somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

জাদিদ
তুমি আমার রাতবন্দিনী। ধূসর স্বপ্নের অমসৃণ সুউচ্চ দেয়াল তুলে তোমাকে আমি বন্দী করেছি আমার প্রিয় কালোর রাজত্বে। ঘুটঘুটে কালোর এই রাজত্বে কোন আলো নেই। তোমার চোখ থেকে বের হওয়া তীব্র আলো, আমার হৃদয়ে প্রতিফলিত হয়ে সৃষ্টি করে এক অপার্থিব জ্যোৎস্না।

যাপিত জীবন: একটি ইন্টার্ভিউ এবং আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান - বাংলাদেশে তাঁদের ফ্যাক্টরি, চায়নার অফিস এবং ঢাকার অফিসের জন্য বিভিন্ন পদে লোক নেয়ার জন্য বিডি জবসে একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছিলো। সেখানে আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে যোগ্য লোক বাছাই করার জন্য তারা একটি ইন্টার্ভিউ বোর্ড তৈরি করেছিলেন, সেখানে আমি একজন প্রশ্নকর্তা হিসাবে আমন্ত্রিত ছিলাম।

ইন্টার্ভিউ শুরু হবার পর দেখা গেলো, অধিকাংশ আবেদনকারীর সিভির ফরম্যাট প্রায় একই এবং গৎবাঁধা নানা ধরনের অপ্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ভরা। যেমন পারিবারিক তথ্য, উচ্চতা, ধর্ম বর্ণ, শখ ইত্যাদি। প্রায় ৯০ ভাগ আবেদনকারীর ক্যারিয়ার সামারি বা তিনি ভবিষ্যতে কি করতে চান এমন তথ্যগুলোর অধিকাংশ ইন্টারনেট থেকে কপি করা এবং যার সাথে তার অতীত অভিজ্ঞতার কোন যোগসূত্র নেই।

পাশাপাশি, লক্ষ্য করলাম রেফারেন্স কি বা কেন ব্যবহার করা হয় এই ব্যাপারে অধিকাংশ আবেদনকারীর সঠিক ধারনা নেই। অনেকেই এমন রেফারেন্স ব্যবহার করেছেন, যারা তাঁকে সরাসরি চিনেন না বা আবেদনকারীর সাথে সরাসরি কোন যোগসূত্র নেই। একজন আবেদনকারীকে জিজ্ঞেস করলাম, যার রেফারেন্স ব্যবহার করা হয়েছে তার সাথে উনার কি সম্পর্ক?

তিনি কিছুক্ষণ ভেবে বললেন, রেফারেন্সের ভদ্রলোক তার বড় ভাইয়ের শশুরের বন্ধু।
আমি বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, আপনার ক্যারিয়ারের সাথে উনার রেফারেন্সের সম্পর্ক কি? তার সাথে কি আপনার কোন প্রফেশনাল বা একাডেমিক সম্পর্ক আছে?
তিনি বললেন, না, এমন কোন সম্পর্ক নেই।

আরেকজন আবেদনকারীকে দেখলাম প্রায় ৪ বছরের অভিজ্ঞতা। কিন্তু তিনি সব রেফারেন্স দিয়েছেন তার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। জিজ্ঞেস করলাম, যেহেতু আপনি ফ্রেসার নন, প্রফেশনালি আপনাকে চেনে এবং আপনার কাজ সম্পর্কে ধারনা রাখে এমন কারো রেফারেন্স কি আপনার আছে?

তিনি বললেন, আছে।
বললাম, তাহলে কি অনুগ্রহ করে তাঁর সাথে আপনি এখন আমাদের সামনে বসে যোগাযোগ করতে পারেন? আমরা তাঁর সাথে আপনার ব্যাপারে একটু কথা বলতে চাই।

তিনি কিছুক্ষণ মোবাইল দেখলেন এবং তারপর জানালেন, আসলে ফোন দিয়ে এইভাবে কথা বলার মত কোন রেফারেন্স তার নেই।

