ইমরান এইচ সরকার ও ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাকটিভিস্টদের প্রতি যুক্তির খোলা চিঠি।
প্রথমে একাত্রতা প্রকাশ করছি আপনাদের আন্দোলনের সাথে যেটা শুরু করেছিলেন যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে কিন্তু দিনে দিনে আপনাদের দাবীগুলো যে রাজনীতির দিকে ধাবিত হচ্ছে আর তার পরীধি যে মিডিয়ার ব্যক্তি, মিডিয়া ও দেশের অথনীতির উপর ছড়ি ঘুড়ানোর মতো সে দিকে কি খেয়াল করছেন?? বাংলায় একটা কথা আছে হাগে জাওয়ে মিলাইয়া আসল ব্যপারটাই ভুলে যায় মানুষ আর আপনাদের আন্দোলনটা কি সে পথেই চলছে কিনা এখন সেটাই ভাববার বিষয়। মাঝে মাঝে ভয় হয় আপনারা কি আসল ছেড়ে মুসল নিয়ে পাড়া পাড়ি করে শেষে সুবিধাভোগী রাজনীতির গ্যড়াকলেই ফাসেন কিনা। আমি আগের দুটি লিখাতে আপনাদের কিছুটা বলতে চেয়েছিলাম,
** শাহবাগের আন্দোলনের সাথে যুক্ত ভাই ও বোনেরা
আন্দোলনটা যেন কারো পেট ভরার জন্য না হয়**
Click This Link
** থাবা_বাবা ~বাক স্বাধীনতা~রাজনীতির গন্ধ।**
Click This Link
মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরে জাগরণ মহাসমাবেশ শেষে নতুন কর্মসূচি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা (আপনারা)। যার বেশীর ভাগই রাজনীতির গন্ধ বহন করছে, ‘আমার দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তারের দাবীতে আপনারা আগামীকাল মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি স্মারকলিপি দিবেন কিন্তু আসল যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীর সাথে আপনারা কেন ‘আমার দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের পিছনে লেগেছেন? উনি আপনাদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে লিখছেন তাই?? যারা আপনাদের কথাই লিখছেন কই তাদের বিরুদ্ধেতো আন্দোলন করছেন না??।আপনারা ভাল করেই জানেন বতমান সরকারের আমলে বহুবার ‘আমার দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে বহু কিছুই হয়েছে রাজনৈতিক কারনে আর এখন আপনারা ‘আমার দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন এটাও রাজনীতির কিছুটা গন্ধ বহন করছে আর মিডিয়ার ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্ত চালনার মতইতো কিছুটা মনে হচ্ছে।
সমাবেশ শেষে আজও শপথ নিয়েছেন আপনারা। সেখানে সবাই দাঁড়িয়ে হাত তুলে ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকারের সঙ্গে শপথ নেন যুদ্ধাপরাধীদের সব সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান বয়কট করার। আমি আগেই বলেছি আসল ছেড়ে মুসল নিয়ে পাড়া পাড়ি মানে আপনাদের আসল দাবী ছিল যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি কিন্তু এখন নানা সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পিছনে লেগেছেন কেন? যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি যদি বাস্তবায়ন হয়ে যায় তাহলেতো ঐ সব সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের নাম নিশানা এভাবেই মুছে যাবে বা দেশের প্রচলিত আইনে সরকার ঐ সব সংগঠন কালো তালিকাভুক্ত করতে পারে ও প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের সরিয়ে রাস্ট্রীয় পরিচালক দ্বারা পরিচালনা করতে পারে, আপনারা কেন শুধু শুধু আসল দাবী ছেড়ে অন্য দাবীগুলো নিয়ে আরো নিজেদের রাজনীতির গ্যড়াকলে ধাবিত করে ব্যপারটা আরো ঘোলাটে করছেন?
