নিজস্ব মতিবেদক
খেতনামা ড্রন বিশেষজ্ঞ, মস্তফা অনুরাগী, কাপড় বেবসায়ী ও ইসলামী বেংকের সমঝদার হরলিকস পাগলা বিতর্ক রাজ ও আত্মস্বিকৃত ‘ফেসবুক গু-বাবা’ আল্লামা আবদুন নুর তুষারের গোয়েন্দা ততপরতায় বিশ্বের ক্ষমতাধর রাস্ট্রের নেতৃ বৃন্দ আশংকিত হয়ে পড়েছেন।
বিগত জুম্মায় ফ্রান্সের রাজধানী পেরিসে জংগী খিলাফত আইসিসের হামলায় শতাধিক মানুষ আহত নিহত হওয়ার পর হরলিকস পাগলা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্বের ক্ষমতাধর রাস্ট্র গুলির গোমর ফাস করে দিয়ে বলেন, ইহা সকলই উহাদের সিরিয়া দখলের পায়তাড়া। এইসব কাচা কাজ করিয়া তুমরা আল্লামা তুষারের চোখকে ফাকি দিতে পারবা না।
বিশ্বে যা কিছু জংগিপনা বটে, সকলই ফ্রান্সের তত্তাবধানে ঘটে জানিয়ে ফেসবুক গু-বাবা বলেন, পশ্চিম ইউরুপে অস্ত্র পাওয়া অত্যান্ত কঠিন। আমি যখন পশ্চিম ইউরুপ সফরে গিয়াছিলাম, তখন সমগ্র পশ্চিম ইউরুপ তন্ন তন্ন করিয়া অস্ত্র খুজাখুজি করছিলাম। যে দুকানেই যাই, তারা আমায় খেদাইয়া দিয়া বলছে, যাও যাও, আমরার এইখানে কুন অস্ত্র নাই। শেষ পযন্ত সুইজারলেন্ডে গিয়া একটি দুকান হতে আমি একটি বাটার নাইফ খরিদ করতে সমর্থ হই। পশ্চিম ইউরুপে অস্ত্র পাওয়া এমনই কঠিন।
আবেগঘন ফন্টে বিতর্ক রাজ বলেন, আমার সুইজারলেন্ড হতে খরিদ করা বাটার নাইফটি পকেটে নিয়া যখন পেলেনে উঠলাম, তার পরই লাগল গন্ডগল। টার্কিতে আসিয়া এয়ারপুটের পুলিশ আমার পকেট হতে বাটার নাইফটি বাইর করিয়া রাখিয়া দিয়া বলল, সুইজারলেন্ড হতে খরিদ করছ নাকি? বাহ বাহ বড় খাসা বস্তু। তুমার রুচি ত খুবই উন্নত। এই নাইফটি নিয়া আমার ছুট পুলারে দিব, সে রুটি বিস্কুটের উপরে বাটার লাগাইয়া খাইবে।
হুহু করে কান্নার ইমটিকন দিয়ে আল্লামা তুষার বলেন, আমার অস্ত্র এয়ারপুটে রাখিয়া দেওয়া হইলে, আইসিস কেমনে অস্ত্র নিয়া পেরিস গেল? এই কথা ত সবাই জানে যে জংগিরা তাদের বড় বড় কামান বন্দুক সকলই মুজার ভিতরে করিয়া নিয়া পেলেনে যাতায়াত করে। পেরিসের এয়ারপুটে কেন উহাদিগকে ধরা হইল না? কেন উহাদের বাটার নাইফ জব্দ করা হইল না? আর উহারা অস্ত্র নিয়া রাস্তাঘাটে চলাচল করলই বা কিরুপে? সিসি টিভি কই? চেকপষ্ট কই? কুথায় উহাদের রেব পুলিশ বিজিবি? আর পেরিসের লুকজনই বা এত রাত্রে কনসাটে গেল কেন? কেন ফুটবল গেলারীতে নারী পুরুষের এই অবাধ মিলামিশা, রেস্তরায় পান ভোজনের উদ্দাম লীলাখেলা? আমি যদি পেরিসে থাকতাম আর আমার সংগে যদি আমার বাটার নাইফ খানি থাকত, আমি নিজেই এইসব ইসলাম বিরুধী কাজে জড়িতদের জবেহ দিতাম।
