somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার পরিচয়

বেখেয়ালে দু কলম লেখা এক হলদে পাতায় জড়ো করে যাই।

আমার পরিসংখ্যান

আমার সকল পোস্ট (ক্রমানুসারে)

টে ম্পো

লিখেছেন ইতল বিতল, ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:০৭

আমাদের দেশের লোকাল বাসগুলোকে
দেখলে মনে হয় এগুলো ছিঁচকে চুরির
দায়ে মার খেয়ে বাড়ি ফিরছে।এগুলোর
রসিক নাম 'মুড়ির টিন'।
আবার আদুরে ভঙ্গিমায় কিউট কিউট পা
ফেলে চলা প্রাইভেট কার গুলোর রসিক
নাম 'প্লাস্টিক'।
আর এক পাল নিরুপায় যাত্রী কোনমতে
ঠেসেঠুসে ভরে নিয়ে হুংকার দিয়ে
সামনে চলা আরেক যান হচ্ছে লেগুনা
যার রসিক নাম দিয়েছি 'হলুদের বয়োম'।


এই হলুদের বয়োমে ঢুকে... বাকিটুকু পড়ুন

১ টি মন্তব্য      ১১৭ বার পঠিত     like!

ইতিকথা

লিখেছেন ইতল বিতল, ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩৯

ভীড় পথে একদলা অবয়বে
নিঃশ্বাস
চোখ বুজে কথকতা
জড়ো গল্পে আর নেই কেউ,
হলদে বাড়ি খয়েরী জানলার
বোনা মাকড়শার ঘর
পষ্ট দেখি রোজ, কিম্বা নিশুতি রাতের বড্ড ভয়।
দুপুরের ভাতঘুমে
মাছের পদের স্বাদ হতাশার রোদে
কড়া হয়ে
কোটরে জ্বালা ধরায় ভীষণ,
কেউ আর নাছোড়বান্দা নই।
রোজনামচার মতোন সম্বোধনের ভোরবেলা
চায়ের পেয়ালাতে একটুকু তেষ্টা এবং
এলার্মের শব্দে বাজে
গোমড়ামুখো খুন।
জঙ্গধরা বিকেলে কবিতারা মৃতপ্রায়।
ঠিক তক্ষুনি
আমরা কতেক আবহ... বাকিটুকু পড়ুন

১৪ টি মন্তব্য      ১৮৬ বার পঠিত     like!

চিঠি

লিখেছেন ইতল বিতল, ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৯

গতো দেড় ঘন্টা যাবত কুমড়োর মতো
ফোলা মুখ নিয়ে আনু ছাদে যাবার
সিড়ির শেষ ছ'নম্বর ধাপে বসে আছে।
পার্থক্য শুধু এই যে কুমড়োর হলুদ রঙের বদলে
তারটা বিশদ লাল হয়ে আছে।
কিভাবে যেন ঠিক সময়মতোই আনু
দোতলায় ওর শোবার ঘরের জানালা
দিয়ে আরাফ ভাইকে ওদের বাড়ির মেইন
গেটে ঢুকতে দেখেছিলো। আর
নিয়মমাফিক প্রতিবারের মতো এই
ছেলেটা ঘরে ঢোকা মাত্রই... বাকিটুকু পড়ুন

১ টি মন্তব্য      ১৪০ বার পঠিত     like!

অপেক্ষা

লিখেছেন ইতল বিতল, ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৪৭

দোতলা ঘড়ির তাল-লয়ে মাখামাখি

চৌরাস্তার মোড়ে
কদিনের মুখচেনা ফটকের

খোলামুখ সুধায়,"দুপুর নাগাদ আসুন।"

কদাচিৎ আসে,যায় শ্লথগতির কিছু পদচিহ্ন,

টিফিনবাটিতে গরম ভাত শীত শীত গন্ধে জুড়োয়,

সন্তর্পণে এক দলা পেঁয়াজ এর ঝাঁঝ চোখে এসে লাগে
কি দায়ে কে জানে!

