বাঙলাদেশের ক্রিকেট আজ যে পর্যায়ে এসেছে সেটাকে শুধু সাপোর্ট করলে ভুল করা হবে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে তাদের সাপোর্ট করিনা, ভালবাসি।
সাপোর্ট করি ব্রাজিল (ফুটবল), সাপোর্ট করতাম সাউথ আফ্রিকা।
৯৮ বিশ্বকাপে স্বাগতিক ফ্রান্সের কাছে যখন ব্রাজিল হারলো কিংবা ৯৯ বিশ্বকাপে সাউথ আফ্রিকা সেমি ফাইনালে হারলো অষ্ট্রেলিয়ার কাছে এলেন ডোনাল্ড এর সামান্য ভুলের কারণে খুব বেশী কষ্ট পাইনি কারণ খেলায় এসব ঘটে।
যত দেশ আজ ভাল খেলছে তারা রাতারাতি এতো ভাল টিম গঠন করতে পারেনি। ধীরে ধীরে তারা পরিপক্ক হয়ে উঠেছে। বাঙলাদেশও সে পথেই এগুচ্ছে এবং অন্যান্য দের চাইতে আরো দ্রুত।
৯৭ তে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন, ৯৯ তে পাকিস্তান বধ, টেস্ট স্টেটাস। এরপরও তারা থেমে থাকেনি একের পর এক সব সিনিয়র এবং শক্তিশালী দলকে পরাজিত করে নিজেদের অবস্থানকে শক্ত করেছে। পয়েন্টের তালিকায়ও তারা নিজেদের তুলে এনেছে।
ইন্ডিয়া বাঙলাদেশ প্রথম ম্যাচ দেখেছিলাম অনেক বছর আগে সাদাকালো টিবিতে যখন আনিস, রফিক, নান্নুরা খেলতো। আইসিসিতো সরাসরি দেখতেই পারলামনা, শুনতাম রেডিওতে। সে সুবাধে জনপ্রিয়তার চরম সীমায় পৌঁছে গিয়েছিল ধারা ভাষ্যকার চৌধুরী জাফর উল্লা সারাফাত, খোদাবক্স মৃধা রা।
একটা সময় ছিল যখন হারতাম আর হারতাম হেরে যাওয়াটাকে নিয়তি ধরে নিয়ে ছিলাম তবুও ভালবাসার কমতি ছিলনা, আশায় ভাটা পড়েনি। হারো কিন্তু একটু ভাল করে, সম্মানজনক ভাবে। আজ তারা সে পাট চুকিয়ে দিয়েছে এখন শুধু জয়ের জন্য খেলা, শুধু মাত্র জয়ী হওয়া। তাইতো আশাও করেছিলাম এশিয়া কাপটা ঘরে রাখার। কিন্তু একজন মেধাবী প্লাস অভিজ্ঞ যুবকের কাছে সদ্য যৌবন পাওয়া তরুনটির পেরে উঠা খুব সহজ নয়। তবুও তারা চেষ্টা করেছে, তাদের অভিবাদন!
যারা আজ বাঙলাদেশের হারে মুষড়ে পড়েছেন তাদের বলছি কয়েক বছর পেচনে গেলেই মনে করতে পারবেন বাঙলাদেশের ক্রিকেটের অবস্থা করটা করুণ ছিল। শিরোপার দৌঁড়ে তারা শেষ পর্যন্ত যেতে পারবেনা, তাইতো বিকল্প একটা দলের কথা মনে মনে স্থির করা লাগতো শিরোপাটার ফাইনাল পর্যন্ত দেখার জন্য।
কিন্তু আজ আর তা করতে হচ্ছেনা বাঙলার টাইগাররা শেষ পর্যন্তই আছে, এ ধারাবাহিকতাটাই ধরে রাখবে। তাদের শুধু সাপোর্ট করে দায়িত্ব শেষ করে দেবেননা প্লীজ, তাদের ভালবাসুন।
ভালবাসি ক্রিকেট, ভালবাসি বাঙলাদেশ।