আমি বিষয়টিকে প্রোলঙ করতে চাই নি। তাও তাঁকে একটি সঠিক ধারনা দেয়ার জন্য বললাম, আপনি চার বছর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। আপনার দেয়া তথ্য অনুসারে আমরা দেখতে পাচ্ছি আপনি গত চার বছরে তিনটি কোম্পানিতে কাজ করেছেন। সর্ব নিম্ন কাজের মেয়াদ ৮ মাস। এই সকল ডাটা থেকে ধারনা করা যায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে গড়ে এক বছরের কিছুটা বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন। আপনার বর্ণিত জব রেকর্ড অনুসারে আমরা আরো দেখতে পাচ্ছি, নতুন প্রতিষ্ঠানে আপনার কাজের দায়িত্ব খুব একটা বৃদ্ধি পায় নি বরং বলা যায় ঘুরে ফিরে আগে যা করতেন, নতুন প্রতিষ্ঠানগুলোতেও তাই করছেন।

কাজেই ধরে নেয়া যায়, আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রতি খুব একটা লয়্যাল নন। সামান্য বেটার অপশন পেলেই আপনি নতুন চাকরীতে চলে যাচ্ছেন। আমি ধরে নিচ্ছি, আপনি আপনার কাজে দক্ষ অর্থাৎ আপনাকে এই পরিবর্তন কাজে দক্ষতার ঘাটতির কারণে করতে হয় নি।
এখন আমরা যদি আরো একটু অ্যানালাইসিস করি, তাহলে দেখতে পাই যে, আপনি যে সকল প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন সেই সকল প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে খুব একটা নাম করা তেমন কোন প্রতিষ্ঠান নেই। এবং আপনি যে রোলে সেখানে কাজ করেছেন সেই রোলে এই ধরনের কোম্পানিগুলোতে যে স্যালারি স্ট্রাকচার থাকে সেটা প্রায় কাছাকাছি হয়ত সামান্য এদিক সেদিক হতে পারে। মানুষ ভালো অপশন পেলে সেখানে সুইচ করবে এটাই স্বাভাবিক, যেমনটা আপনি আমাদের প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু এই চাকরি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে যদি আগের বেতনের নুন্যতম ২০-২৫% বৃদ্ধি না পায়, তাহলে সেই পরিবর্তন করা সঠিক নয় এবং অনেক ক্ষেত্রে তা উদ্দেশ্যহীনভাবেই হয়ে থাকে। আমরা বিশ্বাস করি, আপনার আগের স্যালারি স্ট্রাকচারগুলোর সাথে বর্তমান স্যালারি স্ট্রাকচারের পার্থক্য বড় জোর ৫% - ৭% হতে পারে।

ফলে আমরা কি এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি, এইভাবে হুট-হাট চাকরি পরিবর্তনের কারণে, আপনার পূর্বের কর্মস্থলে আপনার প্রফেশনাল রেপুটেশন খুব একটা ভালো নয়, তাই দীর্ঘ চার বছরের অভিজ্ঞতা থাকা স্বত্বতেও আপনি কোন প্রফেশনাল রেফারেন্স যুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন?

আবেদনকারী প্রচণ্ড নার্ভাস হয়ে গেলেন। তিনি ধারনাও করতে পারেন নি রেফারেন্স নিয়ে তিনি এতটা বিপদে পড়তে পারেন। তিনি আমার প্রশ্নের জবাব না দিয়ে চুপচাপ বসে রইলেন। এর পরে তাঁকে অন্য বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হলো।

এরপর আরো বেশ কয়েকজন ক্যান্ডিডেটের সাথে প্রশ্নত্তোর পর্ব হলো। মজার ব্যাপার হলো, যাদের কে নির্বাচিত করা হয়েছিলো তাঁদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাঁদের এ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশনের চাইতে তাঁদের ইন্টার পারসোনাল স্কিলগুলো বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। কথা বলা যে একটা স্কিল - এই ব্যাপারে আমাদের অধিকাংশ ছেলেপেলের নুন্যতম ধারনা নাই। অনেক সময় আমরা ক্যান্ডিডেটকে নার্ভাস বুঝে একটু সাহস যোগাতে চেষ্টা করেছি।

যেমন একজন ক্যান্ডিডেট আসলেন। আসার পর দেখলাম বেচারা প্রচণ্ড নার্ভাস আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগছেন। সিভিতে দেখলাম তাঁর পড়াশোনা, অভিজ্ঞতা সবই মার্কেটিং কেন্দ্রিক কিন্তু তিনি এপ্ল্যাই করেছেন ফ্যাক্টরির প্রোডাকশন সুপারভাইজার হিসাবে। আমি তাঁর কাজের জায়গাটা একটু যাচাই করে দেখলাম তিনি কাজ করেছেন বিভিন্ন ব্যাংকের কার্ড ডিভিশনে আর একটি ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে। ভালো একটি কলেজ থেকে পাস করেও তিনি খুবই নার্ভাস। আমার অভিজ্ঞতায় মনে হলো - এই ছেলেটা মার্কেটিং এ ভালো করবে।