আবারো পরদিন একই বিস্তর কান্ড।

প্রিয় গানে নিষেধাজ্ঞা
বহাল আছে তবু দুর্দান্ত সময়ে

দোতলা ঘড়ি পাছে যদি টিক শব্দে জেগে ওঠে! বাকিটুকু পড়ুন

০ টি মন্তব্য      ৭৪ বার পঠিত     like!

আড়াল

লিখেছেন ইতল বিতল, ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৩

শেফা জেনারেল স্টোর।
দোকানটা আমার বেশ পরিচিত।কিন্তু দোকানদার মামার সাথে খাতিরটা এখন অব্দি যুতসই পর্যায়ে নিয়ে ঠেকাতে পারিনি।
দোকানের একমাত্র কাঠের চেয়ারটাতে বসে তাকে আটার বস্তা খুলতে দেখা যাচ্ছে।তাই একটা পটেটো ক্র‍্যাকার্স খেতে খেতে মামার সাথে আলাপ জমানোর চিন্তাটা তৎক্ষণাৎ বাদ দিতে হলো।
দোকানের সামনে সিঁড়ির মতো... বাকিটুকু পড়ুন

৬ টি মন্তব্য      ৩৩৬ বার পঠিত     like!

সন্ধ্যামুখো রাত

লিখেছেন ইতল বিতল, ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৩৫

নাগরিক জগতের থাইগ্লাসগুলিন বড্ড
অসহায়
যখন ভারিক্কি চালে লোডশেডিং এর সময়
সন্ধ্যায় গলির মুখে
তখন পপকর্ণ পলিথিনবন্দী হয়,
সন্ধ্যা সাতটার এলার্মঘড়িতে ফুটওভার
ব্রিজের চাঁদের আলো মিনিটের কাঁটায়
লেগে থাকে
তাই ভয় ভয় আদলে চিনি আর চামচের
ঠোকাঠুকি ছাপিয়ে চূড়ান্ত অধিবেশন বসে
যায় টং আর সংসদে।
সবজির ভ্যানে পানির ঝাপটায় খানিক
শঙ্কায় নেতানো শাকের আঁটি
বেঁধে পাংশু ক্রেতার পাঁচ টাকার
বাদামী নোট।
বখাটে মোগলাই গরম... বাকিটুকু পড়ুন

৬ টি মন্তব্য      ১২৩ বার পঠিত     like!

তিতলির নথ

লিখেছেন ইতল বিতল, ১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩০

যতদূর মনে পড়ে ছেলেবেলায় আমি খুব
রকমের সাদামাটা বাচ্চা ছিলাম।
সাদামাটা মানে একেবারেই সাদামাটা।
দাপাদাপি, গোয়ার্তুমি আবদারের
ধারেকাছেও ঘেঁষতাম না।
আমার বয়েসি ছেলেপেলেরা যখন ফিশিং গেমের মাছগুলোর নাটবল্টু খুলতে না পেরে কেঁদে
কেটে সব একসার করে তুলতো,তখন আমি
কষিটানা খাতায় হোমওয়ার্ক তুলতাম।
চুপচাপ খেয়েদেয়ে দুপুরের ভাতঘুমে ব্যস্ত
থাকতাম।
বিকেলে অন্যরা রাস্তার পাশের বালুর
ঢিবিতে চড়ে নিচে নামার রেস লাগাতো।
আমি ওপরের... বাকিটুকু পড়ুন

৭ টি মন্তব্য      ৩৩৬ বার পঠিত     like!

চিঠিপত্তর

লিখেছেন ইতল বিতল, ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:২৬

কানে এলো সেই পোস্টম্যান নাকি
ভুল শহরেতে আগ বাড়ালো আচানক,
আমাদের অনুমতি ব্যতিরেকে,

নিশুতি রাতের ডাকবাক্সে দুড়দাড় চিঠি
এলো
একখানা রামধনু রঙে মাখা।
ফিরতি উত্তর বলে কিছু আছে বৈকি
এপাড়ায়,

হাত পেতে যেন দেখলাম
ছেলেবেলার মালাই আইসক্রিম কি
আয়াসেই না গলে যাচ্ছে।
চার আনার বিস্কুটের ওপরে দুলছে
কিশোরীর আবদার।

পানপাতার বোটা ভাঙার শব্দ এলো কি
আর দুটি ক্ষন সেই আওয়াজ হলো।

উঠোন জুড়ে জনা... বাকিটুকু পড়ুন

৪ টি মন্তব্য      ১৩০ বার পঠিত     like!

