অনেক দিনের শখ ছিল উইলিয়াম শেকসপিয়রের জন্মস্হান দেখার। বাড়ীর পাশে থাকা সত্বেও সময় সহজ হয়ে উঠেনি। কয়েক বার প্লান করেছি স্বপরিবার নিয়ে ঘুরে আসার। কোন কারণ বসত আর যাওয়া হয়ে উঠেনি। হঠাৎ করে এই হলিডেতে একদিন ঘুরে আসলাম। আবহাওয়াও বেশ ভালো ছিল। যখন ঘর থেকে বের হই তখন বৃষ্টি ছিল কিন্তু যখনই স্ট্র্যাটফোর্ড-আপঅন-অ্যাভনে ( শেকসপিয়রের জন্মস্হানে) গি্য়ে পৌঁছলাম তখন আকাশ পরিস্কার হয়ে জল জলে রোদের আগমন হল।
বাড়ীর ভেতরে যাবার জন্য টিকেট করে যেতে হয়। ভেতরে যাবার পর পরই তার জন্মের পর থেকে যা যা করেছেন বা কখন কোথায় কি করেছেন? এমনকি মা-বাবার সাথে কিভাবে সময় কাটিয়েছেন সব স্ট্ররি বলে দেয় এবং ছবিগুলোও দেখায় কমপিউটারের মাধ্যমে। সামনে বই রাখা আছে মনে হয় যেন এই বই দেখে দেখে কেউ একজন বলছে। তারপর সারা বাড়ি ঘুরে দেখলাম পুরোনো দিনের ঘর। প্রায় পাঁচশো বছর আগের বাড়ি। বাহির থেকে মনে হয় যেন এই বুঝি ভেঙ্গে যাবে কিন্তু ভিতরে যাবার পর মনে হল বেশ মজবুদ। তার ব্যবহার ক্রীত জিনিস-পত্র কি সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা রয়েছে। দেখছি আর মুগ্ধ হচ্ছি। আগের দিনের ব্যবহারের জিনিসের মধ্যে আমাদের দেশের জিনিসের অনেকটা মিল আছে। আমার না আবার মি্উজিয়ামের পুরোনো দিনের জিনিস দেখতে বেশ ভালো লাগে। যার নাম ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি সত্যি আজ তার বাড়ি, তার ব্যবহারের জিনিস-পত্র বা লাইব্রিরীতে তার লেখা প্রচুর বই দেখে খুবই ভালোলাগলো। যা ভাষায় বলার মতো না। অসম্ভব সুন্দর সময়টা কেটেছিল।
ভেতরের ছবি তোলা নিষেধ তাই আর তোলা হয়নি।
বাড়ির চারপাশের দৃশ্যগুলো খুবই অসাধারণ। সময় স্বল্পতার জন্য
তাড়াতাড়ি চলে আসতে হল।
বাড়ীর সামন দিকের ছবি।
বাড়ীর পিছনের কিছু ছবি।
বাড়ীর পিছনের দিকে আমাদের রবি ঠাকুরও বসে আছেন উনার সাথেও অনেক পুরোনো দিনের গল্প করলাম
অ্যাভন নামে একটা নদী আছে বাড়ীর পাশে তার কিছু ছবি। হাঁসগুলো মনে করেছিল আমরা মনে হয় ওদের জন্য কোন খাবার নিয়ে এসেছি মনের খুশিতে আমাদের পাশে এসে ভিড় জমালো। কিন্তু এভাবে খাবার দেওয়া নিষেধ ছিল বলে আর দেওয়া হলনা। হাঁসগুলো নিরাস হয়ে ফিরে গেল..