ওর দক্ষতা সম্পর্কে পূর্ণ যাচাই করার জন্য ওকে নার্ভাস থেকে স্বাভাবিক করাই এখন আমার প্রধান কাজ। ফলে আমি খুব স্বাভাবিকভাবে তার সাথে কাজের আলাপ বাদ দিয়ে তার ব্যক্তিগত আলাপ শুরু করলাম। তার দেশের বাড়ি সম্পর্কে জানলাম, তার পরিবার সম্পর্কে জানলাম। ছোট খাটো কিছু সাধারণ বিষয়ে তাঁকে কথা বলতে সুযোগ করে দিলাম। এতে ছেলেটা হারানো মনোবল ফিরে পেলো। জানতে চাইলাম তিনি কেন ইউ টার্ন নিয়ে মার্কেটিং থেকে প্রোডাকশনে আসতে চাইছেন যেখানে তার কোন অভিজ্ঞতা নাই।

বলতে ভুলে গেছি, যিনি এই সিভিগুলো বাছাই করেছিলেন, তিনি ভুলে এই সিভিটা যুক্ত করেছিলেন। যা পরে এসে আমরা জানতে পেরেছিলাম।

ছেলেটা বলল, আসলে কার্ড ডিভিশন আর ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকরী করে তার মার্কেটিং এর উপর থেকে মন উঠে গেছে। তাই সে প্রোডাকশনে আসতে যায়।

তাঁকে বললাম সেলস এবং ডিস্ট্রিবিউশনে সব সময় একটা চাপ থাকে অনেক ছোট খাটো প্রতিষ্ঠান সেলসকে মার্কেটিং হিসাবে চালিয়ে দেয়। এরপর তাঁর সাথে বিভিন্ন আলাপ করলাম, মার্কেটিং সম্পর্কে কথা বললাম। দেখলাম মার্কেটিং এর বিভিন্ন কনসেপ্ট এর ব্যাপারে তাঁর বেশ ভালো ধারনা আছে। আমাদের প্রোডাক্ট সম্পর্কে আলোচনা করলাম, কিভাবে তা আমরা কাস্টমারকে পৌঁছবো, তার কাজ কি হবে ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করার পর ছেলেটা খুব আগ্রহ নিয়ে আমার পাশে থাকা এমডিকে বলল, স্যার - কাজটা আমাকে দিন। আমার পছন্দ হয়েছে। আমি করতে পারব।

এমডি সাহেব বেশ মজার মানুষ তিনি বললেন, বেশ বেশ ইন্টার্ভিউ নিচ্ছি আমরা কোথায় আপনাকে আমরা পছন্দ করব, আপনি দেখি উল্টা জব পছন্দ করে বসে আছেন। তবে আপনার আন্তরিকতা আমার ভালো লেগেছে আপনার সততাও আমার পছন্দ হয়েছে। অন্যদেরকে পরে কনফার্ম করলেও আপনাকে এখনই কনফার্ম করছি। তিন মাস আপনাকে আমরা পর্যবেক্ষণ করব। যদি পাশ করতে পারেন, তাহলে ফুল বেতনে যোগদান করবেন আর এই তিন মাসের বাকি অর্ধেক স্যালারিও আপনাকে একসাথে দিয়ে দেয়া হবে।

আমি আনন্দিত, কারণ আমি বিশ্বাস করি, এই ছেলেটার ক্যারিয়ার নতুন ভাবে শুরু হলো এবং এখানে সে ভালো করবে।

এর পর ডিজিটাল মার্কেটিং ম্যানেজার পদের জন্য একজনকে ডাকা হলো। উনার এ্যাপ্রোচটা বা বডি ল্যাঙ্গুয়েজটা বেশ বিরক্তকর। উনার কথাবার্তা শুনে মনে হলো - উনি দুনিয়ার একাই সব কিছু জানেন। তাঁকে প্রশ্ন করলাম, আমাদের সাইটের ক্রলিং এ একটু প্রবলেম আছে বলে মনে হয়, আপনি কি ক্রলিং আর ইনডেক্সিং এর পার্থক্যটা আমাদেরকে সহজে জানাতে পারেন?