হাসতে হাসতে হরলিকস পাগলা বলেন, ইহাতেই প্রমানিত হয় যে এই হামলা সকলই ফ্রান্সের ষড়যন্ত্র। উহারা নিজেরাই নিজেদিগের মারিয়া কাটিয়া নিরিহ নিস্পাপ আইসিসের গায়ে কলংক লাগাইতে চায়। এখন উহারা গিয়া সিরিয়ারে বুমা মারার উছিলা পাইল। কিন্তু হরলিকস পাগলার কাছে এই সব জারিজুরি চলবেক লাই। সব বুঝিয়ালাইছি।
এদিকে তুষারের ধমক খেয়ে সারা বিশ্বের ক্ষমতাধর নেতৃ বৃন্দ আশংকিত হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে।
ওয়াশিংটন মতিনিধি জানান, তুষার সব কিছু বুঝে ফেলায় মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের ডেমক্রেট নেতৃ বৃন্দ লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলেছেন।
পেরিসের সকল অনুস্ঠান মুলতবী ঘোষনা করে ফ্রান্সের রাস্ট্রপতি ফ্রেংকয়েস হলেন্ড নিজের দেশের নেতাদের নিয়ে রুদ্ধদার বৈঠক করে তুষারের বেপারে সবাইকে সাবধান করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পেরিস মতিনিধি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঐ বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা জানান, ঘটনা ঘটানর আগে হরলিকসের বেপারটি হিসাবে না নেওয়া বিশ্বের অন্যান্য নেতৃ বৃন্দের সমালচনা করেছেন হলেন্ড। বৈঠকের এক পর্যায়ে তিনি রাগারাগি করে নিজের মাথার চুল ছিড়ে বলেন, আল্লামা তুষার যে সব বুঝিয়া ফেলবে, তা তুমরা আগে বিবেচনা কর নাই কেন? এখন ত সব কিচ্ছা ফাস হইয়া গেল।
এক টুইটার বার্তায় যুক্ত রাজ্যের প্রধান মন্ত্রী ডেভিড কেমেরন আল্লামা তুষারের প্রসংশা করে বলেন, তুষার আংকেল সব জানে।
অবিলম্বে তিনি হরলিকস পাগলাকে লন্ডন ভ্রমনের আমন্ত্রন জানিয়ে বলেন, এত বুদ্ধি লইয়া বাংলাদেশে পড়িয়া থাকলে চলবে না আংকেল। আপনি অবিলম্বে ডাউনিং ষ্টৃট চলিয়া আসেন, কিছু বুদ্ধি পরামিশ দিয়া যান। আপনি যদি থাকেন সংগী, ভয় করি না কুন জংগী।
রাশিয়ার রাস্ট্রপতি লৌহ মানব ভ্লাদিমির পুতিন তুষারের ভুয়সী গুনগান করে বলেন, ডুড, ইউ আর ঠু গুড।
জার্মানীর চেন্সেলর এনজেলা মার্কেল আল্লামা তুষারের জ্ঞানের সংগে হিটলারের জ্ঞানের তুলনা দিয়ে বলেন, হিটলার ন নাথিং স্ন।
তুরস্কের প্রধান মন্ত্রী এরদগান আল্লামা তুষারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে তার বাটার নাইফ ফিরিয়ে দেওয়ার অংগীকার করে বলেন, গুস্তাকী মাফ করিয়া দিতে জনাবের মর্জি হয়।
দৈনিক মতিকন্ঠ
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৪