নিজস্ব মতিবেদক
সর্বচ্চ আদালতে একাত্তরের আলবদর সর্দার ও বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর খানকির পোলায়ে আমীর আল্লামা মতিউর রহমান নিজামীর ফাসির রায় নিয়ে বাহাস চলা কালে নিজামীর জাল সাটিফিকেটে বানান পরীক্ষা নিয়ে আলচনায় বসেছে বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামী।
আজ এ আলচনায় অংশ নেন বৃহত্তর জামায়াতের বিএনপি শাখার উকিলে আমীর বেরিষ্টার খন্দকার মাহবুব হোসেন ওরফে ‘সাটিফিকেট খন্দকার’ ও বৃহত্তর জামায়াতের খানকির পোলায়ে আমীর ওমরাহ বৃন্দ।
আলচনা শেষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে আলচনার বিষয় বস্তু সম্পর্কে উপস্থিত সাংবাদিকদের অবহিত করে সাটিফিকেট খন্দকার বলেন, সামনে নিজামীর মামলায় আপিলের রায় হইবে। যা বুঝতেছি, নিজামীর কুন আশা নাই। সাকার নেয় তারেও জাল সাটিফিকেট দিয়া উদ্ধার করার চেস্টা করার ইচ্ছা আছে। তাই নিজামীর সাটিফিকেটে বানান পরীক্ষা লইয়া বৃহত্তর জামায়াতের খানকির পুলাদের সংগে আলচনা করলুম।
আবেগঘন কণ্ঠে খন্দকার মক্তার বলেন, সুদীর্ঘ পাচ দশকের মক্তারি জীবনে কত রকম ভেজাল সাটিফিকেট দাখিল করিয়া আইলুম, কুন সমস্যা হইল না। সাকার মামলায় কি করিয়া যেন ফেসিবাদী জজের দল সাটিফিকেটে বানানের সমস্যা ধরিয়া ফেলল। দেশে আমার আরও যত মক্কেল আছে, তাহাদের মুঠফুন মারার জ্বালায় আমি হয়রান হইয়া গেলুম। উহারা সকলেই যে যার পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাটিফিকেট ট্রাংকের তলা হইতে বাইর করিয়া আমার সংগে মুঠফুনে রাগারাগি করতেছে। তাই এইবার নিজামীর সাটিফিকেটটি যত্ন করিয়া বানাইতে দিব। বৃহত্তর জামায়াতের আমীর ওমরাহ দিগের নিকট হতে ইস্পেল চেকার নামে একবিংশ শতাব্দীর চেলেঞ্জ মুকাবেলা করার মত একটি টেকনলজীর কথা জানতে পারলাম। নিজামীর বেলায় উহা প্রয়গ করা নিয়া আলচনা চলতেছে। এক মাসের মধ্যেই এ বেপারে একটি ফয়সলা হইবে।
আবেগঘন কণ্ঠে সাটিফিকেট খন্দকার বলেন, নিজামীরে লইয়া কুন আশা দেখি না। খানকির পুলা একাত্তরে যেরুপে আওয়াজ দিয়া খুন খারাবি করিয়াছে, সাটিফিকেট দিয়া উহার গর্দান রক্ষা করা যাইবে না। তাছাড়া উহার দলের পাতি নেতাগুলিও উহাকে এই চামে কুরবানী দিয়া নিজেরা আমীর হইতে বেশী আগ্রহী।
এর কারন জিজ্ঞাসা করলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে খন্দকার মক্তার বলেন, বৃহত্তর জামায়াতীরা নিজামীকে প্রকৃত জামায়াতী মনে করে না। উহার বাড়ি পাবনা, সুচিত্রা সেনের বাড়ির নিকটেই। শৈশব হইতেই নিজামী সুচিত্রা সেনের বাড়িতে যাতায়াত করত। সুচিত্রা সেনের মার নিকট গিয়া আবদার করিয়া বলত, মাসিমা মালপো খাপো। এখন আপনারাই বলেন, প্রকৃত জামায়াতী কি কুনদিন মালাউনের বাড়িতে গিয়া মালপো ভক্ষন করতে পারে? এইসব হিন্দুয়ানী চালচলনের কারনে নিজামীর দলের লুকজনই তার উপর বিলা।
তারপরও মামলার খাতিরে নিজামীর প্রান ভিক্ষা চাইবেন জানিয়ে সাটিফিকেট খন্দকার বলেন, জামায়াতের খানকির পুলাদের কেস লইয়া মার্কেটে আমার নাম ডুবতেছে। তারপরও বয়সের অজুহাত দিয়া উহার ফাসি থামাইতে আবদার করব। বৃদ্ধ বয়সের কারনে উহাকে যেন ফাসি না দিয়া দৈনিক এক চামুচ অলিভ অয়েল বরাদ্দ করিয়া আমরন আরামদণ্ড দেওয়া হয়, সেই বাবদ দরখাস্ত খসড়া করিয়া ফালাইয়া থুইলুম।
ফাসির বয়স পার হয়ে গেলে নিজামী এখনও কিভাবে বৃহত্তর জামায়াতের খানকির পোলায়ে আমীরের পদ আকড়ে পড়ে আছেন, এ প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে হাসতে হাসতে খন্দকার মক্তার বলেন, ফাসি কি পদে দেয়? ফাসি দেয় গর্দানে। যেহেতু মায়ের পেট হতে গর্দান আগে ও পদ পরে বাইর হয়, তাই গর্দানের বয়স পদের বয়স হতে বেশী। তাই নিজামী এই বৃদ্ধ বয়সে পদে থাকলেও গর্দানে ফাসি দেনা নাহি চাহিয়ে।
https://motikontho.wordpress.com/2015/12/03/নিজামীর-সাটিফিকেটে-বানান/
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৯