সে আমাদের সবাইকে বিষ্মিত করে দিয়ে বলল, স্যার, আসলে আমার নিজের একটা ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি আছে। আপনারা লোক না নিয়ে আমার কোম্পানিকে কাজ দেন। আপনাদের কষ্ট অপটিমাইজেশন হবে। আমি আসলে এখানে পিচ করতে আসছি।

আমি অভিনব এই পিচিং দেখে বাকরুদ্ধ। সামনা সামনি হেসে ফেলেও মনে মনে যথেষ্ট বিরক্ত হলাম। ছেলেটা যদি নিজেকে উপযুক্ত প্রমাণ করে নিজের কোম্পানির ব্যাপারে এ্যাপ্রোচ করত, তাহলে সেটাকে আমি কিছুটা হলেও সম্মান করতাম। তাঁকে হয়ত বললাম, আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক পিচ করুন আমরা ভেবে দেখব।
খুব সহজ ভাষায় তাঁকে বললাম, আপনি অনুগ্রহ করে বেরিয়ে যান। আপনার এবং আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থা তৈরি হয় নি।

যাইহোক, এর পরে আরো অনেক সিভি দেখলাম, অনেক ক্যান্ডিডেটের সাথে কথা বললাম। দিন শেষে একটি ভয়াবহ চিত্র পেলাম যা বাংলাদেশের পড়াশোনার মান যে কতটা দুর্বল সেটা প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট। আমাদের অধিকাংশ ছেলেপেলেরা নিজেদের স্কিল বিল্ডাপে কোন চেষ্টা করে না। ইউটিউব, ফেসবুকে হাজার হাজার সিভির লেখার কৌশল সম্পর্কে ভিডিও আছে, ইন্টার্ভিউ ফেস করার পদ্ধতি আছে কিন্তু সেই সব বিষয়ে কোন আগ্রহ নাই।

এক ডিজিটাল মার্কেটিং বিভাগে প্রায় ২৫০ টা সিভি পড়েছে। সবাই ১০ টাকার কোর্স করে ডিজিটাল মার্কেটার, এ্যাড ম্যানেজার নিজেকে ডিজিটাল মার্কেটার হিসাবে দাবি করছে। অধিকাংশ ছেলেপেলের নিজেদের ট্যালেন্টের উপর কোন আত্মবিশ্বাস নাই। আমাদের দেশের ছেলেপেলেদের সমস্যা হচ্ছে তারা স্কিল ডেভলপ করার চাইতে তারা কোন স্কিলের বেতন বেশি সেটা খুঁজে এবং হুড়মুড় করে সেই স্কিলের বিভিন্ন কোর্সে টোর্সে ভর্তি হয়ে একটা এলাহি ব্যাপার করে। কিন্তু দিন শেষে কাজের কাজ লবডংকা।

দেখুন আপনি পড়াশোনা জানলে চা সিঙ্গারা বেচলেও সেটার মধ্যে সম্মান এবং টাকা আয় করা যায়। যেমন দেখুন চা এন্ড চিল নামের একটি প্রতিষ্ঠান কি বিক্রি করছে? সিঙ্গারা আর মাসালা চা। একেবারে টং দোকানের প্রোডাক্ট না?

কিন্তু এই উদ্যোক্তা কি করলেন? চা সিঙ্গারা নিয়ে একটু গভীরে চিন্তা করলেন, আমরা সবাই সিঙ্গারার সাথে একটু সস আর পেঁয়াজ পছন্দ করি। তিনি সুন্দর স্বাদের চা আর সিঙ্গারা ডেভেলপ করলেন, পুদিনা আর মেয়োনিজ মিলিয়ে একটা দারুণ সস বানালেন। নিজের প্রতিষ্ঠানের নামে প্যাকেজিং করলেন এবং হাইজিন রক্ষার সর্বোচ্চ চেষ্টা নিলেন। এই যে একটা ব্রান্ড ক্রিয়েট হলো এই ব্র্যান্ডিং এর কারণেই আপনি আমি ঐ দোকান থেকে ৩ টা সিঙ্গারা, স্পেশাল সস এবং মাসালা ৫০ টাকায় কিনে খাচ্ছি। এমনভাবে ব্র্যান্ডিং করা হয়েছে যে একজন ক্রেতা খেয়ে বলবেন না শালার ৫০ টাকা দিয়ে তিন পিস সিঙ্গারা খাইলাম।