আজ সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরে মহাসমাবেশ শেষে আগামীকালের বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। এ সময় ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘আমার দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করতে হবে; এটাই শাহবাগের দাবি। তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘এই নব্য রাজাকারকে ধরতে কিসের এত দ্বিধা?’ কিন্তু ইমরান এইচ সরকার--এটা কি বাড়াবাড়ি বা মিডিয়ার ব্যক্তির উপর আপনাদের হংকার নয়? আপনাদের আসল দাবী যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি আর এই দাবীটা আদায় না হওয়া পযন্ত অনড় থাকুন না, ছাগলের ছাও তিনটি দুইটি দুধ খায় একটি লাফায়, মনে করুন কিছু ব্যক্তি বা মিডিয়া আপনাদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে কিছু লিখছে তার মানে এই নয় আপনারা আসল দাবীর পাশা পাশি মিডিয়া বা মিডিয়ার সাথে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে লড়ে আসল দাবীটাকে আরো হালকায় নিয়ে আসবেন?আপনাদের বতমান দাবীগুলো কিছুটা রাজনীতির গন্ধ যে বহন করছে সেটা কিন্তু আপনাদের দাবীগুলোই প্রমান দেয়।
ইমরান এইচ সরকার আরও বলেন, ‘২১ দিন ধরে রাজপথে আছি। যে দাবি নিয়ে নেমেছি, তা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরব না। হা সেটা যদি যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী হয় আমরাও সেটা থেকে পিছপা হব না কিন্তু তিনি যে সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো আপস চলবে না। এটার মানে কি?? রাজনীতি না?? যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি যদি হয়েই যায় তাহলেতো এভাবেই আপনারা জিতে গেলেন আর জামায়াত হলো বাংলাদেশের একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল সেটা নিষিদ্ধ করা না করা দেখতে হবে রাজনৈতিক দল গুলোকে বা নিবাচন কমিশনকে কিন্তু আপনাদের দাবীগুলো কেমন জানি রাজনীতির গন্ধই বহন করছে।
আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে আহ্বান জানিয়ে ইমরান এইচ সরকার ইসলামী ব্যাংক, ‘আমার দেশ’ ও ‘নয়া দিগন্ত’ পত্রিকা বয়কট করতে এবং প্রত্যেককে নিজের জায়গা থেকে আন্দোলনে সংহতি জানানোর আহ্বান জানান। আসল দাবীটা হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি কিন্তু তার সাথে ইসলামী ব্যাংককে বয়কট করা মানে দেশের অথনীতির উপর চাপ দেওয়া আর আপনার দাবীটার আগে একটু ভেবে দেখুন দেশের সবচেয়ে বেশী মূলধন বা রেমিটেন্স আদায় কারী ব্যাংকের মধ্যে ইসলামী ব্যাংক হলো একটি আর সরকার যদি মনে করে যে এই ব্যাংকটির পরিচালকরা যুদ্ধাপরাধীদের বাচানোর জন্য চেস্টা করছে তবে ব্যাংকটির পরিচালকদের সরিয়ে রাস্ট্রের অধীন করে নিতে পারে কিন্তু বয়কট বা ধংস করে দেশের অথনীতির উপর চাপ দেওয়া কি যুক্তিসুদ্ধ?? আর আপনার বা আপনাদের ইসলামী ব্যাংককে বয়কটের দাবীটা প্রমান করে হয়তো আপনারা অন্য কোন অপশক্তির সাহায্য নিয়ে দিনে দিনে নানা দাবী তুলছেন যেটা আপনাদের আসল দাবীর আড়ালে দেশের অথনীতির উপর চাপ দেওয়ার প্রমানই বহন করে, ‘আমার দেশ’ ও ‘নয়া দিগন্ত’ হলো মিডিয়া আর স্বাধীন বাংলাদেশে আপনাদের নিয়ে আলোচনা আর সমালোচনা করবে মিডিয়া এটাই স্বাভাবিক, তাই বলে মিডিয়ার স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যেতে হবে আপনাদের? আসলে কি আপনারা যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চান না কি মিডিয়ার মুখ বন্ধ করতে? আর রাজনৈতিক দলের আদলে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীর পরে অন্য দাবী তুলে এটাই কি প্রমান করতে চান যে আপনার হয়তো কোন রাজনৈতিক দলের সক্রীয় কমী বা নেতা?
আন্দোলনের ধরন সম্পর্কে ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘আমরা অহিংস আন্দোলন করছি। সহিংসতার আশ্রয় নিইনি। তার মানে এই নয় যে, আমাদের সেই শক্তি নেই।’ তিনি বলেন, শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনকারীরা একটি চেতনার বিজয় দেখতে চায়। তাই মাথা ঠান্ডা রেখে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি। হা সেটা কোন রাজনৈতিক দলের লেজুড় ধরে যদি না হয় আর সেটা যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য যদি হয়, আমরা আপনাদের পাশেই আছি, থাকবো।
তথ্য:
মাহমুদুরকে গ্রেপ্তারের দাবিতে কাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিক্ষোভ
Click This Link

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



