বিশ্বের ২১টি অঞ্চলের তিন লাখেরও বেশি অফশোর কোম্পানির তথ্যের একটি ডেটা বেইস দি ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট (আইসিআইজে) গেছে গত কাল সোমবার প্রকাশ করেছেন । আর তাদের তথ্য অনুযায়ী অর্থ পাচার করতে কিংবা কর ফাঁকি দিতে আইনের ফাঁক ফোঁকর খুঁজেছেন এইসব ব্যক্তি। আইসিআইজে বলছেন জনস্বার্থে এই তালিকা প্রকাশ করেছেন তারা।আইসিআইজের প্রকাশ করা ডেটা বেইসের তালিকায় থাকা প্রায় অর্ধশতাধিক বাংলাদেশির নাম উঠে এসেছে। তালিকায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাফরউল্যাহ এবং নীলুফারের নামও এসেছে।
জাফরউল্যাহ এবং নীলুফারকে ব্রিটিশ ভার্জিনিয়া আইল্যান্ডে নিবন্ধিত পাথফাইন্ডার ফিন্যান্স এবং হ্যানসিটিক লিমিটেডের পরিচালক বা অংশীদার হিসেবে দেখানো হয়েছে। তাছাড়া নাম এসেছে সিটিসেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহবুব চৌধুরীর, যিনি আগে গ্রামীণফোনেও কাজ করেছেন। আরও আছেন আইজিডাব্লিউ অপারেটর সেল টেলিকমের কফিল এইচ এস মুয়ীদ, এক্সেসটেলের মালিক জাইন ওমর, কিউবির অংশীদার আফজালুর রহমান, টেকনোমিডিয়ার মালিক সরকার জীবন কুমার, বাংলাট্রাকের মালিক আমিনুল হক, তার ছেলে নাজিম আসাদুল হক, তারিক একরামুল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানের শ্যালক এবং সিটিসেলের সাবেক চেয়ারম্যান আজমাত মঈন, আব্দুল মোনেম গ্রুপের এ এস এম মহিউদ্দিন মোনেম এবং আসমা মোনেম।
বিশেষভাবে পরিচিত নয় এমন বাংলাদেশি ব্যক্তি হিসেবে নাম এসেছে যাদের তারা হলেন, দিলীপ কুমার মোদি, মল্লিক সুধীর, কাজী রায়হান জাফর, মো. ইউসুফ রায়হান রেজা, মাহতাবউদ্দিন চৌধুরী, বেনজির আহমেদ, ইসরাক আহমেদ, ফরহাদ গনি মোহাম্মদ, মো. আবুল বাশার, নিজাম এম সেলিম, মোহাম্মদ মোকসেদুল ইসলাম, মো. মোতাজ্জারুল ইসলাম, মো. মোতাজ্জারুল ইসলাম, মো. সেলিমুজ্জামান, সৈয়দ সেরাজুল হক, এফ এম জুবাইদুল হক,ক্যাপ্টেন এম এম জাউল, মোহাম্মদ শহীদ মাসুদ, খাজা শাহাদত উল্লাহ, মোহাম্মদ ফয়সাল করিম খান, মোহাম্মদ শহীদ মাসুদ, জুলফিকার হায়দার, মির্জা এম ইয়াহিয়া, মো. নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, এফ এম জুবাইদুল হক, এ এফ এম রহমাতুল বারী, খাজা শাহাদাত উল্লাহ, নোভা চৌধুরী, সৈয়দা সামিনা মির্জা, উম্মে রুবানা, বিলকিস ফাতিমা এবং সালমা হক। গত মাসে পানামার ল’ ফার্ম মোস্যাক ফনসেকার বিপুল সংখ্যক নথি ফাঁস হয়। এরপর বিশ্বজুড়ে তা তুমুল আলোচনার জন্ম দেয়।
তথ্যঃ ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