এলেবেলে

লিখেছেন ইতল বিতল, ১৪ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:২১

ভোর থেকে সকাল
নাকি সকাল থেকে ভোর

মস্তিষ্কে জমা রেখে কিছু
কাকতালীয় ব্যাপার
আমি রইলাম।

গতো সন্ধ্যেতে
ছিলো একচোট আহ্লাদ

আর ক'রাত অন্ধকার তবু
জোনাকিরা বুঝি
বেশ চঞ্চল।

সিজোফ্রেনিয়ার দিনগুলিতে
দিনপত্রীর আলসেমো
ঠিক তাই বাড়ন্ত।

মায়াকাঠির একপেশে দৌরাত্ন্যে
এমনি একরাশ পাবলো নেরুদা হতে নেই। বাকিটুকু পড়ুন

৬ টি মন্তব্য      ১০৫ বার পঠিত     like!

আলুনি স্মৃতিপট

লিখেছেন ইতল বিতল, ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৫৯

আমার বোকা কিসিমের কল্পকথার
আজ বেশ মন খারাপ হল

ফসিলস কানে গুঁজে তাই
আনমনে প্রলাপ আওড়াই।

ডায়েরীর মাঝের চারটে পাতা
বোধহয়
বেনামে সঁপেছিলাম ক'বার।

আনাড়ি আঙ্গুল চাপে আঁকতে গিয়ে
তোমাকে,
কর্কশ মায়ায় জড়াতাম বারবার
আর বারবার।

সেই ছেলেমানুষি সংলাপ গিলে
নিয়েছে নিঁখুত মূকাভিনয়।
টুকটাক গল্পগুলি অবশ্যি গদ্যপাঠ হতো বটে,
একজন মনোযোগী শিষ্য বনে যেতাম।

নাবোধক প্রখরতা খোলস পাল্টেছে
অসংখ্যবার,
ঘড়ির কাটায় প্রশ্রয় ঝুলতো বলেই
গল্পের সুতো আদৌ... বাকিটুকু পড়ুন

৬ টি মন্তব্য      ১২৭ বার পঠিত     like!

জীবিকারা দ্রোহিতা

লিখেছেন ইতল বিতল, ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩২

কতেক জীবন ন'টা পাঁচটা অফিস যায় না
জানতাম,

বিশিষ্টজনের জাপানিজ কফিকাপে এদের
হাতে খানিক আঁচ লাগে।
অনভ্যস্ততার বশে আর কাঁচুমাচু জড়তায়।

দুবেলার পেটপূজো হয় অপ্রাসঙ্গিক
অভ্যেস।
দুপুরের কড়া রোদে চিবুক বিশেষ বেগুনী
রং দেখায়।

কাঁচাবাজারের লিস্টিতে লাউ শাকের
ডগা
অবসন্ন পায়ে ছুঁইছুঁই।

সন্ধ্যারাত্তিরে হারিকেনের চিমনিতে
বাচ্চারা শতকিয়ার জোরে খানিক মূর্খতা
আড়াল করে।

মলাটের পরতে আধ ছটাক সুখ চোখবন্ধ অপেক্ষায়,
কিছুদিন বাদে ফানুসে বয়ে
উড়বে এজাতীয় ছোটগল্প।
বাকিটুকু পড়ুন

১০ টি মন্তব্য      ১৪৮ বার পঠিত     like!

