা যাক আপনার ঘুষরে জায়েজ করা হইলো,তাতে অসুবিধা কি। স্কুলের মাষ্টার ঘুষ খাইবো আর যার তুন ঘুষ খাইবো তার বাচ্ছার ইস্পেশাল টেক কেয়ার করবো। একনকার প্রাইভেট পড়ানির মতো। সমস্যা কি? বরং তকন যখন ওপেনলি হইবো আমরা সবাই জানুম কে কি করতাসে। শিক্ষক ধরেন বেতন উঠাইতো যাইবো শিক্ষা দফতরে। সেখানে ঘুষের হার লেখা থাকবো। বেতন রিলিজ ১০০ টাকা, প্রভিডেনট ফান্ড লোন ১৫০ টাকা। এভাবে আপনার ওপেন মার্কেট ঘুষ। বাজার অর্থনীতির মত চাহিদা আর যোগানের ওপর নির্ভর করব ঘুষের হার আর পরিমান। ধরেন শিক্ষা দফতরের কেরানী বাসে উঠবো বাড়ী যাওনের লাইগা, বাসের ভাড়ার মধ্যে ঘুষ সারচার্জ লেখন থাকব। সে এক্সট্রা ভাড়া দিয়া বাড়ী যাইবো। এভাবে ঘুষের টাকা ট্রিকল ডাউন হইবো বা আপ হইবো, পুরা বেফারটা একটা নিয়মের মধ্যে আনন গেলো। তারপর ধরেন বাস মালিক আরেকটা বাস নামাইবো, রুট পারমিটের জন্য ঘুষ দিবো +৫০%। সেটা সে বাসের ভাড়ার মধ্যে রাখব কুনো সমস্যা নাই, সবাই ঘুষ খায় আর দেয়। একন আর কালোবাজার বইলা কিছু থাকবোনা, সবই বাজার।
তারপর ধরেন টেন্ডারে ২০% এক্সট্রা দিসেন মিনিষ্টাররে, মিনিষ্টার রে বাড়ী কিনতে হইলে জমি কিননের সময় ঘুষ দিতে হইবো।ঘুষের বাজার অর্থনীতি করলে সবাই এর সুযোগ পাইবো। দেশের কালো টাকা কইমা যাইবো, সরকারের করের পরিধি বাড়বো, যেহেতু সকলের হাতে টাকা, মুদ্রাস্ফীতির কারনে জিনিষের দাম বাড়লে গায়ে লাগবোনা। সিষ্টেম লস যদি সিষ্টেমের মধ্যে হয় তাইলে রেগুলেট করন যাইবো।
আমি এখন দুর্নিতী দমনের চেয়ে, দুর্নিতী সার্বজনীন করনের পক্ষে
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১:৫১