বিপন্ন পৃথিবী, জলপাইগুড়ি আর ইঞ্জিন বোটের শব্দ শুকিয়ে যে সুস্বাদু আচার হয়েছিল, সেখানে এখন সংস্কৃতিমনা ছত্রাকের যৌথ কনসার্ট। সেখানে পাখী ও পাহাড়ের অগোচরে খোদাই হয়েছে বোকা বেটোফেনের ভুলভাল সিম্ফনি। আর বয়স্ক শব্দেরা এসে অনিচ্ছায় খুবলে খেয়েছে পরিশ্রম আর শুভ্রতা।
আমরা অতঃপর একটি পিঁপড়ে-কবিতা কিংবা বিপন্ন আকাশের জলছাপে মুগ্ধ হয়ে যায়। মার্সিডিজের মতো মসৃণ চশমা অথবা চশমখোর কেউ আলতো গিলিয়ে দেয় বেশুমার সীসার শরাব। আমরা ডিজিটাল পিক্সেলে রঙিন পদশব্দ ধারণ করে মাতাল হয়ে উঠি।
যাদের শরীরে ভীষণ বনাঞ্চল আর রোদ্র-শুশুকের জলছাপ, তাদের আমি শেষ পর্যন্ত পশ্চিমা পোস্টার আর পরিত্যাক্ত সূর্যাস্ত দেখতে বলেছি। বলেছি আঁধারের দাবানল থেকে দগদগে সালফারের ঘ্রাণ নিতে। কারণ মেঘের হাতব্যাগ থেকে প্রত্নতাত্ত্বিক তরমুজ চুরি যাওয়ার পর নিশ্চিত জানা গেছে, একটি নিষিদ্ধ সাপ্তাহিকের শিরোনাম আর মরচে পড়া জিলেটের কান্না হাতে কানাগলির অন্ধকারে জমা হচ্ছে কৃষকায় ভোটারেরা।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:০৬