এটা হচ্ছে সঠিক পরিকল্পনা মার্কেটিং, ব্র্যান্ডিং এর একটি সমন্বয়। বাজারে যে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স পাওয়া যায় তা দিয়ে আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রাথমিক কাজ করতে পারবেন কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী কাজের জন্য আপনাকে প্রফেশনালদের সাহায্য নিতেই হবে। কমনসেন্স, এনালাইটিক এবিলিটি এবং ক্রিটিক্যাল রিজনিং স্কিল ছাড়া আপনি ডিজিটাল মার্কেটর হিসাবে সুবিধা করতে পারবেন না। আপনার কমিউনিকেশন স্কিল ভালো হতে হবে। কমিউনিকেশন ভালো হবার নামে লবা পাকনা হওয়া যাবে না।

কমিউনিকেশনের বেসিক স্কিলগুলো আমাদের স্কুল কলেজেই শেখানোর কথা, সেখানে আমাদের স্কুল কলেজ আর কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার মান ভয়াবহ। বেসিক মানুষ বানানোর মত কার্যক্রম এখন মুখ থুবড়ে উঠার পথে। দেশে চাকরীর বাজার খারাপ না। সমস্যা হচ্ছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্রেফ ব্যবসাই করছে, সার্টিফিকেট বিক্রি করছে। নিজেদের স্কিল বিল্ডাপে কোন আগ্রহ নাই। এই ব্যাপারে সরকারের কোন আগ্রহ নাই। কারণ মানুষ অশিক্ষিত থাকতে পারলেই সরকারের লাভ। এটাই শোষকদের বৈশিষ্ট্য।

আত্মবিশ্বাসের সাথে কথা বলাও একটা স্কিল। যে শিক্ষা একজন মানুষকে আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে পারে না, সেই শিক্ষার কোন মূল্য নাই। ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিয়ে চিন্তিত হবাই স্বাভাবিক।

আমাদের ব্লগারদের মধ্যে যারা চাকরী প্রার্থী তারা অনুগ্রহ করে নিজেদের কমিউনিকেশন স্কিলের দক্ষতা বৃদ্ধি করুন। এটা আপনার ব্যক্তি জীবন এবং পেশাদার জীবন সব খানেই কাজে আসবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪১
২১টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাঘ আর কুকুরের গল্প......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৩২

বাঘ আর কুকুর দুটোই হিংস্র এবং সাহসী প্রাণী। বাঘ, কুকুর যতই হিস্র হোক মানুষের কাছে ওরা নেহায়েতই পোষ মেনে যায়। আমাদের সমাজে, রাজনীতিতে অনেক নেতাদের 'বাঘের বাচ্চা' বলে বিরাটত্ব জাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমরা উকিলরা কেউ চিন্ময়ের পক্ষে দাঁড়াবো না , না এবং না

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২




সাবাস বাংলাদেশের উকিল । ...বাকিটুকু পড়ুন

আগরতলায় হাইকমিশনে হামলা কাকতালীয় না কি পরিকল্পিত?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩২

গতকাল (২ ডিসেম্বর) ভোরে আগরতলার হিন্দু সংগ্রাম সমিতির বিক্ষোভকারীদের দ্বারা বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের প্রাঙ্গণে হিংসাত্মক বিক্ষোভের পর ন্যাক্কারজনকভাবে আক্রমণ করে। বিভিন্ন তথ্যে চূড়ান্তভাবে প্রমাণিত যে বিক্ষোভকারীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের সাথে যুদ্ধ করে ভারত লাভবান হবে বলে মনে করি না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১০



আমাদের দেশে অনেক মুসলিম থাকে আর ভারতে থাকে অনেক হিন্দু। ভারতীয় উপমহাদেশে হিন্দু-মুসলিম যুদ্ধে মুসলিমদের সাফল্য হতাশা জনক নয়। সেজন্য মুসলিমরা ভারতীয় উপমহাদেশ সাড়ে সাতশত বছর শাসন করেছে।মুসলিমরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড. ইউনূস গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড - শেখ হাসিনা।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৩৬


৫ই আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পলায়নের পর বাংলাদেশের ক্ষমতা গ্রহণ করা নতুন সরকার কে বিপদে ফেলতে একের পর এক রেকর্ড ফোন কল ফাঁস করতে থাকেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×