একটুকু কেবল চাই

লিখেছেন ইতল বিতল, ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১১

ঘুম ঘুম কালো রাত্তিরে 'জলের গানের'
অদ্ভূত গীতিময়তায় একটুকুন
জেগে থাকতে চাই,

টুপ করে নেমে যাওয়া সন্ধ্যায়
তালপাখা দোলানো ঠান্ডা গরম
বাতাসে একটুকুন শিহরিত হতে চাই,

রোদভাঙা বিকেলে লেবুচা কাপের
ঘূর্ণিধোয়ায় একটুকুন মিশে যেতে চাই,

সাদা ভোরের চুপচাপ ঘাসের
আড়ালে একটুকুন পা মাড়াতে চাই ,

কোলাহলের দুপুরে কোলের ওপর
লুকোনো বইটার গোটা অক্ষরে একটুকুন
চোখ বুলাতে চাই,

কিংবা সারাবেলার
ফাঁকে আমাতে একটুকুন সময় দিতে... বাকিটুকু পড়ুন

৪ টি মন্তব্য      ৯১ বার পঠিত     like!

নিশিছায়া

লিখেছেন ইতল বিতল, ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৭

ভাবি এক বোতল সায়ানাইডে যদি
সবরকম বিষাদ খোঁজা যেত,
যদি একবেলা পেটপূজো হতো অনায়াসে।

এই ঘর,এই অবেলা
ফি বছর একটা অন্ধকার ধেয়ে আসে।

আচ্ছা,
দোয়েল চত্বরের মাটির গেলাসেও তো
রোদ ঝুলে থাকে,
পাশ দিয়ে রিকশাওয়ালা কেমন সুখী সুখী
ঘন্টা নাড়ে।

ভাবি গুহামানবী হয়ে পড়ি,
রহস্য কেটেকুটে একদিন ডানা ঝাপটাবো
ঠিক ঠিক।
মরা ক্যাকটাস তাতেই প্রাণ ফিরে পাবে।
কোন একদিন এভাবেই হোক সব।

যদি রণপায়ে তুলকালাম... বাকিটুকু পড়ুন

৬ টি মন্তব্য      ১১০ বার পঠিত     like!

এই বৃষ্টি নভেম্বরে

লিখেছেন ইতল বিতল, ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩২

ধুরছাই এর দখলে সব,
গুটিয়ে নিয়েছে তরতাজা ক্লেশ,
নভেম্বর রেইন দেখা হলোনা তাই।

আহ্লাদী শখ করতলে চাপ খেয়ে মরে
আছে।

অশনি সংকেত ইকো হয়ে ঘিরে ধরে,
বিশাল ঘূর্নিপাকে গোত্তা খেয়ে
নিথরপ্রায়।

চোখ বুজে দুহাতের তর্জনী আর বুড়ো
আঙ্গুলের মেলবন্ধন হয় না।

তবে গানস 'ন রোজেসই সই।
বাকিটুকু পড়ুন

৪ টি মন্তব্য      ১১৭ বার পঠিত     like!

একটা পাতার ডায়েরী

লিখেছেন ইতল বিতল, ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭

অষ্টপ্রহরের শুরুতে একটা
লালচে পাতা চৌকাঠ ডিঙোলো।
অন্ধকার সবে বেরিয়ে এসেছে।
গায়ে ভীষন শীত মাখা।

উনুনের আঁচে সে আরো যেন হলুদ হলো।
সে কি মরমর মরমর শব্দ,
ঝরা পাতারও যে একটা গল্প আছে।
সিনডারেলার মতো যার এন্ডিং মিলে
যায়নি।

জানলা গলে আলোর কাপে ক্যাফেইন
হাজির।আরো দুদন্ড খোশালাপ।
দুমদাম ব্যস্ততায় সেই পাতাটা পথের ধূলি
নাড়ে।

ওক গাছের কোন বেয়ে সূয্যি মামার
দেখা মেলে।আস্ত কমলা লেপ্টে
দিয়েছে... বাকিটুকু পড়ুন

২ টি মন্তব্য      ৯৯ বার পঠিত     like!
আরো পোস্ট লোড করুন
ব্লগটি ২৬৪৬ বার দেখা হয়েছে

আমার পোস্টে সাম্প্রতিক মন্তব্য

আমার করা সাম্প্রতিক মন্তব্য

আমার প্রিয় পোস্ট

আমার পোস্ট আর্কাইভ