‘বাবুই পাখিরে ডাকি বলিছে চড়াই—কুঁড়ে ঘরে থেকে করো শিল্পের বড়াই’
কারো কি মনে আছে কবিতাটার কথা? আমাদের শৈশবের অনেক মধুর স্মৃতিময় দিনগুলো সাক্ষী এসব কবিতা। অতীতের সেই দিনগুলোকে পেছনে ফেলে আজ অনেক দূর এসে – হঠাৎ কোনো অবসরে শৈশবের কথা ভাবলেই এমন কবিতার লাইন-শব্দ বড়ই আশ্চর্যভাবে ঘিরে ধরে আমাদের। স্মৃতির প্লাবনে আমরা তখন নিমজ্জিত হই। হই আবেগাপ্লুত!
ফেলে আসা শৈশব স্মৃতির বাগান থেকে আমরা তখন ফুলের গন্ধ পাই। স্কুল শেষে হৈ চৈ-চেঁচামেচিতে বাড়ি ফেরা, বিকেলের দৌঁড়ঝাপ, সন্ধ্যায় পড়তে বসে ঘুম। এভাবে কতো সব ঘটনা! এসব কবিতায় অনায়াসে পাই মায়ের মায়াভরা কণ্ঠস্বর। পাই, বাবা যেন জোরে জোরে বলছেন, “বল তো – বাবুই পাখিরে ডাকি। ”পাই ভাই-বোনসহ পরিবারের প্রিয়জনদের কতটা মধুর অমলিন সব স্মৃতির নানা টুকরো।
এভাবেই কয়েক প্রজন্মের পঠিত একটি ছোট কবিতাও কালজয়ী আসনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। কেননা, ওইসব কবিতার প্রতিটি লাইনের সঙ্গে আমরা যে অতি নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ। বাংলার পাখি, ফুল, প্রকৃতি ওরাও আমাদের বেঁচে থাকার প্রেরণা হয়ে ছড়া-কবিতাটিকে জীবন্ত করে রেখেছে জন্ম-জন্মান্তরের উদ্দেশ্যে।
নিজের যতটুকু রয়েছে তাতেই সন্তুষ্টি লাভের প্রচেষ্টায় সত্যিকারের সুখ, স্বস্তি বরাবরই নিহিত– রজনীকান্ত এমন অসাধারণ ভাবনা থেকেই বাবুই (Black-breasted Weaver) আর চড়াইকে ( House Sparrow) ডেকে এনে বসিয়েছেন তার এই কবিতায়। আট লাইনের অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত উদাহরণনির্ভর এ কবিতাটি বাংলা সাহিত্যে অমর হয়ে রয়েছে, থাকবে আমাদের মাঝেও...
আজ সে, বাবুই ও চড়াই পাখির কবি 'রজনীকান্ত সেনের' জন্মদিন আজ!
"শুভ জন্মদিন কবি"
১৮৬৫ সালের এই দিনে তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার সেন ভাঙাবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