ডুবে যাওয়া ব্যক্তিকে বাঁচানোর জন্য কৃত্তিম শ্বাস প্রশ্বাস বা রেসকিউ ব্রেথ (Rescue Breaths) একটি গুরুত্বপুর্ন প্রশিক্ষন বা শিক্ষা। প্রায় সকল উন্নত বিশ্বের স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীদের ফাস্ট এইড ও জীবন বাঁচানোর বিভিন্ন প্রাথমিক বিষয় সম্পর্কে হাতে কলমে শেখানো হয়
আমি খুব অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম, আমাদের দেশের শিক্ষা বইয়ে এই বিষয়টি যুক্ত করার কারনে বেশ নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। সামগ্রিক বিষয়টিকে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় রং লাগিয়ে উস্কে দিচ্ছেন এক শ্রেনীর ফেসবুকার। আরো ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে, একটি এডিটেড ছবিকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মুল ছবি হিসাবে ছড়িয়ে দিচ্ছেন অনেক জ্ঞানী, গুনি এবং রাজনৈতিক সচেতন মানুষ। এটা দুঃখজনক এবং হতাশাজনক।
সিপিআর এর একটা গুরুত্বপুর্ন অংশ হলো - কৃত্তিম শ্বাস প্রশ্বাস বা রেসকিউ ব্রেথ (Rescue Breaths)। এটা জানাটা অবশ্যই জরুরী। কিন্তু এর মধ্যে খোঁজা হচ্ছে, যৌণতা, নারী পুরুষের সম্পর্ক, ধর্ম। কি ভয়াবহ একটা ব্যাপার!
ব্যাপার হচ্ছে এখানে কি তাহলে সমালোচনার কোন জায়গা নাই? অবশ্যই আছে।এখানে সমালোচনার জায়গা হলো - দুর্বল এবং অস্পষ্ট কার্টুনটি। যে ছবিটি ব্যবহার করা হয়েছে, সেটাতে সঠিক বিষয়টি প্রকাশিত হচ্ছে না। এখানে আরো বেশ কয়েকটি ছবি বা স্টেপ বাই স্টেপ ছবি প্রকাশ করা উচিত ছিলো। এই বিষয়ে করনীয় বা সমালোচনা করলে সেটা গ্রহনযোগ্য হতো। ক্লাসে কিভাবে শিক্ষার্থীরা এই সকল প্রয়োজনীয় বিষয় এক্সারসাইজ করবে সেই বিষয়ে গাইডলাইন দরকার ছিলো।
কিন্তু এই ব্যাপারে এই কোন আলোচনা নাই। সামগ্রিক আলোচনা পড়ে মনে হচ্ছে, রেসকিউ ব্রেথ হচ্ছে এক ধরনের চুম্মাচুম্মি। আসলে, মাথার মধ্যে সারাক্ষন যৌণতার মাছি ভন ভন করলেই কেবল মাত্র কোন মৃত প্রায় মানুষের জীবন বাঁচানোর প্রক্রিয়ার মধ্যে কেউ যৌণ ফ্যান্টাসি খুজে পেতে পারে। এই সকল গান্ডু মানসিকতার কারনে আমাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক উন্নতি হচ্ছে না এবং হবেও না। শুনতে তিক্ত হইলেও ইহা বাস্তব।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুন, ২০২৩ সকাল ১১:২৩