সভ্যতা যত এগিয়ে যাচ্ছে মানুষের হাঁটার পরিধি ও সুযোগ তত কমে আসছে। প্রযুক্তি নির্ভরতা আমাদের শারীরিক কর্মকাণ্ডকে সীমিত করে দিয়েছে, পক্ষান্তরে আমাদেরকে অলস বানিয়ে দিয়েছে। শহুরে জীবন ব্যবস্থায় আমরা এমনভাবে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি যে হাঁটার প্রয়োজনবোধ করি না। পেশীতে পেশীতে দিন দিন যে অলসতা গেঁড়ে বসছে, তারই সুযোগে মানুষের শরীরে বাসা বেঁধে যাচ্ছে নানা রকম রোগ-ব্যধি। ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ এসব তো আজকাল খুব সাধারণ হয়ে গেছে। অথচ নিয়মিত হাঁটা হাঁটি এসব রোগ থেকে আমাদের দূরে রাখতে পারে।
আসুন দেখি হাঁটা কি কি উপকার করে। গবেষণায় দেখা গেছে হাঁটা
- হৃদরোগ ও স্ট্রোক এর ঝুঁকি কমায়
- কলেস্টেরল কমায়
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখে
- কোলন ক্যান্সার এর ঝুঁকি কমায়
- শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমিয়ে আনে
- অতিরিক্ত ওজন কমায়
- হাঁড়ের ঘনত্ব বাড়ায় এবং অস্টেরিওপরসিস প্রতিরোধে সহায়তা করে
- আর্থ্রাইটিস এ উপকার দেয়
- ডায়াবেটিস এর ঝুঁকি কমায়
- সামগ্রিক ভাবে শরীরকে চৌকষ বানায়
- মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি সাধন করে
হাঁটুন এবং দীর্ঘজীবি হোন
নিয়মিত শারীরিক কাজে অংশগ্রহণ গড় আয়ু বৃদ্ধি করে। হাঁটাহাঁটির মাধ্যমে শরীরকে সক্ষম রাখলে আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি অর্ধেকে নেমে আসবে। অস্থি সমূহ মজবুত ও জয়েন্ট জড়তামুক্ত হয় বলে আঘাতজনিত শারীরিক ক্ষতির প্রবণতা কমে। মন প্রফুল্ল থাকে ও মানসিক অবসাদ দূর হয়। পর্যাপ্ত ঘুম হয় যা পক্ষান্তরে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখে। এক কথায় বলতে গেলে – যদি সুস্থভাবে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বাড়াতে চান তবে দিনে অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন।