somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লেখাপড়ার পাশাপাশি সাহিত্য জ্ঞান চর্চা করতে হবে"

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

" লেখাপড়ার পাশাপাশি সাহিত্য জ্ঞান চর্চা
করতে হবে"
মানব সমাজের সাথে সাহিত্যের; সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য।হৃদয়-মনের অনুভুুতি ভাষাগত রূপান্তরকরণ কে সাহিত্য বলা হয়।গদ্য,পদ্য,প্রবন্ধ,উপন্যাস,গল্প,নাটক,রম্যরচনা ইত্যাদি সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা।সাহিত্য থেকে আমরা জানতে পারি আমাদের সংস্কৃতি, ইতিহাস আর ঐতিহ্য। আমাদের দেশের একটা বিশাল অংশের ভুমিকা সাহিত্যে।কিন্তু বর্তমান শিক্ষার্থী সাহিত্যে ও সাহিত্য চর্চায় অনেক পিছিয়ে, কারন শিক্ষার্থী অবসর সময়ে সাহিত্যে পড়ার যে আগ্রহ তা এখন অনেকাংশ হ্রাস পেয়েছে।সাহিত্যের ভিতর দিয়েই আমরা আকাশের দৈববাণী থেকে মাহাত্মাদের কথা পেয়ে থাকি।যাদের পাওয়া আমাদের কখনও সম্ভব নয়,সাহিত্যের মাধ্যমে আমরা তাদের পেতে পারি।সাহিত্য আমাদের অতীতের ঐতিহ্য,সংস্কৃতির সাথে সেতুবন্ধন গড়ে তুলে।সাহিত্য জ্ঞানের আধার।একটা ভালো বিশ্বস্ত বন্ধুর মত।সাহিত্যের মাধ্যমে আমরা সত্য, সুন্দর,কল্যাণ,ন্যায়ের শাশ্বত রূপের সাথে পরিচিতি হই।যুগে যুগে মানুষ সাহিত্যে পড়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করেছে, বাড়িয়ে নিয়েছে নিজের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার জগৎ।
শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার পাশাপাশি শুদ্ধ সাংস্কৃতিক ও সাহিত্যে চর্চা করতে হবে। সাহিত্যে ও সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মন মানসিকতা বড় হয়।সে তখন এক সত্যিকার মনুষে পরিণত হয়।মননশক্তি অর্জন আর হৃদয় শক্তি বিস্তার করতে হলেও প্রয়োজন সাহিত্য চর্চা। বইয়ের পাতায় কালো অক্ষরে অমর হয়ে আছে মানুষের চিরন্তন আত্মার দ্যুতি। সাহিত্যে মানুষের মনে সঞ্চার করে অনাবিল আনন্দ,মনকে সতেজ ও দৃষ্টি কে প্রসারিত করে।তাইতো ফরাসি দার্শনিক আনাতো ফ্রাঁস বলেছেন, "সাহিত্যে পড়ার মাধ্যমে আমরা মাছির মতো মাথার চারিদিকে অজস্র চোখ ফুটিয়ে তুলতে পারি,সেই চক্ষুদ্বয় দিয়ে একসাথে অনেককিছু দেখে নিতে পারি।শিক্ষার্থীদের প্রধান লক্ষ্য ক্যারিয়ার গঠন করা,পাশাপাশি মনকে আনন্দ ও সতেজতার জন্য প্রয়োজন সাহিত্যের চর্চা।আর এই সাহিত্যে চর্চার জন্য বেশি বেশি সাহিত্যে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।নির্মল আনন্দ লাভের উৎস হিসেবে সাহিত্যের বিকল্প কিছু নেই।তাইতো কবি ওমর খৈয়ম বলেছেন," রুটি মদ ফুরিয়ে যাবে,প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে যাবে,কিন্তু বইখানা অনন্ত যৌবনা, যদি তেমন বই হয়।জাতির সর্বাঙ্গীণ বিকাশের উপায় হল সবার জন্য শিক্ষার প্রসার।সহজ সরল ভাষায় লেখা সাহিত্য জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় সহায়ক। মহৎ লেখকরাই পারেন জাতিকে কুসংস্কারমুক্ত করে মহৎ জীবনে ব্রতী করতে।বিশ্ব ভুমন্ডলে যারা সাহিত্যে অবদান রেখেছেন তাদের বেশির ভাগ সাহিত্যিক সাহিত্য চর্চা প্রারম্ভ করেন ছাত্র জীবনে।ছাত্রজীবনের সাহিত্য চর্চায় আগামির প্রকৃত ও মননশীল সাহিত্যিকে পরিণত হয়।সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে জাতি আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে উঠে।শিক্ষার্থীরা যদি সাহিত্যে চর্চায় আগ্রহ হারিয়ে পেলে, তাহলে সময়ের বিবর্তনে সাহিত্য হারিয়ে যাবে।তাই শিক্ষার্থীদের সাহিত্য চর্চায় অধ্যবসায় হতে হবে।কেউ মনে করেন প্রতিভাই মূল নিয়ামক।কিন্তু এ ধারনা ঠিক নয় অধ্যবসায় ছাড়া সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হয়না।প্রত্যেক সাহিত্যপ্রেমী অধ্যবসায় ছিলেন।মহাকবি ফেরদৌসীর অমর মহাবাক্য 'শাহানামা' দীর্ঘ ৩০ বছরের কাব্যপ্রয়াস।জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাশ বিশ বছরের সাধনায় রচনা করেন 'বাংলা ভাষার অভিধান'।শিক্ষার্থীর সাহিত্য চর্চায় অধ্যবসায় বিকল্প নেই।কবির ভাষায়,

যার নেই অধ্যবসায়
সে কেমন মশাই,
জীবনে করতে পারে জয়।

শিক্ষার্থীদের সাহিত্য চর্চা তেমন কোন কঠিন সমস্যা নয়,শুধু চেষ্টার প্রয়োজন।কথায় আছে 'ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়'।
সাহিত্য পড়ার যে আনন্দ তা গ্রন্থ পিপাসু মানুষ মাত্রেই জানেন।সেই আনন্দের স্পর্শ যিনি একবার নিয়েছেন তার অন্তর হয়েছে ঐশ্বর্যময়,হয়েছে আলোকিত।পরিশেষে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য কবির ভাষায় বলি,

এসো হে নবীন,
সাহিত্যের ধারায়,
নব উল্লাসে মেতে উঠুক,
নবীন সাহিত্যের পদচালনায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৭
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×